এই আর্টিকেলে ‘শিক্ষামূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দিদিকে চিঠি’ রচনাটি নিয়ে আলোচনা করব। এই চিঠি রচনা পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রদের স্কুল বা অন্যান্য পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। তাই এই চিঠি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষা মূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দিদিকে চিঠি
২১, বাদ্রাইপুর রোড
কলকাতা – ৭০০০০২
১৪ জুন, ২০২৩
প্রিয় দিদি,
অনেকদিন বাদে তোকে চিঠি লেখার সময় পেলাম। আশা করি তুই খুব ভালো আছিস। গত মাসে আমাদের বিদ্যালয় থেকে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণের আয়োজন করা হয়েছিল। আজ সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তোর সঙ্গে ভাগ করে নেব। তুই তো জানিস, আগ্রা ভারতের খুবই প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক একটি স্থান। সেখানে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। ২৫ মে আগ্রায় পৌঁছে আমরা প্রথমে যাই তাজমহল। বিশ্বের এই বিস্ময়ের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আমি কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাজমহলের দু-পাশে দুটি লাল পাথরের মসজিদ যেন ইতিহাসকে বহন করে দাঁড়িয়ে আছে বহুকাল ধরে। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা নদী। এরপর সেখান থেকে আমরা গিয়েছিলাম আগ্রার পুরাতন কেল্লা অর্থাৎ সুবিশাল মোগল সাম্রাজ্যের কারিগরি নিদর্শন। প্রতিটি স্তম্ভের গায়ে ইতিহাস অঙ্কিত হয়ে আছে। লাল বালি পাথরে তৈরি আকবরের দেওয়ান-ই-আম আর অপরূপ শ্বেত-পাথরের ওপরে রত্নখচিত দেওয়ান-ই-খাস দেখলাম – এখান থেকেই নদীর ওপারে তাজমহল দেখতেন সম্রাট শাহজাহান।
ইতিহাসপ্রসিদ্ধ এই স্থানে শিক্ষামূলক ভ্রমণে যেতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আজ এখানেই শেষ করি। বাকি সব পরের চিঠিতে।
ইতি
তোর বোন
তানিয়া
তানিয়া দত্ত
স্বর্ণেন্দু সমূদ্র দত্ত
বীরভূম, পিন – ৭৩৩১০১
আমাদের আজকের আলোচনায় ‘শিক্ষামূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা জানিয়ে দিদিকে চিঠি’ রচনাটি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্কুল ও বিভিন্ন পরীক্ষায় এই চিঠি রচনার বিষয়টি প্রায়শই আসে। তাই, এই রচনাটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই আলোচনা থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা মিলেছে। এই বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা অস্পষ্টতা থাকলে আমাদের সাথে টেলিগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন; আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি, এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন বা প্রয়োজনীয় অন্য শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন