ভাগীরথী-হুগলি কীভাবে দূষিত হচ্ছে?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে ভাগীরথী-হুগলি কীভাবে দূষিত হচ্ছে? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, ভাগীরথী-হুগলি কীভাবে দূষিত হচ্ছে? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

ভাগীরথী-হুগলি কীভাবে দূষিত হচ্ছে?

প্রায় 2500 কিমি দীর্ঘ গঙ্গানদী ভারতের জীবনরেখা। এই নদীর পার্শ্ববর্তী কলকারখানার বর্জ্য, পৌরসভার বর্জ্য, কৃষিক্ষেত্রের কীটনাশক বাহিত জল ইত্যাদি এই নদীতে এসে পড়ার ফলে নদী আজ দূষিত, বিশেষ করে মোহানা থেকে 600 কিমি উত্তরে বা ভাগীরথী-হুগলি নদীতে বর্জ্যের পরিমাণ সর্বাধিক।

ভাগীরথী-হুগলি নদীদূষণ
  • ভাগীরথী-হুগলি নদীর তীরে অবস্থানরত কলকারখানার কঠিন বর্জ্য, তরল নোংরা পদার্থ, বিষাক্ত বর্জ্য। ইত্যাদি সরাসরি গঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়।
  • ভাগীরথী-হুগলি পার্শ্ববর্তী কৃষিক্ষেত্রের কীটনাশক, জৈব বর্জ্য, ভূমিক্ষয়ের মাটি জলবাহিত হয়ে গঙ্গায় মেশে।
  • মানুষ প্রতিদিন শুকনো ফুল, প্লাস্টিক, নদীর জলে মলমূত্র ত্যাগ, মৃত পশু এবং মূর্তি বিসর্জন দিয়ে ভাগীরথী-হুগলিকে দূষিত করছে।
  • ভাগীরথী-হুগলির পার্শ্ববর্তী শহরের যাবতীয় নোংরা বর্জ্য সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে।
  • নদীতে যন্ত্রচালিত জলযান বৃদ্ধি পাওয়ায় পোড়া মোবিল, ডিজেল, পেট্রোল সবকিছুর নদীর জলে সংমিশ্রণ ঘটছে।

আরও পড়ুন – ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্য কি? ক্ষতিকর রাসায়নিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

এই আর্টিকেলে আমরা দেখেছি যে ভাগীরথী-হুগলি নদী বিভিন্ন উৎস থেকে দূষিত হচ্ছে। শিল্প-কারখানা, পৌরসভা, কৃষি ক্ষেত্র থেকে নিংসৃত বর্জ্য এবং মানুষের নদীতে ফেলা আবর্জনা নদীর জলের গুরুত্বপূর্ণ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই দূষণের ফলে জলজ প্রাণীদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে, মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

ভাগীরথী-হুগলি নদী আমাদের গর্বের সম্পদ। এই ঐতিহ্যবাহী নদীকে দূষণমুক্ত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। শিল্প-কারখানা থেকে নিঃসৃত বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ, পৌরসভা কর্তৃক নির্গত বর্জ্য পরিশোধন, কৃষি ক্ষেত্রে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং নদীতে আবর্জনা ফেলা বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক। এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের মাধ্যমেই আমরা ভাগীরথী-হুগলি নদীকে রক্ষা করে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ উপহার দিতে পারব।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।