আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বর্জ্য পদার্থ থেকে কীভাবে শক্তি উৎপাদন করা যায়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বর্জ্য পদার্থ থেকে কীভাবে শক্তি উৎপাদন করা যায়? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।
বর্জ্য পদার্থ থেকে কীভাবে শক্তি উৎপাদন করা যায়?
পৃথিবীর নানা দেশে বর্জ্য থেকে শক্তি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে যেমন শক্তির সংরক্ষণ হয় তেমনি বর্জ্যের কারণে পরিবেশের দূষণ কম হয় —
- জৈব পদার্থের দহনে উৎপন্ন শক্তি – 1. ধানের ছিবড়ে, গমের মণ্ড, আখের ছিবড়ে, জঙ্গলের কাঠকুটো এবং অন্যান্য জৈব বর্জ্য জ্বালিয়ে দিলে তাপ উৎপাদন করা যায়। ওই তাপ থেকে উন্নত চুল্লির সাহায্যে শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব। 2. কঠিন বর্জ্য পদার্থকে সুনিয়ন্ত্রিত উপায়ে ভস্মভূত করে শক্তি সংগ্রহ করা হয়।
- পাইরোলিসিস প্রক্রিয়ায় জ্বালানি উৎপাদন – অক্সিজেন বিহীন দহনকে পাইরোলিসিস প্রক্রিয়া বলে। এই পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অক্সিজেনবিহীন দহনের ফলে তাপীয় বিয়োজন ঘটে। এতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসীয় পদার্থ, জলে অদ্রাব্য তেল, মিথানল এবং অন্যান্য পদার্থ উৎপন্ন হয় এবং বর্জ্যের কঠিন অবশেষ পড়ে থাকে। এইসব কঠিন অবশেষকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
- জৈব বর্জ্য থেকে দাহ্য গ্যাস উৎপাদন – 1. জৈব বর্জ্য থেকে গ্যাসিফায়ার যন্ত্রের মাধ্যমে পৌর বর্জ্য, কৃষিজ বর্জ্য, গাছের ডাল-পাতা পোড়ানো হয়। ওইসব পদার্থ পোড়ানোর জন্য যে গ্যাস উৎপন্ন হয় তা দিয়ে দাহ্য গ্যাস পাওয়া যায়। 2. জৈব রাসায়নিক পদ্ধতিতে জৈব বর্জ্য থেকে দাহ্য গ্যাস উৎপাদন – ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে জৈব রাসায়নিক পদ্ধতিতে কঠিন জৈব বর্জ্য পদার্থ থেকে দাহ্য গ্যাস উৎপাদন করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার সাহায্যে জৈব বর্জ্য পদার্থের প্রক্রিয়ায় পচন ঘটিয়ে মিথেন গ্যাস উৎপন্ন করা হয়। বর্তমানে ল্যান্ডফিল এবং বায়োগ্যাস প্রকল্পের মাধ্যমেও দাহ্য গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে।
আজকের আলোচনায় আমরা দেখলাম যে, বর্জ্য পদার্থ থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব। এই পদ্ধতিগুলো পরিবেশবান্ধব এবং ঐতিহ্যবাহী জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করে।
বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের প্রযুক্তি দ্রুত উন্নত হচ্ছে। ভবিষ্যতে, এই প্রযুক্তি আরও বেশি কার্যকর এবং সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। পরিশেষে, বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব সমাধান যা আমাদের জ্বালানির চাহিদা পূরণে এবং পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।