এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জিব্বেরেলিন কীভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে? কৃষিকার্যে জিব্বেরেলিনের দুটি ব্যাবহারিক প্রয়োগ লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” -এর “উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান এবং রাসায়নিক সমন্বয়-হরমোন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জিব্বেরেলিন কীভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে?
জিব্বেরেলিন হরমোন খর্ব উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটিয়ে উদ্ভিদটির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। টম্যাটো, লেটুস শাক, আখ প্রভৃতি উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পর্বমধ্যের বৃদ্ধি ঘটাতে এই হরমোন প্রয়োগ করা হয়। এই হরমোন মটর, ধান, ভুট্টা প্রভৃতি উদ্ভিদের বংশগত খর্বতা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। এছাড়া ফল গঠন ও বৃদ্ধিতে জিব্বেরেলিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কৃষিকার্যে জিব্বেরেলিনের দুটি ব্যাবহারিক প্রয়োগ লেখো।
জিব্বেরেলিনের ব্যাবহারিক প্রয়োগ –
- জিব্বেরেলিন কয়েক প্রকার (ভুট্টা, মটর) খর্ব জাতের গাছের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।
- জিব্বেরেলিন প্রয়োগ করে লেটুস বীজের দ্রুত অঙ্কুরোদ্গম ঘটানো সম্ভবপর হয়েছে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
জিব্বেরেলিন কী?
জিব্বেরেলিন হল উদ্ভিদ হরমোন বা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রকের একটি গোষ্ঠী যা প্রাকৃতিকভাবে উদ্ভিদে তৈরি হয় এবং কোষ প্রসারণ ও দীর্ঘায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিব্বেরেলিন কীভাবে উদ্ভিদের উচ্চতা বৃদ্ধি করে?
এটি কোষ প্রসারণকে উদ্দীপিত করে, বিশেষ করে পর্বমধ্য (কাণ্ডের দুটি গাঁটের মধ্যবর্তী অংশ) কোষগুলোর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায়, ফলে সামগ্রিকভাবে উদ্ভিদের উচ্চতা বাড়ে।
জিব্বেরেলিনের ব্যবহারে কি শুধু উচ্চতাই বাড়ে?
না, শুধু উচ্চতা নয়। এটি বীজের সুপ্ততা ভঙ্গ করে, অঙ্কুরোদ্গমে সাহায্য করে, ফুল ফোটাতে, ফল বৃদ্ধিতে ও গঠনে এবং বংশগতীয় খর্বতা দূর করতে সহায়তা করে।
কীভাবে এটি খর্ব জাতের উদ্ভিদের উচ্চতা বাড়ায়?
খর্ব জাতের উদ্ভিদে প্রাকৃতিক জিব্বেরেলিনের ঘাটতি বা অনুভূতিহীনতা থাকতে পারে। বাহ্যিকভাবে জিব্বেরেলিন প্রয়োগ করলে এই ঘাটতি পূরণ হয় এবং তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিপ্রক্রিয়া সচল হয়।
ফল গঠনে জিব্বেরেলিনের ভূমিকা কী?
জিব্বেরেলিন ফলকের বৃদ্ধি ঘটায়, ফলকে আকারে বড় করে এবং কিছু ফল (যেমন আঙ্গুর) বীজবিহীন করতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া ফলের মুকুল ও ফুল ঝরে পড়া কমাতেও এটি ভূমিকা রাখে।
জিব্বেরেলিন কি শুধু কৃত্রিমভাবেই প্রয়োগ করা যায়?
না, উদ্ভিদ নিজেই প্রাকৃতিকভাবে জিব্বেরেলিন তৈরি করে। তবে কৃষিকাজে প্রয়োজন অনুযায়ী কৃত্রিম/সংশ্লেষিত জিব্বেরেলিন (GA3 ইত্যাদি) স্প্রে বা অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জিব্বেরেলিন কীভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে? কৃষিকার্যে জিব্বেরেলিনের দুটি ব্যাবহারিক প্রয়োগ লেখো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” -এর “উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান এবং রাসায়নিক সমন্বয়-হরমোন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন