হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ লেখো

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ কি কি ও তাদের বৈশিষ্ট্য, এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ কি কি ও তাদের বৈশিষ্ট্য আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

হিমবাহ বলতে বোঝায় বরফের বিশাল নদী যা দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে ধীরে ধীরে নেমে আসে। হিমবাহ তৈরি হয় যখন দীর্ঘ সময় ধরে তুষারপাত বরফের আকার ধারণ করে এবং পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে আসতে থাকে।

হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ লেখো

হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ করো।

অবস্থান অনুযায়ী হিমবাহ তিন রকমের হয় –

1. মহাদেশীয় হিমবাহ

সুমেরু এবং কুমেরু অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাতের আকারে প্রবাহিত হিমবাহ হল মহাদেশীয় হিমবাহ।

অবস্থান – অ্যান্টার্কটিকা (প্রায় 85%), গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও সুমেরু অঞ্চলে এই ধরনের হিমবাহ রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এগুলি কেন্দ্র থেকে পাতের আকারে চারদিকে প্রসারিত। দেখতে অনেকটা কচ্ছপের পিঠের মতো।
  2. এই হিমবাহের প্রান্তদেশের বরফ খুব পাতলা হয়।
  3. মহাদেশীয় হিমবাহ হিমসোপান সৃষ্টি করে।
  4. মূলত কোয়াটারনারি ভূতাত্ত্বিক যুগে এই হিমবাহ সঞ্চিত হয়েছিল এমন ধারণা করা হয়।

উদাহরণ – 1. অ্যান্টার্কটিকার ল্যামবার্ট। 2. গ্রেট রস বেরিয়ায়।

2. পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ

পর্বতের উঁচু অংশ থেকে হিমবাহ যখন নীচের দিকে ধীরে ধীরে নামতে থাকে তখন তাকে পার্বত্য বা উপত্যকা হিমবাহ বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  1. মনে করা হয় প্রাচীন তুষার যুগ থেকে এই বরফ সঞ্চিত হতে থাকে।
  2. পার্বত্য হিমবাহ থেকেই মূলত নদীর সৃষ্টি হয়। 
  3. পার্বত্য হিমবাহ নানা ধরনের ফাটলযুক্ত হয়।

উদাহরণ- 1. আলাস্কার হুবার্ড। 2. ভারতের সিয়াচেন।

3পাদদেশীয় হিমবাহ

হিমবাহ যখন পর্বতের নীচের দিকে নেমে এসে পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত ও প্রবাহিত হয়, তখন তাকে পাদদেশীয় হিমবাহ বলে।

বৈশিষ্ট্য –

  1. এগুলির আকার অপেক্ষাকৃত ছোটো হয়।
  2. পাদদেশীয় হিমবাহের সামনে গোলাকার অংশকে লোব বলে।
  3. উচ্চ অক্ষাংশে পর্বতের পাদদেশে দেখা যায়।

উদাহরণ – 1. আলাস্কার মালাসপিনা।

আরও পড়ুন – ধনুকাকৃতি, তীক্ষ্ণাগ্র এবং পাখির পায়ের মতো বদ্বীপ কাকে বলে?

এই আর্টিকেলে আমরা হিমবাহের শ্রেণিবিভাগ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে হিমবাহকে তাদের আকার, অবস্থান এবং প্রবাহের ধরণের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা যেতে পারে।

Please Share This Article

Related Posts

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস - উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) - বিষয়সংক্ষেপ

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস – উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964) – বিষয়সংক্ষেপ

চৌরিচৌরার ঘটনা কী? অসহযোগ আন্দোলনে চৌরিচৌরা ঘটনার গুরুত্ব

তেলেঙ্গানা আন্দোলন সম্পর্কে টীকা লেখো।