বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্বে ভারত ঔপনিবেশিক শাসনের হাত থেকে মুক্তি পায়। কিন্তু এর ফলে ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নানা পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনগুলিকে কেন্দ্র করে এই অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।
কবে স্বাধীন ভারত গঠিত হয়?
১৫ আগস্ট, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
ঔপনিবেশিক ভারত বলতে কী বোঝায়?
স্বাধীনতা লাভের পরবর্তীকালের ভারত।
ভারতের স্বাধীনতালাভের সময় কাশ্মীর নামক দেশীয় রাজ্যের রাজা কে ছিলেন?
হরি সিং।
হরি সিং কবে ভারতভুক্তি দলিলে স্বাক্ষর করেন?
অক্টোবর, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
ভারতের স্বাধীনতা আইন কবে পাস করা হয়?
১৪ জুলাই, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
যে সমস্ত দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে যোগ দিতে চায়নি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি রাজ্যের নাম লেখো।
কাশ্মীর ও হায়দরাবাদ।
ভারতের লৌহমানব মানে কে পরিচিত?
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।
দেশীয় রাজ্য দপ্তর কবে খোলা হয়?
জুন, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
ভি. পি. মেনন কে ছিলেন?
ভারতের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিব।
দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে কার কৃতিত্ব ছিল সর্বাধিক?
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের।
হায়দরাবাদের শাসক কী নামে পরিচিত?
নিজাম।
হায়দরাবাদ কবে ভারতের সঙ্গে স্থিতাবস্থা চুক্তি করে?
নভেম্বর, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
ভারত কবে সমগ্র হায়দরাবাদ দখল করে?
সেপ্টেম্বর, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ।
হায়দরাবাদ দখলকালে ভারতের সামরিক জেনারেল কে ছিলেন?
জয়ন্তনাথ রায়।
পণ্ডিচেরী কবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়?
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে।
ফরাসি প্রভাবাধীন অঞ্চল মাহে কবে ভারতভুক্ত হয়?
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে।
চন্দননগর কবে ফরাসি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়?
১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল মোট কয়টি দেশীয় রাজ্যকে ভারতভুক্ত করেন?
৫৬২টি।
বল্লভভাই প্যাটেলের মৃত্যু কবে হয়?
১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে।
স্বাধীনতার পরেও গোয়া, দমন, দিউ কাদের অধিকারে ছিল?
পোর্তুগিজদের।
ভারতের বিভাজনের জন্য সীমানা কমিশন গঠিত হয়?
জুলাই, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
ভারত বিভাজনের উদ্দেশ্যে গঠিত সীমানা কমিশনের সভাপতি কে ছিলেন?
স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ।
স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের নেতৃত্বে কী কী সীমানাকমিশন গঠিত হয়?
বঙ্গ বিভাজন ও পাঞ্জাব বিভাজন কমিশন।
সিরিল রাডক্লিফের সীমানা কমিশনের রিপোর্ট করে প্রকাশিত হয়?
আগস্ট, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
পাঞ্জাবকে বিভক্ত করে কোন্ পাঞ্চাবকে ভারতভুক্ত করা হয়?
পূর্ব পাঞ্জাবকে।
বাংলাকে কোন্ কোন্ ভাগে ভাগ করা হয়?
পশ্চিমবাংলা ও পূর্ববাংলা।
পূর্ব বাংলা কী নামে পরিচিত হয়?
পূর্ব পাকিস্তান।
পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা উদ্বাস্তুরা মূলত ভারতের কোথায় আশ্রয় নেয়?
পূর্ব পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ।
পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা উদ্বাস্তুরা মূলত ভারতের কোথায় আশ্রয় নেয়?
কলকাতা, ২৪ পরগনা ও নদিয়াতে।
ভারতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
ভারতের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের মন্ত্রীর নাম কী?
মোহনলাল সাক্সেনা।
উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ চিহ্নিত করো।
উদ্বাস্তু শিবির তৈরি ও সরকারি সাহায্য দান।
ডোল কী?
উদ্বাস্তুদের প্রতি সরকারি সাহায্য।
মহাত্মা গান্ধি দেশভাগজনিত হিংসার প্রেক্ষিতে শাস্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কলকাতার কোথায় অনশন করেন?
কলকাতার বেলেঘাটা বাড়ীতে।
কলকাতার বেলেঘাটা বাড়িতে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধি করে অনশন শুরু করেন?
১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে।
নেহরু – লিয়াক চুক্তি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
৮ এপ্রিল, ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে।
নেহরু – লিয়াক চুক্তিকালে (১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
জওহরলাল নেহরু।
নেহরু – লিয়াক চুক্তিকালে (১৯৫০) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
লিয়াকত আলি খান।
নেহরু – লিয়াবহ চুক্তি (১৯৫০) অপর কী নামে পরিচিত?
দিল্লি চুক্তি।
একটি আত্মজীবনীর নাম লেখো যেখান থেকে দেশভাগ এর কথা জানা যায়।
ভারত স্বাধীন হল।
ভারত স্বাধীন হল গ্রন্থটির রচনাকার কে?
মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।
দ্য মার্জিনাল মেন গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
ঐতিহাসিক প্রফুল্ল চক্রবর্তী।
কমিউনিটি স্টেট অ্যান্ড জেন্ডার গ্রন্থটির লেখক কে?
উর্বশী বুটালিয়া।
রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কবে গঠিত হয়?
১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে।
জে. ভি. পি. রিপোর্ট কর্বে প্রকাশিত হয়?
১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে।
স্বাধীন অন্ধ্রপ্রদেশ কবে গঠিত হয়?
১ অক্টোবর, ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে।
পট্টি শ্রীরামালু কে ছিলেন?
জনপ্রিয় তেলুগু নেতা।
কে স্বতন্ত্র অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে দীর্ঘদিন অনশন করেন?
তেলুগু নেতা পট্টি শ্রীরামালু।
কবে বোম্বাই প্রদেশ বিভক্ত করে মহারাষ্ট্র ও বোম্বাই প্রদেশ তৈরি করা হয়?
১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।
নাগাদের জন্য পৃথক নাগাল্যান্ড কবে বাস্তবায়িত হয়?
১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে।
বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্বে ভারত একটি নতুন যুগের সূচনা হয়। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি লাভের পর ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এই সময়ে ভারতের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ভারতীয় সংবিধান প্রণয়ন করা হয় এবং একটি সংসদীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ভারতে একাধিক রাজনৈতিক দল গঠিত হয় এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠিত হতে থাকে।