আজকের আর্টিকেলে, আমরা আলোচনা করবো ভারতকে কেন “নদীমাতৃক দেশ” বলা হয়। এই প্রশ্নটি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগে। এই আর্টিকেলটি আপনাকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
ভারতকে ‘নদীমাতৃক দেশ’ বলা হয় কেন?
- ভারতের নদীগুলি বছরে গড়ে 186900 কোটি ঘনমিটার জল বহন করে (প্রধান নদীগুলি 85%, মাঝারি নদীগুলি 7% ও ছোটো নদীগুলি 4% এবং অন্যান্য জলধারা 4% জল বহন করে)।
- এই নদনদীগুলি সুদূর অতীত থেকে ভারতবাসীর জীবনধারার ওপর গভীরভাবে প্রভাব বিস্তার করে রয়েছে। হরপ্পা ও মহেন-জো-দারোর মতো প্রাচীন সভ্যতাসহ এলাহাবাদ, বারাণসীর মতো প্রাচীন ধর্মস্থান এবং আধুনিক ভারতের অধিকাংশ শহর, নগর, জনপদ গড়ে উঠেছে কোনো-না-কোনো নদীর তীরে।
- কৃষিকাজ দেশের বিস্তীর্ণ নদী উপত্যকাগুলিতে কেন্দ্রীভূত।
- গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলি, যেমন- কার্পাস বয়ন, চিনি, পাট প্রভৃতি পরোক্ষভাবে নদীর ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া, দেশের জলসেচ-ব্যবস্থা, সামগ্রিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, অভ্যন্তরীণ সুলভ জলপথে পরিবহণ ব্যবস্থা, পানীয় জলের জোগান প্রভৃতি ক্ষেত্রেও নদনদীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এজন্যই ভারতকে নদীমাতৃক দেশ বলে।
নদীগুলি ভারতের জীবনযাত্রার জন্য অপরিহার্য। সেগুলি কৃষিকাজ, পরিবহন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য জল সরবরাহ করে। এই কারণেই ভারতকে “নদীমাতৃক দেশ” বলা হয়। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে ভারতকে “নদীমাতৃক দেশ” বলা হয় কেন তা বুঝতে সাহায্য করেছে। এই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় মন্তব্য করুন।