আজকের আর্টিকেলে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়, “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু পড়ার সময় অধ্যায়টির কাঠামো ও প্রধান বিষয়াবলি বুঝতে সাহায্য করবে, যা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই সংক্ষিপ্ত বিবেচনা আপনাদের প্রস্তুতি আরও ভালো করতে সাহায্য করবে।

গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় আন্দোলনসমূহ এবং তার সময়কাল –
- বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলন – 1905-1911 খ্রিস্টাব্দ।
- অহিংস-অসহযোগ আন্দোলন – 1920-1922 খ্রিস্টাব্দ।
- আইন অমান্য আন্দোলন – 1930-1934 খ্রিস্টাব্দ।
- ভারত ছাড়ো আন্দোলন – 1942-1944 খ্রিস্টাব্দ।

বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশি আন্দোলন –
বাংলা ছিল ভারতের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন বাঙালি জাতিকে দুর্বল করার জন্য বড়োলাট লর্ড কার্জন 1905 খ্রিস্টাব্দের 16 অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকরী করেন। ফলে গঠিত হয় –
- পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ, এর রাজধানী হয় ঢাকা।
- বাংলা প্রদেশ, যার রাজধানী হয় কলকাতা।
বড়োলাট লর্ড কার্জনের অশুভ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে বাঙালি জাতি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই আন্দোলনের দুটি ধারা ছিল –
- বয়কট ও
- স্বদেশি।
বয়কট হল বিদেশি দ্রব্য, অফিস-আদালত, বিদেশি আদবকায়দা বর্জন করা। আর স্বদেশি বলতে বোঝায় নিজের দেশে উৎপাদিত দ্রব্যের ব্যবহার করা।
বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ সরকার 1911 খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়েছিল। তবে বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে কৃষকশ্রেণির বিশেষ অংশগ্রহণ ছিল না।

নমঃশূদ্র আন্দোলন –
স্বদেশি আন্দোলনের হাত ধরে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার প্রসারই শুধু ঘটেনি, একইসঙ্গে হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী নিম্ন ও উচ্চবর্ণের মানুষদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছিল। বাংলায় দলিত তথা চণ্ডালদের উপর সমাজের প্রতিভূ ব্রাহ্মণ, জমিদার, নায়েব, গোমস্তাদের সামাজিক শোষণ, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর দলিতদের নিয়ে মতুয়া আন্দোলন শুরু করেন। তারই সুযোগ্য পুত্র শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর ডঃ সি এস মিড -এর নেতৃত্বে1911 খ্রিস্টাব্দে ‘চণ্ডাল’ নামটি ঘুচিয়ে নমঃশূদ্র সম্প্রদায় নামে রূপান্তরিত করেন এবং উচ্চবর্ণের হিন্দুদের দ্বারা আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক শোষণ-বঞ্চনার প্রতিবাদস্বরূপ যে আন্দোলনের ডাক দেন, তা নমঃশূদ্র আন্দোলন নামে পরিচিত।

নরমপন্থী –
1885 খ্রিস্টাব্দের 28 ডিসেম্বর বোম্বাই শহরের গোকুলদাস তেজপাল সংস্কৃত কলেজের হলঘরে 72 জন সদস্য নিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়। 1885 থেকে 1905 খ্রিস্টাব্দ অর্থাৎ প্রথম 20 বছরে কংগ্রেসি নেতারা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আবেদন-নিবেদনের নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সংঘাতের পক্ষপাতী ছিলেন না। তাই কংগ্রেসের আদিপর্বের নেতারা নরমপন্থী (Moderate) নামে পরিচিত ছিলেন।
গান্ধি যুগ –
1919 খ্রিস্টাব্দ থেকে ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রধান নেতৃত্ব ছিল মহাত্মা গান্ধির হাতে। তাই 1919 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1948 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে গান্ধি যুগ বলা হয়।
অহিংস সত্যাগ্রহ –
অহিংস সত্যাগ্রহ আদর্শের স্রষ্টা হলেন মহাত্মা গান্ধি। সত্যাগ্রহ শব্দটি তৈরি হয়েছে ‘সত্য’ ও ‘আগ্রহ’ শব্দের সমন্বয়ে। সত্যাগ্রহ বলতে বোঝায় সত্যের প্রতি আগ্রহ।
গান্ধিজির ‘অহিংসা’ ও ‘সত্যাগ্রহ’ আদর্শ দুটি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। তাই একে একসঙ্গে অহিংস সত্যাগ্রহ বলা হয়। গান্ধিজি বলতেন, মানুষের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল সত্যের খোঁজ করা।
গান্ধিজির সত্যাগ্রহের আদর্শ –
সত্যাগ্রহের মধ্য দিয়ে অহিংস উপায়ে স্বরাজ অর্জনের লক্ষ্যে পৌঁছোনোই ছিল গান্ধিজির উদ্দেশ্য। তবে তাঁর এই সত্যাগ্রহ দ্বারা স্বরাজ লাভের পদ্ধতি তৎকালীন কংগ্রেসি নেতাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছিল। এর উত্তরে গান্ধিজি বলেন –
“I claim to be a practical idealist… The religion of Non-Violence is meant for the common people as well.”
গান্ধিজির স্বরাজ লাভের ভাবনাটি হল নিম্নরূপ-

গান্ধিজির নেতৃত্বাধীন প্রথম তিনটি সত্যাগ্রহ –
- চম্পারণ সত্যাগ্রহ – বিহারের চম্পারণে নীলকর সাহেবরা কৃষকদের দিয়ে জোর করে তিনকাঠিয়া পদ্ধতিতে নীলচাষ করাতেন। এর বিরুদ্ধে গান্ধিজি সত্যাগ্রহ করেন। অবশেষে 1918 খ্রিস্টাব্দে চম্পারণ কৃষি আইন পাস হওয়ায় এই সত্যাগ্রহ সফল হয়।
- খেদা সত্যাগ্রহ – গুজরাটের খেদা অঞ্চলেও কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার্থে গান্ধিজি সত্যাগ্রহের পথ অবলম্বন করেন। 1918 খ্রিস্টাব্দের এই। সত্যাগ্রহও গান্ধিজির নেতৃত্বে সাফল্যমণ্ডিত হয়।
- আহমেদাবাদ সত্যাগ্রহ – 1918 খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে গান্ধিজি আহমেদাবাদে বস্ত্রবয়ন শিল্পের শ্রমিকদের ধর্মঘটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।

মহাত্মা গান্ধির আদর্শ ও নরমপন্থীদের আদর্শের মধ্যে বৈসাদৃশ্য –
মহাত্মা গান্ধির আদর্শ | নরমপন্থীদের আদর্শ |
গান্ধিজির আন্দোলনে সরকারি চাকরি, স্কুল, কলেজ, অফিস-আদালত ত্যাগ, ধর্মঘট, মিছিল, জনসভা প্রভৃতির কর্মসূচি গ্রহণ করা হত। | নরমপন্থীদের আন্দোলন কর্মসূচি আবেদন-নিবেদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। |
মহাত্মা গান্ধি ভারতে ব্রিটিশ শাসন ধ্বংস করার জন্য আন্দোলন করেছিলেন। | কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতারা চাইতেন ভারত ব্রিটিশ শাসনের আওতায় থাকুক। |
মহাত্মা গান্ধি ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিলেন। | কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতারা ভারতীয়দের আংশিক স্বশাসন চেয়েছিলেন। |
মহাত্মা গান্ধির আন্দোলন ছিল গণমুখী। তিনি সাধারণ মানুষের আপনজন হয়ে আন্দোলন করেছিলেন। | কংগ্রেসের নরমপন্থী নেতারা ছিলেন উচ্চবর্ণের মানুষদের রাজনৈতিক প্রতিনিধি। |
বিভিন্ন কৃষক আন্দোলন এবং তার নেতৃবৃন্দ –
- বাংলায় নমঃশূদ্র আন্দোলন (1905 খ্রিস্টাব্দ) – গুরুচাঁদ ঠাকুর।
- চেনাব বসতি আইনবিরোধী আন্দোলন (1906 খ্রিস্টাব্দ) – লালা লাজপত রায় ও অজিত সিং।
- যুক্তপ্রদেশ কৃষক আন্দোলন (1920-1021 খ্রিস্টাব্দ) – বাবা রামচন্দ্র।
- একা আন্দোলন (1921-1922 খ্রিস্টাব্দ) – মাদারি পাসি।
- বিজোলিয়া সত্যাগ্রহ (1922 খ্রিস্টাব্দ) – মোতিলাল তেজওয়াত।
- বিহার কৃষক আন্দোলন (1919-1920 খ্রিস্টাব্দ) – স্বামী বিদ্যানন্দ।
- মেদিনীপুরে ইউনিয়ন বোর্ডবিরোধী আন্দোলন (1920-1921 খ্রিস্টাব্দ) – বীরেন্দ্রনাথ শাসমল।
- মোপালা বিদ্রোহ (1921 খ্রিস্টাব্দ) – ইয়াকুব হাসান।
- রাম্পা বিদ্রোহ (1922-1924 খ্রিস্টাব্দ) – আল্লুরি সীতারাম রাজু।
- বারদৌলি সত্যাগ্রহ (1928 খ্রিস্টাব্দ) – সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।

শব্দ সংক্ষেপ –
- AICC – All India Congress Committee.
- AIKS – All India Kisan Sabha.
- AITUC – All India Trade Union Congress.
- CPI – Communist Party of India.
- NWFP – North West Frontier Province.
- OBC – Other Backward Class.
- PCC – Pradesh Congress Committee.
- WPP – Workers’ and Peasants’ Party.
- CSP – Congress Socialist Party.

ওয়ার্কার্স অ্যান্ড গেজেন্টস পার্টির বিভিন্ন শাখার সম্পাদক এবং মুখপত্রের তালিকা –
শাখা সংগঠন | সম্পাদক | মুখপত্র |
পেজেন্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি ইন বেঙ্গল (বাংলা) | মুজফ্ফর আহমেদ | লাঙ্গল ও গণবাণী। |
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি (বোম্বাই) | এস এস মিরাজকর | ক্রান্তি। |
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি (যুক্তপ্রদেশ) | পূর্ণচন্দ্র যোশি | অসন্তিকারী। |
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি (পাঞ্জাব) | মোহন সিং যোশ | কীর্তি কিষান ও ইনকিলাব। |
ওয়ার্কার্স অ্যান্ড পেজেন্টস পার্টি (মাদ্রাজ) | সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার | ওয়ার্কার। |
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন, তার প্রতিষ্ঠাকাল ও নেতৃবৃন্দ –
সংগঠন | প্রতিষ্ঠাকাল | নেতৃবৃন্দ |
কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টি (CSP) | 1934 খ্রিস্টাব্দ | আচার্য নরেন্দ্র দেব, জয়প্রকাশ নারায়ণ। |
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) [রাশিয়া] | 1920 খ্রিস্টাব্দ | মানবেন্দ্রনাথ রায়। |
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) [কানপুর] | 1925 খ্রিস্টাব্দ | সিঙ্গারাভেলু চেট্টিয়ার, হসরৎ মোহানি। |
ইন্ডিয়া লিগ | 1928 খ্রিস্টাব্দ | জওহরলাল নেহরু, সুভাষচন্দ্র বসু। |
ফরওয়ার্ড ব্লক | 1939 খ্রিস্টাব্দ | সুভাষচন্দ্র বসু। |
র্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি | 1940 খ্রিস্টাব্দ | মানবেন্দ্রনাথ রায়। |

মানবেন্দ্রনাথ রায় ও ভারতের বামপন্থী আন্দোলন –
মানবেন্দ্রনাথ রায় (এম এন রায়) ছিলেন ভারতের অন্যতম বিখ্যাত বিপ্লবী। তাঁর প্রকৃত নাম নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তিনি 1915 খ্রিস্টাব্দে বাঘা যতীনের নির্দেশে জার্মান অস্ত্র সংগ্রহের জন্য বাটাভিয়ায় যান। 1920 খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পরে তিনি র্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গঠন করেন। ভারতের কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ষড়যন্ত্র মামলার তথ্যতালিকা –
মামলার নাম | সময়কাল | পরিপ্রেক্ষিত | অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ |
মুজফ্ফরপুর ষড়যন্ত্র মামলা | 1908 খ্রিস্টাব্দ | কিংসফোর্ডকে হত্যা করার প্রচেষ্টার জন্য। | ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি। |
আলিপুর বোমা মামলা (মানিকতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামেও খ্যাত) | 1908 খ্রিস্টাব্দ | বিহারের মুজফফরপুরে বোমা নিক্ষেপের ঘটনার জন্য। | অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, উল্লাসকর দত্ত, উপেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, বিভূতিভূষণ রায়, বীরেন্দ্রচন্দ্র সেন প্রমুখ। |
নাসিক ষড়যন্ত্র মামলা | 1910 খ্রিস্টাব্দ | অনন্ত লক্ষণ কানহেরে কর্তৃক নাসিকের ডি এম জ্যাকসন হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। | অনন্ত লক্ষণ কানহেরে, কৃষ্ণজি কারভে, বিনায়ক দেশপাণ্ডে। |
বরিশাল ষড়যন্ত্র মামলা | 1913 খ্রিস্টাব্দ | ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের দূরীকরণের চেষ্টা। | মদনমোহন ভৌমিক, ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী-সহ আরও 24 জন বিপ্লবী। |
লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা (প্রথম) | 1915 খ্রিস্টাব্দ | ব্রিটিশ সরকারের বিরোধিতা এবং ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন দূরীকরণের চেষ্টা। | রাসবিহারী বসু-সহ 82 জন বিপ্লবী। |
মান্দালয় ষড়যন্ত্র মামলা | 1916 খ্রিস্টাব্দ | রাজদ্রোহিতার অপরাধের জন্য। | বাবু হরনাম সিং সাহরি, ভাই নারায়ণ সিংহ বালো প্রমুখ। |
পেশোয়ার ষড়যন্ত্র মামলা | 1922 খ্রিস্টাব্দ | রাশিয়ার সাহায্যে ভারতে ব্রিটিশবিরোধী কমিউনিস্ট আন্দোলন গড়ে তোলার অপরাধ। | বিভিন্ন কমিউনিস্ট নেতা। |
কানপুর বলশেভিক ষড়যন্ত্র মামলা | 1924 খ্রিস্টাব্দ | সরকারবিরোধী কমিউনিস্ট কার্যকলাপের জন্য। | মুজফফর আহমেদ, এস এ ডাঙ্গে, শওকৎ উসমানি এবং নলিনী গুপ্ত। |
কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা | 1925 খ্রিস্টাব্দ | লখনউ -এর কাকোরি গ্রামের কাছে ট্রেন থামিয়ে সরকারি অর্থ লুঠ করা। | আসফাকউল্লাহ খান, রামপ্রসাদ বিসমিল, রোশন সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ প্রমুখ। |
মিরাট ষড়যন্ত্র মামলা | 1929 খ্রিস্টাব্দ | সরকারবিরোধী কমিউনিস্ট কার্যকলাপের জন্য। | মুজফফর আহমেদ, এস এ ডাঙ্গে, এস এস মিরাজকর, বি এফ ব্রাডলে, ফিলিপ স্প্র্যাট-সহ আরও অনেকে। |
লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা (দ্বিতীয়) | 1929 খ্রিস্টাব্দ | স্যান্ডার্সকে হত্যা এবং স্কটকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অপরাধ। | ভগৎ সিং, রাজগুরু, সুখদেব-সহ আরও 24 জন। |
আজকের আর্টিকেলে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়, “বিশ শতকের ভারতে কৃষক, শ্রমিক ও বামপন্থী আন্দোলন: বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে। এই অধ্যায়ের বিষয়বস্তু পড়ার সময় অধ্যায়টির কাঠামো ও প্রধান বিষয়াবলি বুঝতে সাহায্য করবে, যা আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। যদি কোনো প্রশ্ন, মতামত বা সাহায্যের প্রয়োজন হয়, নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন কিংবা টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন—আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন