আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের পঞ্চদশ অধ্যায়, ‘ছন্নছাড়া’ থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো অষ্টম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পরীক্ষায় এগুলো প্রায়ই আসে।
ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। – এই সাবধানবাণী কে উচ্চারণ করেছেন? ‘ওদের’ বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে? ওদের কাছে না ঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হল কেন?
এই সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন কবি যে ট্যাক্সিতে উঠেছিলেন, তার ড্রাইভার।
ওদের বলতে এখানে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা সেইসমস্ত ছেলেদের কথা বলা হয়েছে, যারা মূলত ছন্নছাড়া, চালচুলোহীন এবং সকলে যাদের মনে করে যে তারা আচার-ব্যবহার, রীতিনীতি, সৌজন্য-শিষ্টাচার, শালীনতা-ভদ্রতা কোনো কিছুরই ধার ধারে না, তাদেরই বোঝানো হয়েছে।
ওদের কাছে না ঘেঁষার পরামর্শ ট্যাক্সি ড্রাইভার এই কারণেই দিয়েছে যে, সে মনে করে ওরা সমাজের কাছে গ্রহণীয় নয়, অর্থাৎ যে যে উপাদানগুলি থাকলে একজন ব্যক্তিকে সভ্য বা ভদ্র বলা যায়, তার কোনোটিই ওদের স্বভাবে বা জীবনে নেই।
তাই এখন এসে দাঁড়িয়েছে সড়কের মাঝখানে। – এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের জীবনের এমন পরিণতির কারণ কবিতায় কীভাবে ধরা পড়েছে, তা নির্দেশ করো।
কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় এখানে সেইসমস্ত চালচুলোহীন ছন্নছাড়া যুবকদের কথা বলা হয়েছে, যারা গলির মোড়ে একেবারে সড়কের উপর দাঁড়িয়ে ছিল এবং তাদের পরনে চোঙা প্যান্ট, চোখা জুতো আর তাদের মেজাজ সবসময়েই রুক্ষ।
এদের জীবনের এমন পরিণতির কারণ হল তাদের জীবনের চারদিকে কেবল ব্যর্থতা আর শূন্যতা। এরা কলেজে ভরতি হতে পারে না। এরা কোনো অফিস বা কারখানায় কাজ পায় না, বাড়িতে আশ্রয় পায় না, কোনো আদর্শ মানুষকে পায় না যাকে অনুসরণ করতে পারে বা কারও কাছ থেকে এতটুকু প্রেরণাসঞ্চারী ভালোবাসা পায় না। এইসব কারণে জীবনে কেবল হতাশা ও শূন্যতার চাপেই এদের জীবনের এমন পরিণতি ঘটে।
জিজ্ঞেস করলুম/তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? – প্রশ্নবাক্যটিতে প্রশ্নকর্তার কোন্ অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে? তাঁর এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার পর কীরূপ পরিস্থিতি তৈরি হল?
প্রশ্নবাক্যটির মধ্য দিয়ে রাস্তায় জড়ো হওয়া ছন্নছাড়া এবং সমাজের কাছে উপেক্ষিত যুবকদের প্রতি প্রশ্নকর্তার গভীর সহানুভূতি ও মানবিকতাবোধের পরিচয় ধরা পড়েছে।
তাঁর এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল সেইসব যুবকদের আচরণে এক ধরনের অপ্রত্যাশিত তৎপরতা ফুটে উঠেছে। তারা যেন অভাবিতভাবে একটা বিরাট মূল্যবান কিছু পেয়েছে এমনটা মনে হল, কেন-না তারা সোল্লাসে সিটি দিয়ে ‘পেয়ে গেছি পেয়ে গেছি’ বলে চেঁচিয়ে উঠল-কেন-না গাড়িতে সদ্য চাপা পড়া এক ভিখিরির আহত রক্তাক্ত দলা-পাকানো দেহটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঠিক মুহূর্তেই প্রশ্নকর্তার ‘ট্যাক্সি লাগবে’! প্রশ্নটি এক ধরনের অভাবিত আশাপূরণের মতো উত্তেজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল।
প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে। – এই দুর্মর আশাবাদের ‘তপ্ত শঙ্খধ্বনি’ কবিতায় কীভাবে বিঘোষিত হয়েছে তা আলোচনা করো।
কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় দেখি, যখন চালচুলোহীন বেকার ছন্নছাড়া ছেলেরা অপ্রত্যাশিতভাবে ট্যাক্সি পেয়ে যায়, তখন তারা আশ্চর্য উল্লাসে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে এবং রাস্তায় গাড়িতে সদ্য চাপা পড়া আহত রক্তাক্ত ভিখিরিকে ট্যাক্সিতে তোলার সময় ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে।
যাকে তারা হয়তো বা ‘মৃত’ বলেই ভেবেছিল, তার প্রাণ আছে এবং সে বেঁচে যেতে পারে, ছন্নছাড়া যুবকদের এই আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে এই কবিতায় এক গভীর সত্য ফুটে উঠেছে যে; একইভাবে এই উপেক্ষিত মানুষগুলোও প্রাণবন্ত, তাদের চোখেও স্বপ্ন, মনে আশা এবং হৃদয়ে ভালোবাসা আছে। এদেরও সমাজ ‘মৃত’ বা পরিত্যক্ত বলে মনে করে হয়তো-কিন্তু এরাও মরে যায়নি। এরা বেঁচে থাকা ও বাঁচিয়ে রাখার আশাকে বহন করে চলেছে। এই কবিতায় সেই আশাবাদের ‘তপ্ত শঙ্খধ্বনি’ প্রাণের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বিঘোষিত হয়েছে।
কবিতায় নিজের ভব্যতা ও শালীনতাকে বাঁচাতে চাওয়া মানুষটির ‘ছন্নছাড়া’দের প্রতি যে অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে তা বুঝিয়ে দাও।
কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় যে মানুষটি রাস্তার ছন্নছাড়া ও সমাজে উপেক্ষিত ছেলেদের জন্য নিজের ভাড়া করা ট্যাক্সিটি ছেড়ে দিলেন, তিনি যখন দেখলেন তারা একটি গাড়ি চাপা পড়া আহত রক্তাক্ত ভিখিরির দেহ ট্যাক্সিতে তুলছে, তখন তিনি সেই রক্তের দাগ যাতে নিজের গায়ে পোশাকে না লাগে, সেই ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে ট্যাক্সি থেকে নেমে যান। কবি বলেছেন, হয়তো বা ভিখিরির রক্তে যদি তাঁর সামাজিক ভব্যতা বা কৃত্রিম শালীনতা ক্ষুণ্ণ হয়, সেই কারণেই হয়তো সেই ব্যক্তি নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে যখন সেই ব্যক্তির মনের মধ্যে সেইসব ছন্নছাড়া মানুষদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ধরা পড়ে, তখন বোঝা যায় তিনি কতখানি মানবিক। শহরের সর্বত্র তিনি তাদের উচ্চারিত ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’ বাক্যটি প্রতিধ্বনিত হতে শোনেন এবং এই অনুভূতি মূলত সেই ‘ছন্নছাড়া’ মানুষদের প্রতি আস্থা, প্রত্যয় ও নির্ভরতারই প্রকাশ।
কবিতায় ‘গাছটি’ কীভাবে প্রাণের প্রতীক হয়ে উঠেছে তা আলোচনা করো।
লেখক অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত জরুরি কাজে যখন ট্যাক্সি চেপে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন রাস্তার ধারে গলির মোড়ে দেখতে পেলেন একটি জীর্ণ, শীর্ণ, নীরস, বিগত সবুজের কাঠামোকে তুলে ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মুমূর্ষু এক গাছকে। কিন্তু ফেরার পথে যা দেখলেন, তাতে তিনি যেন কিঞ্চিৎ বিস্মিত আবার কিঞ্চিৎ আশ্বস্তও। যাওয়ার সময় দেখে যাওয়া গাছটিতে যেন দেখছেন হাজার হাজার সোনালি কিশলয়ের মর্মরিত গুঞ্জন, যেন গুচ্ছে-গুচ্ছে উথলে উঠছে ফুল। উড়ে আসা রংবেরং-এর পাখির কলকণ্ঠের কাকলি যেন মুগ্ধ করছে প্রকৃতিকে। যেন প্রাণের স্পন্দনে মানবিকতার ছোঁয়ায় নবরূপে সজ্জিত হয়েছে প্রকৃতি। পথের ধারে পড়ে থাকা ভিখিরির মূল্যহীন প্রাণের দাবি যেন মানবিকতার ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে উঠেছে। আর তারই হাত ধরে সমগ্র প্রকৃতি পেল বিলুপ্তপ্রায় মানবিকতার এক সঞ্জীবনী মহৌষধ। তাই গাছটি প্রকৃত অর্থেই যথার্থ প্রাণের প্রতীক।
এক ক্ষয়হীন আশা/এক মৃত্যুহীন মর্যাদা। – ‘প্রাণ’কে কবির এমন অভিধায় অভিহিত করার সঙ্গত কারণ নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করো।
কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় দেখি, যখন চালচুলোহীন বেকার ছন্নছাড়া ছেলেরা অপ্রত্যাশিতভাবে ট্যাক্সি পেয়ে যায়, তখন তারা আশ্চর্য উল্লাসে নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে এবং রাস্তায় গাড়িতে সদ্য চাপা পড়া আহত রক্তাক্ত ভিখিরিকে ট্যাক্সিতে তোলার সময় ‘প্রাণ আছে, এখনও প্রাণ আছে’ বলে চেঁচিয়ে ওঠে।
যাকে তারা হয়তো বা ‘মৃত’ বলেই ভেবেছিল, তার প্রাণ আছে এবং সে বেঁচে যেতে পারে, ছন্নছাড়া যুবকদের এই আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে এই কবিতায় এক গভীর সত্য ফুটে উঠেছে যে, একইভাবে এই উপেক্ষিত মানুষগুলোও প্রাণবন্ত, তাদের চোখেও স্বপ্ন, মনে আশা এবং হৃদয়ে ভালোবাসা আছে। এদেরও সমাজ ‘মৃত’ বা পরিত্যক্ত বলে মনে করে হয়তো-কিন্তু এরাও মরে যায়নি। এরা বেঁচে থাকা ও বাঁচিয়ে রাখার আশাকে বহন করে চলেছে। এই কবিতায় সেই আশাবাদের ‘তপ্ত শঙ্খধ্বনি’ প্রাণের স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে বিঘোষিত হয়েছে।
ওরা বিরাট এক নৈরাজ্যের-এক নেই রাজ্যের বাসিন্দে। – ‘ওরা’ কারা? তাদের সম্পর্কে এমন কথা বলা হয়েছে কেন?
ওরা বলতে এখানে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের লেখা ‘ছন্নছাড়া’ কবিতায় উল্লিখিত ছন্নছাড়া বেকার ছেলেদের বোঝানো হয়েছে।
সেইসব ছন্নছাড়া বেকার ছেলেদের যুগের চাপে কিছুই নেই। তাদের না আছে ভিটে, না আছে ভিত, না আছে রীতিনীতি। আইনকানুন বিনতা-ভদ্রতা, শ্লীলতা-শালীনতা এসব কিছুই নেই তাদের। ওদের জন্য কলেজে সিট নেই, অফিসে চাকরি নেই, কারখানায় কাজ নেই, ট্রামে-বাসে জায়গা নেই। তাদের জন্য মেলায়, খেলার মাঠে টিকিট নেই, হাসপাতালে শয্যা নেই, বাড়িতে ঘর ও খেলার মাঠ নেই। তাদের অনুসরণ করার মতো নেতা নেই, প্রেরণা-জাগানো প্রেম নেই। এমনকি তাদের প্রতি সম্ভাষণে কারও দরদ নেই। এ কারণেই তাদের সম্পর্কে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলা হয়েছে।
নীচের প্রতিটি শব্দের দল বিভাজন করে দেখাও –
এলোমেলো, ছন্নছাড়া, নৈরাজ্যে, বাসিন্দে, শালীনতা, আত্মীয়তা, শঙ্খধ্বনি, পত্রপুঞ্জে।
প্রদত্ত শব্দ | বিভাজিত দল |
এলোমেলো | এ – লো – মে – লো |
ছন্নছাড়া | ছন্ – ন – ছা – ড়া |
নৈরাজ্যে | নৈ – রাজ – জ্যে |
বাসিন্দে | বা – সিন্ – দে |
শালীনতা | শা – লী – ন – তা |
আত্মীয়তা | আত্ – তী – য় – তা |
শঙ্খধ্বনি | শঙ্ – খ – ধ্ব – নি |
পত্রপুঞ্জে | পত্র – র – পুন্ – জে |
নীচের প্রতিটি শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করো-
বর্তমান, ভদ্রতা, সম্ভাষণ, গতি, ভিঘিরি, ভব্যতা, রুষ্ট, জিজ্ঞেস, পিছে।
প্রদত্ত শব্দ | ব্যুৎপত্তি |
বর্তমান | বৃৎ + শানচ্ |
ভদ্রতা | ভদ্র + তা |
সম্ভাষণ | সম্ – ভাষ্ + অনট্ |
গতি | গম্ + ক্তি |
ভিখিরি | ভিখ্ + আরি (ইরি) |
ভব্যতা | ভব্য + তা |
রুষ্ট | রুষ্ + ত |
জিজ্ঞেস | জ্ঞা-সন্ + এ + অ |
পিছে | পিছ্ + এ |
নীচের শব্দগুলিতে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন্ কোন্ নিয়ম কাজ করেছে তা দেখাও –
জুতো বাসিন্দে, ক্ষেত, চোখ, কদ্দুর, ভিখিরি।
প্রদত্ত শব্দ | ধ্বনি পরিবর্তন | ধ্বনি পরিবর্তনের নিয়ম |
জুতো | জুতা > জুতো | স্বরসংগতি |
বাসিন্দে | বাসিন্দা > বাসিন্দে | স্বরসংগতি |
ক্ষেত | ক্ষেত্র > ক্ষেত | ব্যঞ্জনলোপ |
চোখ | চক্ষু > চোখ | স্বরসংগতি |
কদ্দুর | কতদূর > কদ্দুর | ব্যঞ্জনসংগতি |
ভিখিরি | ভিখারি > ভিখিরি | স্বরসংগতি |
নীচের পদগুলির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো-
প্রেতচ্ছায়া, ছাল-বাকল, ক্ষুধাহরণ, সোল্লাসে, স্নেহার্দ্ৰ, শঙ্খধ্বনি।
সমাসবদ্ধ পদ | ব্যাসবাক্য | সমাসের শ্রেণি |
প্রেতচ্ছায়া | প্রেতের ছায়া | সম্বন্ধ তৎপুরুষ |
ছাল-বাকল | ছাল ও বাকল | দ্বন্দ্ব |
ক্ষুধাহরণ | ক্ষুধাকে হরণ | কর্মতৎপুরুষ |
সোল্লাসে | উল্লাসের সহিত বর্তমান | সহার্থক বহুব্রীহি |
স্নেহার্দ্র | স্নেহ দ্বারা আর্দ্র | করণ তৎপুরুষ |
শঙ্খধ্বনি | শঙ্খের ধ্বনি | সম্বন্ধ তৎপুরুষ |
কোন্ শব্দে কী উপসর্গ আছে আলাদা করে দেখাও –
প্রতিশ্রুতি, বেওয়ারিশ, অনুসরণ, প্রচ্ছন্ন, অভ্যর্থনা, অধিকার।
প্রদত্ত শব্দ | উপসর্গ |
প্রতিশ্রুতি | প্রতি |
বেওয়ারিশ | বে |
অনুসরণ | অনু |
প্রচ্ছন্ন | প্র |
অভ্যর্থনা | অভি |
অধিকার | অধি |
নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো –
ওই পথ দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে। (জটিল বাক্যে)
ওই সে পথ যেখান দিয়ে জরুরি দরকারে যাচ্ছিলাম ট্যাক্সি করে।
দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। (যৌগিক বাক্যে)
দেখছেন না ছন্নছাড়া কটা বেকার ছোকরা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে ও আড্ডা দিচ্ছে।
কারা ওরা? (প্রশ্ন পরিহার করো)
তাদের পরিচয় জানা দরকার।
ঘেঁষবেন না ওদের কাছে। (ইতিবাচক বাক্যে)
ওদের থেকে দূরে থাকুন।
একটা স্ফুলিঙ্গ-হীন ভিজে বারুদের স্তূপ। (না-সূচক বাক্যে)
একটা ভিজে বারুদের স্তূপে স্ফুলিঙ্গ নেই।
জিজ্ঞেস করলুম, তোমাদের ট্যাক্সি লাগবে? (পরোক্ষ উক্তিতে)
তাদের ট্যাক্সি লাগবে কি না জিজ্ঞেস করলুম।
আমরা খালি ট্যাক্সি খুঁজছি। (জটিল বাক্যে)
যেটা খালি ট্যাক্সি, আমরা তাই খুঁজছি।
দেখতে দেখতে গুচ্ছে গুচ্ছে উথলে উঠেছে ফুল। (ক্রিয়ার কাল নির্দেশ করো)
পুরাঘটিত বর্তমান কাল।
আজকের এই আর্টিকেলে অষ্টম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের পঞ্চদশ অধ্যায় ‘ছন্নছাড়া’ থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছি। আশা করি, এই প্রশ্নগুলো আপনার প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে, কারণ এগুলো অষ্টম শ্রেণির বাংলা পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি এই নিবন্ধটি আপনার উপকারে আসে, তবে অবশ্যই এটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, যাতে তারাও উপকৃত হতে পারে। কোনো প্রশ্ন বা সহায়তার প্রয়োজন হলে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন। ধন্যবাদ!