বর্জ্য কীভাবে জলদূষণ ঘটাচ্ছে? বর্জ্য পদার্থকে ভস্মীভূত কীভাবে করা হয়?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বর্জ্য কীভাবে জলদূষণ ঘটাচ্ছে? বর্জ্য পদার্থকে ভস্মীভূত কীভাবে করা হয়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। বর্জ্য কীভাবে জলদূষণ ঘটাচ্ছে? বর্জ্য পদার্থকে ভস্মীভূত কীভাবে করা হয়? – আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

বর্জ্য কীভাবে জলদূষণ ঘটাচ্ছে?

বর্জ্য জলদূষণও ঘটায়। পৃথিবীর প্রায় 70 শতাংশ স্থান জলাবৃত থাকলেও মানুষ জলভাগেও প্রচুর বর্জ্য সঞ্চয় করছে। পুকুর, খাল, বিল, জলাশয় সর্বত্র বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে নর্দমা, পুকুর, খালের জলে পচন ঘটছে। জলের দূষণের জন্য জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান প্রভৃতি দেশ সমুদ্রেও বর্জ্য নিক্ষেপ করছে যা জলজ বাস্তুতন্ত্রকে বিঘ্নিত করছে। জলজ প্রাণীদের অপমৃত্যু ঘটছে, তাদের প্রজনন বাধা পাচ্ছে ও জলজ বাস্তুতন্ত্র বিপর্যয়ের মুখোমুখি পড়ছে।

বর্জ্য পদার্থকে ভস্মীভূত কীভাবে করা হয়?

কঠিন বর্জ্যকে উচ্চতাপে ভস্মভূত করা হয়। সাধারণত শিল্পাঞ্চলগুলিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। দাহ্য বস্তু পুড়ে গেলে তা থেকে পোড়া ছাই, ধাতু, কাচ ইত্যাদি নিষ্কাশন করা হয়। যেখানে কোনো জায়গার অভাব রয়েছে সেখানেই ভস্মীভূত পদ্ধতি প্রয়োগ হয়। রাসায়নিক কারখানায় আলকাতরা, আঠালো পেট্রোলিয়াম জাতীয় বর্জ্য পদার্থ সৃষ্টি হয়। ওইসব বর্জ্য পুড়িয়ে তাপ উৎপাদন করা যেতে পারে বা ওই তাপ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। তবে বর্জ্য পদার্থকে প্রকাশ্যে ভাবে পুড়িয়ে ফেললে পরিবেশে খারাপ প্রভাব পড়ে। বাতাসে প্রচুর ফ্লাই অ্যাশ, কার্বন ডাইঅক্সাইড, হাইড্রোজেন ক্লোরাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড এবং নানা জৈব অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। যা বায়ুদূষণের পাশাপাশি মানুষের ওপরও খুব খারাপ প্রভাব ফেলে।

আরও পড়ুন – ল্যান্ডফিল বা ভরাটকরণ পদ্ধতিতে কী কী সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে?

আজকের আর্টিকেলে আমরা দেখেছি কীভাবে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য – যেমন পৌরসভা, শিল্প, কৃষি, এবং চিকিৎসা বর্জ্য – যথাযথভাবে পরিচালনা না করা হলে জলাশয়ে মিশে জলদূষণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। জলদূষণ রোধে আমাদের সকলকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়ানো, পুনর্ব্যবহার ও পুনর্নবীকরণ, বর্জ্য কমানো এবং কম্পোস্টিংয়ের মতো পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এই লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত দায়িত্বশীলতাও জরুরী। আইন প্রণয়ন ও কার্যকরকরণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে আমরা জলদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারি।

এই আর্টিকেলটি দশম শ্রেণির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ জলদূষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ের একটি জরুরী বিষয়। Incineration প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা পরীক্ষার জন্য সহায়ক হবে।

Share via:

মন্তব্য করুন