নবম শ্রেণি – বাংলা – কর্ভাস – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

সত্যজিৎ রায়ের লেখা কর্ভাস গল্পটি নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যপুস্তকের একটি সহায়ক পাঠ। গল্পটিতে প্রোফেসর শঙ্কু এবং তার বন্ধুরা এক অদ্ভুত পাখি আবিষ্কার করেন। এই পাখিটির নাম কর্ভাস। কর্ভাস একটি রহস্যময় পাখি। এটি মানুষের কথা বুঝতে পারে এবং মানুষের মতো কথা বলতে পারে।

Table of Contents

এই পাঠটি থেকে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, রহস্য এবং কল্পনা সম্পর্কে জানতে পারবে। গল্পটি শিক্ষার্থীদের চিন্তাশীল এবং সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করবে।

বাংলা – কর্ভাস – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে কী ধারণা ছিল?

ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কুর পাখি সম্পর্কে এই ধারণা ছিল যে পাখি কথা বললেও সেই কথার মানে বোঝে না।

ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু কাকে একশোর ওপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন?

ছেলেবেলায় প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বাড়ির পোষা ময়নাকে একশোটির ওপর বাংলা শব্দ উচ্চারণ করতে শিখিয়েছিলেন।

প্রফেসারের পোষা বিড়ালের নাম কী?

প্রফেসারের পোষা বিড়ালের নাম নিউটন।

নিউটন কী পছন্দ করে না?

নিউটন একেবারেই পাখি পছন্দ করে না।

অস্ট্রেলিয়ার কোন্ পাখি মাটিতে বাসা বাঁধে?

অস্ট্রেলিয়ায় ম্যালিফাউল নামে একরকম পাখি আছে যারা মাটিতে বালি, মাটি আর উদ্ভিজ্জ দিয়ে বাসা বাঁধে।

ম্যালিফাউল পাখি ডিমে তা না দেওয়া সত্ত্বেও কী উপায়ে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়?

ম্যালিফাউল আশ্চর্য উপায়ে তার বাসার ভিতরের তাপমাত্রা আটাত্তর ডিগ্রি ফারেনহাইট রাখায় ডিমে তা না দিয়েও ডিম ফোটাতে পারে।

কোন্ পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায়?

গ্রিব নামের এক ধরনের পাখি নিজেদের পালক ছিঁড়ে খায় ও শাবকদের খাওয়ায়।

গ্রিব পাখি কী উপায়ে জলে ভেসে থাকে?

গ্রিব পাখি নিজের দেহ ও পালক থেকে কোনো এক অজ্ঞাত উপায়ে বায়ু বের করে দিয়ে শরীরের স্পেসিফিক গ্র্যাভিটি বাড়িয়ে গলা অবধি জলে ডুবে ভাসতে থাকে।

সব পাখির মধ্যে কোন্ পাখি বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল?

সব পাখির মধ্যে একটি কাক বিশেষভাবে প্রোফেসর শঙ্কুর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

প্রোফেসর শঙ্কু কোন্ যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন?

প্রোফেসর শঙ্কু পাখি পড়ানোর যন্ত্র নিয়ে কাজ করছিলেন।

প্রোফেসর শঙ্কুর যন্ত্রটির নাম কী?

প্রোফেসর শঙ্কুর যন্ত্রটির নাম হল অরনিথন।

অরনিথন যন্ত্রটির কাজ কী?

বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পাখির মস্তিষ্কে জ্ঞান ও বুদ্ধি চালনা করাই হল অরনিথন যন্ত্রের কাজ।

প্রোফেসর শঙ্কু কাকটিকে আলাদাভাবে কী করে চিনতেন?

কাকটির ডান চোখের নীচে একটা সাদা ফুটকি থাকায় এবং তার হাবভাব অন্য রকম হওয়ায় শঙ্কু তাকে চিনতে পারতেন।

কর্ভাস্ কোন্ জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম?

কর্ভাস্ কাক জাতীয় পাখির ল্যাটিন নাম।

কবে, কোথায় সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল?

নভেম্বর মাসে চিলির রাজধানী সানতিয়াগো শহরে সারা বিশ্বের পক্ষীবিজ্ঞানীদের একটা কনফারেন্স ছিল।

প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম কী?

প্রোফেসর শঙ্কুর পক্ষীবিজ্ঞানী বন্ধুর নাম হল রিউফাস গ্রেনফেল।

প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু কোথায় থাকেন?

প্রোফেসর শঙ্কুর বন্ধু মিনেসোটাতে থাকেন।

আমার ছাত্রটিকে আমি ওই নামেই ডাকছি। — ছাত্রটি কে?

ছাত্রটি হল শঙ্কুর পোষা একটি বুদ্ধিমান কাক।

প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর কাককে কী নামে ডাকতেন?

প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর কাককে কর্ভাস নামে ডাকতেন।

কর্ভাস কাগজে কীভাবে নিজের নাম ইংরেজিতে লেখে?

কাগজটাকে টেবিলের উপরে ফেলে দিতে হয়। কর্ভাস তার উপরে দাঁড়িয়ে নিজের নাম লেখে।

কভার্স শঙ্কুর অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে কী কী শিখেছিল?

কভার্স অরনিথন যন্ত্রের সাহায্যে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা – সহ অঙ্ক, জ্যামিতি, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ইত্যাদি শিখেছিল।

কর্ভাসের মধ্যে যে মানবসুলভ বুদ্ধি জেগে উঠেছিল, তার উদাহরণ পাওয়া যায় কোন্ ঘটনায়?

সানতিয়াগো যাবার জন্য শঙ্কুর সুটকেস গোছানোর শেষে ঠোঁটে করে চাবি এগিয়ে দেওয়াই কর্ভাসের মানবসুলভ বুদ্ধির প্রকাশ।

কর্ভাস কীভাবে প্রোফেসর শঙ্কুকে তাঁর পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল?

প্রথমে খাঁচায় ছটফট করে এবং পরে ঠোঁট দিয়ে দেরাজে টোকা মেরে কর্ভাস শঙ্কুকে পাসপোর্টের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।

প্লেনে কর্ভাসের আচরণ কেমন ছিল?

কর্ভাস প্লেনে সাধারণ কাকের মতোই আচরণ করেছিল।

প্রোফেসর শঙ্কু ১৪ নভেম্বর কোথায় ছিলেন?

প্রোফেসর শঙ্কু ১৪ নভেম্বর চিলির সানতিয়াগো শহরে ছিলেন। সেখানে হোটেল একসেলসিয়রে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল।

সানতিয়াগোর কোন্ কাগজে কর্ভাসের খবর ও কী ছবি বেরিয়েছিল?

কোরিয়েরে দেল সানতিয়াগোর সান্ধ্য সংস্করণে কর্ভাসের খবর ও পেনসিল – মুখে একটা ছবি বেরিয়েছিল।

মিটিংয়ের পর প্রোফেসর শঙ্কু কাদের সাথে সানতিয়াগো শহরটা দেখতে বেরিয়েছিলেন?

মিটিংয়ের পর প্রোফেসর শঙ্কু তাঁর বন্ধু গ্রেনফেল ও সম্মেলনের চেয়ারম্যান সিনিয়র কোভারুবিয়াসের সঙ্গে শহর দেখতে বেরিয়েছিলেন।

কোন্ পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে?

পূর্ব দিকে আন্ডিজ (আন্দিজ) পর্বতশ্রেণি চিলি ও আর্জেন্টিনার মধ্যে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।

প্রোফেসর শঙ্কু চিলিতে গিয়ে কার ম্যাজিক দেখেছিলেন?

চিলিতে গিয়ে প্রোফেসর শঙ্কু চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের ম্যাজিক দেখেছিলেন।

চিলিয়ান জাদুকরের ম্যাজিকের বিশেষত্ব কী ছিল?

চিলিয়ান জাদুকরের ম্যাজিকের বিশেষত্ব ছিল তিনি ম্যাজিকে নানা ধরনের পাখি ব্যবহার করতেন।

আর্গাস নামটি কোথায় রয়েছে?

আর্গাস নামটি রয়েছে গ্রিক উপকথায়। গ্রিক দেবী হেরা আর্গাসের চোখগুলি তুলে ময়ূরের পুচ্ছে বসিয়ে দিয়েছিলেন।

নামটা শুনে বাধ্য হয়েই ভদ্রলোককে উপরে আসতে বলতে হলো। — কোন্ নাম?

নামটি হল আর্গাস। ইনি বিখ্যাত চিলিয়ান জাদুকর। ইনি রাতে হোটেলে প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।

সেই কীর্তিমান পুরুষটির সঙ্গে পাখির একটা সম্পর্ক রয়েছে। — কার কথা বলা হয়েছে?

এখানে গ্রিক উপকথায় উল্লিখিত সর্বাঙ্গে সহস্র চোখবিশিষ্ট আর্গাস নামের কীর্তিমান পুরুষের কথা বলা হয়েছে।

কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস কোন্ স্প্যানিশ শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন?

কর্ভাসের কীর্তি দেখে আর্গাস স্প্যানিশ ম্যানিফিকো শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন।

স্প্যানিশ শব্দ ম্যানিফিকো’র অর্থ কী?

স্প্যানিশ শব্দ ম্যানিফিকো’র অর্থ চমকপ্রদ, অসামান্য।

বেশ তো — তাই হোক – কী হয়েছিল?

আর্গাসের অনুরোধে শঙ্কু খাঁচার দরজা খোলায় কর্ভাস বেরিয়ে ঠোঁটের ঠোকরে টেবিল ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়ে খাঁচায় ঢুকে গিয়েছিল।

সেই থেকেই ময়ূরের লেজে চাকা চাকা দাগ। — কখন থেকে?

গ্রিক উপকথা অনুসারে দেবী হেরা আর্গাসের সহস্র চোখ ময়ূরের লেজে বসানোর সময় থেকেই তাতে চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।

ওই পাখি আমার চাই আমার চাই আমার চাই – কে, কার কাছে কোন্ পাখি চেয়েছিলেন?

চিলিয়ান জাদুকর আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুর কাছ থেকে তাঁর পোষা বুদ্ধিমান কাক কর্ভাসকে চেয়েছিলেন।

আর্গাস তাঁর ক্রোড়পতি হওয়ার প্রমাণ হিসেবে কী কী উদাহরণ দিয়েছিলেন?

আর্গাস বলেছিলেন যে তাঁর পঞ্চাশ কামরাবিশিষ্ট প্রাসাদ রয়েছে। বাড়িতে ছাব্বিশ জন চাকর আর চারটে ক্যাডিলাক গাড়ি রয়েছে।

কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুকে কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?
অথবা, আর্গাস কত টাকা দিয়ে কর্ভাসকে কিনতে চেয়েছিলেন?

কর্ভাসকে পাওয়ার জন্য আর্গাস প্রোফেসর শঙ্কুকে দশ হাজার এস্কুডো অর্থাৎ পনেরো হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলেন।

কোন্ জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানীর ভাষণের সময় কর্ভাস চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করেছিল?

জাপানি পক্ষীবিজ্ঞানী তোমাসাকা মোরিমোতোর ক্লান্তিকর ভাষণের সময় কর্ভাস চেয়ারের হাতলে ঠোঁটতালি দিতে শুরু করেছিল।

মুহূর্তের মধ্যে একটা চরম বিপদের আশঙ্কা আমার রক্ত জল করে দিল। — কোন্ বিপদের আশঙ্কা?

হোটেলের ঘরের দরজা খোলা দেখে শঙ্কুর মনে এই আশঙ্কা হয় যে নিশ্চয়ই কর্ভাস চুরি হয়ে গেছে।

আর্গাসের আসল নাম কী?

চিলিয়ান জাদুকর আর্গাসের আসল নাম হল দ্যেমিনগো বার্তেলেমে সারমিয়েন্তো।

কারেরাস কে ছিলেন?

প্রোফেসর শঙ্কুর সঙ্গে আর্গাসের সন্ধানে যাওয়া দুই পুলিশকর্মীর অন্যতম ছিলেন তরুণ কারেরাস।

আর্গাস কত বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেন?

আর্গাস উনিশ বছর বয়স থেকে ম্যাজিক দেখাতে আরম্ভ করেন।

আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি কোন্ পথে গিয়েছিল বলে জানা যায়?

আর্গাসের ক্যাডিলাক গাড়ি হাইওয়ে থেকে পশ্চিমে ভালপারাইজোর উদ্দেশ্যে গিয়েছিল বলে জানা যায়।

কিন্তু সামনে ওটা কী — সামনে কী ছিল?

হাইওয়েতে শঙ্কুদের গাড়ি থেকে সিকি মাইল দূরে আর্গাসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি গাছে ধাক্কা খেয়ে একপাশে বেঁকে দাঁড়িয়েছিল।

সানতিয়াগোতে আর্গাস ছাড়া আর কার সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল?

সানতিয়াগোতে আর্গাসের ছাড়া ব্যাংকার সিনিয়র গাল্দামেসের সিলভার ক্যাডিলাক গাড়ি ছিল।

কর্ভাসকে শেষপর্যন্ত কোথায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল?

ভালপারাইজো যাওয়ার পথে যেখানে আর্গাসের গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়েছিল সেখানেই একটা ন্যাড়া অ্যাকেসিয়া গাছের উপরে কর্ভাসকে পাওয়া গিয়েছিল।

অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই নবম শ্রেণি – বাংলা – কর্ভাস – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই solutionwbbse ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো, ধন্যবাদ।

Share via:

“নবম শ্রেণি – বাংলা – কর্ভাস – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর”-এ 3-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন