এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “পলিমারের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতিকার কী?” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

পলিমারের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতিকার কী?
পলিমারের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতিকার –
- প্লাস্টিকের পরিবর্তে কাগজের ঠোঙা, মাটির ভাঁড় বা পাটের থলে ইত্যাদি যথাসম্ভব ব্যবহার করতে হবে।
- রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে বর্জ্য প্লাস্টিক পদার্থগুলি থেকে নতুন প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত করতে হবে।
- বর্তমানে পলিথিনের সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট মিশিয়ে বিয়োজী প্লাস্টিক বা ‘বায়োডি ব্যাগ’ উৎপাদনের চেষ্টা সফল হয়েছে।
- মাটির সঙ্গে সহজে মিশতে পারে এমন প্লাস্টিক অর্থাৎ বায়োপল যথাসম্ভব ব্যবহার করতে হবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
প্লাস্টিক/পলিমার পরিবেশের জন্য এত ক্ষতিকর কেন?
প্লাস্টিক অপচনশীল (Non-biodegradable) পদার্থ, অর্থাৎ এটি প্রাকৃতিকভাবে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে বা পচতে শত শত বছর লাগে। এটা মাটি, জল ও বায়ু দূষণ করে, নালা-নর্দমা আটকে দেয় এবং প্রাণী ও সামুদ্রিক জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে (যেমন – প্লাস্টিক খেয়ে ফেললে)।
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে কী কী ব্যবহার করা যায়?
প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি ব্যবহার করা যেতে পারে –
1. শপিং ব্যাগের জন্য – পাট বা কাপড়ের থলে, কাগজের ব্যাগ।
2. পানীয় দ্রব্য রাখার জন্য – মাটির ভাঁড়, কাঁচের বোতল, স্টিলের বোতল।
3. খাবার রাখার জন্য – স্টিল বা কাঁচের পাত্র, বিস্কুটের ডিব্বা ইত্যাদি।
রিসাইক্লিং বলতে কী বোঝায় এবং এটি কীভাবে সাহায্য করে?
রিসাইক্লিং হল ব্যবহৃত বর্জ্য পদার্থ (যেমন – প্লাস্টিকের বোতল, ঠোঙা) থেকে নতুন দ্রব্যাদি তৈরি করার প্রক্রিয়া। এটি প্লাস্টিকের চাহিদা কমায়, নতুন কাঁচামালের ব্যবহার হ্রাস করে এবং ল্যান্ডফিলে যাওয়া বর্জ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনে, ফলে পরিবেশ দূষণ রোধ হয়।
বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক বা ‘বায়োপলিমার’ কী?
বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক এমন এক ধরনের পলিমার যা প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য জীবের মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে (কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরে) ভেঙে মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এগুলো সাধারণত ভুট্টা, আখ বা আলুর স্টার্চ থেকে তৈরি হয়। এগুলো পরিবেশবান্ধব বিকল্প।
বায়োডিগ্রেডেবল পলিথিন ব্যাগ কীভাবে কাজ করে?
পলিথিনের সাথে কার্বোহাইড্রেট (যেমন – ভুট্টার স্টার্চ) মিশিয়ে এমন ব্যাগ তৈরি করা হয় যা পরিবেশের সংস্পর্শে এলে ধীরে ধীরে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরোয় ভেঙে যায় এবং পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সম্পূর্ণরূপে বিয়োজিত হয়।
প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার (Reuse) করার কিছু উদাহরণ দাও।
প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহার (Reuse) করার কিছু উদাহরণ –
1. প্লাস্টিকের জ্যাম/মেয়োনিজের বয়াম গাছের টব বা জিনিসপত্র রাখার পাত্র হিসেবে ব্যবহার।
2. ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল ক্রাফট কাজে ব্যবহার।
3. পুরানো প্লাস্টিকের কন্টেইনে বীজ রোপন করা।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “পলিমারের ক্ষতিকর প্রভাবের প্রতিকার কী?” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন