এই দ্বিতীয়বার সে ওকে দেখলে – কাকে, কার দ্বিতীয়বার দেখার কথা বলা হয়েছে? প্রথম ও দ্বিতীয় দেখা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

“এই দ্বিতীয়বার সে ওকে দেখলে” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “এই দ্বিতীয়বার সে ওকে দেখলে” – কাকে, কার দ্বিতীয়বার দেখার কথা বলা হয়েছে? প্রথম ও দ্বিতীয় দেখা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।’ এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি” থেকে গৃহীত এই আলোচ্য অংশে, আমরা দেখতে পাই ক্ষিতীশ সিংহের সাথে কোনির দ্বিতীয় পরিচয়। প্রথমবার, ক্ষিতীশ সিংহ গঙ্গার ঘাটে বারুণীর দিন কোনিকে সাঁতার কাটতে দেখেছিলেন। ভাটার টানে ভেসে আসা একটি আম পাওয়ার জন্য তিনজনের মধ্যে মারামারি চলছিল। কোনি, সরু কালো চেহারার মেয়েটি, তার চতুরতা ও সাহসের জোরে আমটি ছিনিয়ে নেয়। ক্ষিতীশ তার সাহস ও স্পর্ধাত্মক মনোভাব দেখে মুগ্ধ হন।

দ্বিতীয়বার, ক্ষিতীশ সিংহ নেতাজি বালক সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত কুড়ি ঘণ্টা অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতায় কোনিকে দেখতে পান। বাইশ জন প্রতিযোগীর মধ্যে কোনির বিশিষ্ট চেহারা ক্ষিতীশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই দ্বিতীয় দেখাতেই তিনি কোনির সাথে আলাপ জমান এবং তাকে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দেন।

এই দুটি ঘটনার মাধ্যমে আমরা কোনির চরিত্র সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারি। সে সাহসী, স্পর্ধাত্মক, এবং চতুর। সে সহজে হাল ছাড়ে না এবং নিজের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ক্ষিতীশ সিংহ কোনির এই গুণগুলো দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এই দ্বিতীয়বার সে ওকে দেখলে - কাকে, কার দ্বিতীয়বার দেখার কথা বলা হয়েছে? প্রথম ও দ্বিতীয় দেখা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

“এই দ্বিতীয়বার সে ওকে দেখলে” – কাকে, কার দ্বিতীয়বার দেখার কথা বলা হয়েছে? প্রথম ও দ্বিতীয় দেখা দুটি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উদ্দিষ্ট ও দৃশ্যমান মানুষটির পরিচয় – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের চতুর্থ পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে কোনিকে ক্ষিতীশ সিংহের দ্বিতীয়বার দেখতে পাওয়ার কথা বলা হয়েছে।

দেখা দুটির বর্ণনা –

  • প্রথম দেখা – প্রথমবার ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে দেখেছিলেন বারুণীর দিন গঙ্গার ঘাটে। ভাটার টানে গঙ্গায় ভেসে যাওয়া আম পাওয়ার জন্য তিন জন সাঁতার কাটছিল। আমটা প্রথম জনের প্রায় হাতের মুঠোয় এসে গেলেও পেছন থেকে কেউ তার পা-টা টেনে ধরার ফলে সে এগোতে পারে না। সেই সুযোগে পিছনের একজন আমটা ধরে ফেলে। তারপরেই কাদার মধ্যে তিন জনের মারামারি শুরু হয়ে যায়। প্রথম জন অর্থাৎ সরু কালো চেহারার মেয়েটাকে কাদার মধ্যে ফেলে তার পিঠের উপর চেপে বসে এক জন তার মুখটা কাদায় ঘষে দেওয়ার চেষ্টা করলেই সে পা ছুঁড়তে থাকে। এরপরই কালো মেয়েটি ওর উপর চড়ে বসা ছেলেটির আঙুলে কামড়ে দেয়। এবার মেয়েটি ছেলেটির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার কাছ থেকে আম সংগ্রহ করে। সেই কালো মেয়েটিই ছিল কোনি। গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে তাঁর সাঁতার আর লড়াই দেখেছিলেন ক্ষিতীশ।
  • দ্বিতীয় দেখা – দ্বিতীয়বার নেতাজি বালক সংঘের উদ্যোগে কুড়ি ঘণ্টা অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতায় কোনিকে দেখেছিলেন ক্ষিতীশ সিংহ। বাইশ জন প্রতিযোগীর মধ্যে বিশিষ্ট চেহারার কোনিকে সহজেই চিনতে পারেন ক্ষিতীশ সিংহ। এই দ্বিতীয় দেখাতেই তিনি কোনিকে সাঁতার শেখার প্রস্তাব দেন এবং তার সঙ্গে আলাপ করে নেন।

আরও পড়ুন, একবার, শুধু একবার যদি তেমন কারুর দেখা পাই। – বক্তা কে? তিনি কেন, কার দেখা পেতে চান?

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের চতুর্থ পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহের সাথে কোনির দ্বিতীয় পরিচয়ের বর্ণনা পাওয়া যায়। এই দুটি ঘটনার মাধ্যমে আমরা কোনির চরিত্র সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারি। সে সাহসী, স্পর্ধাত্মক, এবং চতুর। সে সহজে হাল ছাড়ে না এবং নিজের লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ক্ষিতীশ সিংহ কোনির এই গুণগুলো দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এই দুটি দেখা কোনির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রথম দেখায়, ক্ষিতীশ কোনির সাহস ও স্পর্ধাত্মক মনোভাব দেখে মুগ্ধ হন। দ্বিতীয় দেখায়, তিনি কোনির সাথে আলাপ জমান এবং তাকে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দেন। এই ঘটনাগুলো কোনির জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং তার ভবিষ্যতের গতিপথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই অংশটি পাঠকের মনে কোনির প্রতি কৌতূহল ও আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। তার সাহস, দৃঢ়তা, এবং স্পর্ধাত্মক মনোভাব পাঠকের মনে অনুপ্রেরণা জাগায়।

Share via:

মন্তব্য করুন