এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একটি তামার তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে তারটিকে গরম করলে তারের রোধের কী পরিবর্তন ঘটবে? তামার তারের পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে রোধের কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে কি?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একটি তামার তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে তারটিকে গরম করলে তারের রোধের কী পরিবর্তন ঘটবে? তামার তারের পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে রোধের কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে কি?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

একটি তামার তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে তারটিকে গরম করলে তারের রোধের কী পরিবর্তন ঘটবে? তামার তারের পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে রোধের কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে কি?
দৈর্ঘ্য, প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে কোনো তামার তারের উষ্ণতা বাড়ালে এর রোধ বেড়ে যাবে। কারণ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত থাকলে প্রায় সমস্ত বিশুদ্ধ ধাতু ও অধিকাংশ সংকর ধাতুর রোধ উষ্ণতার সমানুপাতিক হয়।
কিন্তু কার্বন, সিলিকন, জার্মেনিয়াম প্রভৃতি পদার্থের উষ্ণতা বাড়ালে রোধ কমে যায়। ফলে তামার তারের পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে উষ্ণন্নতা বৃদ্ধিতে রোধ হ্রাস পাবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে একটি তামার তার গরম করলে তার রোধের কী পরিবর্তন হবে?
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে একটি তামার তার গরম করলে তার রোধ বাড়বে। কারণ, তামার মতো বিশুদ্ধ ধাতুর রোধ উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ে।
তামার তার গরম করলে রোধ কেন বৃদ্ধি পায়?
যখন তামাকে গরম করা হয়, তখন এর পরমাণুগুলোর কম্পন বৃদ্ধি পায়। এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত কম্পন ইলেকট্রনের প্রবাহপথে আরও বেশি বাধার সৃষ্টি করে, ফলে পদার্থটির রোধকতা (resistivity) বৃদ্ধি পায়। যেহেতু তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল অপরিবর্তিত থাকে, তাই সামগ্রিক রোধও বেড়ে যায়।
তামার পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে এবং সেটিকে গরম করলে রোধের কী পরিবর্তন ঘটবে?
তামার ঠিক বিপরীতভাবে, কার্বন তন্তুর রোধ উষ্ণতা বৃদ্ধির সাথে সাথে কমে যাবে।
কার্বনের রোধ উষ্ণতা বাড়লে কমে যায় কেন?
কার্বন একটি অধাতব পদার্থ (সেমিকন্ডাক্টর)। গরম করলে এর মধ্যে মুক্ত ইলেকট্রন ও হোল (hole) -এর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা বিদ্যুৎ পরিবহনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পদার্থটির রোধকতা হ্রাস পায় এবং সামগ্রিক রোধও কমে যায়।
কোন ধরনের পদার্থের রোধ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে কমে?
সাধারণত অর্ধপরিবাহী (সেমিকন্ডাক্টর) পদার্থ যেমন কার্বন, সিলিকন, জার্মেনিয়াম এবং গ্লাস, ইবোনাইট ইত্যাদি অন্তরকের রোধ তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে কমে।
কোন ধরনের পদার্থের রোধ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে বাড়ে?
বিশুদ্ধ ধাতু (যেমন – তামা, রূপা, অ্যালুমিনিয়াম) এবং অধিকাংশ সংকর ধাতুর (যেমন – ম্যাঙ্গানিন, কনস্ট্যানটান) রোধ তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “একটি তামার তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে তারটিকে গরম করলে তারের রোধের কী পরিবর্তন ঘটবে? তামার তারের পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে রোধের কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে কি?” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “একটি তামার তারের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থচ্ছেদ অপরিবর্তিত রেখে তারটিকে গরম করলে তারের রোধের কী পরিবর্তন ঘটবে? তামার তারের পরিবর্তে কার্বন তন্তু ব্যবহার করলে রোধের কোনো পরিবর্তন দেখা যাবে কি?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন