এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “উদ্দীপক কী? উদ্দীপক কত প্রকার ও কী কী এবং তাদের সংজ্ঞা লেখো। উদ্দীপক এবং উদ্দীপনার মধ্যে সম্পর্ক কী?” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” -এর “উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

উদ্দীপক কী? উদ্দীপক কত প্রকার ও কী কী এবং তাদের সংজ্ঞা লেখো।
উদ্দীপক – যেসব শক্তি পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন শনাক্ত করে সাড়াপ্রদানে সাহায্য করে তাদেরকে উদ্দীপক বলে। উদ্দীপনা হল উদ্দীপক থেকে সৃষ্ট একপ্রকার শক্তি যা জীব অনুভব করতে পারে।
উদ্দীপকের প্রকারভেদ –
উদ্দীপককে উৎসের ওপর ভিত্তি করে দু-ভাগে ভাগ করা হয়। যথা –
- বহিস্থ বা বাহ্যিক উদ্দীপক এবং
- অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক।
বাহ্যিক উদ্দীপক – বাহ্যিক উদ্দীপক জীবদেহের বাইরে বাহ্যিক পরিবেশে উপস্থিত থাকা বিভিন্ন উদ্দীপক যা জীবদেহে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে সেগুলিকে বাহ্যিক উদ্দীপক বলে। উদাহরণ – চাপ, তাপ, আলো, বায়ু, স্পর্শ ইত্যাদি।
অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক – অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক জীবদেহের অভ্যন্তরে উপস্থিত বিভিন্ন উদ্দীপক যা জীবদেহে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে সেইগুলিকে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক বলে। উদাহরণ – হরমোন।
উদ্দীপক এবং উদ্দীপনার মধ্যে সম্পর্ক কী?
উদ্দীপক এবং উদ্দীপনার মধ্যে সম্পর্ক -পরিবেশে বসবাসকারী সমগ্র জীবই কম-বেশি উদ্দীপনায় সাড়া প্রদান করে। এই উদ্দীপকের প্রভাবেই জীবদেহে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়; অর্থাৎ উদ্দীপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির কারণ এবং উদ্দীপনা তার ফল।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
উদ্দীপক কাকে বলে?
যেসব শক্তি বা পরিবেশগত পরিবর্তন জীবের অভ্যন্তরে সাড়া সৃষ্টি করতে সক্ষম, তাদেরকে উদ্দীপক বলে। যেমন – আলো, তাপ, স্পর্শ, রাসায়নিক দ্রব্য ইত্যাদি।
উদ্দীপনা কী?
উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে যে শারীরবৃত্তীয় বা স্নায়বিক সাড়া বা শক্তির সৃষ্টি হয়, তাকে উদ্দীপনা বলে। এটি জীবকে উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়া করতে সাহায্য করে।
বাহ্যিক উদ্দীপক কী? উদাহরণ দাও।
জীবদেহের বাইরে থেকে যে সব উদ্দীপক কাজ করে, তাদের বাহ্যিক উদ্দীপক বলে।
উদাহরণ – সূর্যের আলো, বাতাসের স্পর্শ, উচ্চ শব্দ, গন্ধ ইত্যাদি।
অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক কী? উদাহরণ দাও।
জীবদেহের অভ্যন্তরে উৎপন্ন বা উপস্থিত উদ্দীপকগুলিকে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক বলে।
উদাহরণ – হরমোন, রক্তে শর্করার মাত্রা, পেশির টান ইত্যাদি।
উদ্দীপক জীবের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
উদ্দীপক জীবের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে, বিপদ থেকে রক্ষা পেতে, খাদ্য সংগ্রহ করতে এবং দৈহিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে কী বলে?
উদ্দীপকের প্রতি সাড়া দেওয়ার ক্ষমতাকে “সংবেদনশীলতা” বা “Irritability” বলে। এটি জীবের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য।
উদ্দীপক শনাক্ত করার অঙ্গ কী?
উদ্দীপক শনাক্ত করার জন্য জীবদেহে বিভিন্ন সংবেদী অঙ্গ থাকে, যেমন – চোখ (আলোর জন্য), কান (শব্দের জন্য), নাক (গন্ধের জন্য), ত্বক (স্পর্শের জন্য) ইত্যাদি।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “উদ্দীপক কী? উদ্দীপক কত প্রকার ও কী কী এবং তাদের সংজ্ঞা লেখো। উদ্দীপক এবং উদ্দীপনার মধ্যে সম্পর্ক কী?” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” -এর “উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।





মন্তব্য করুন