আজকের আলোচনার বিষয় ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং এর পরিবেশগত প্রভাব। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ভারতের জলসম্পদ বিভাগে এই প্রশ্নটি বারবার দেখা যায়। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই বিষয়টি ভালোভাবে জেনে রাখা জরুরি।
ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহার হলে পরিবেশে তার কী প্রভাব পড়ে?
ভারতের যেসব স্থানে এখনও খালের মাধ্যমে বা ভূপৃষ্ঠীয় জলের ব্যবহার সম্ভব হয়ে ওঠেনি, সেখানে কূপ, নলকূপের মাধ্যমে জলসেচ করা হয়। এতে পরিবেশে নানা প্রভাব পড়ে –
- ভৌমজলতলের পতন – ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য ভৌমজলের ভান্ডার দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে কুয়োগুলি শুকিয়ে যাচ্ছে এবং নলকূল থেকে জল ওঠা কন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
- আর্সেনিকের পরিমাণ বৃদ্ধি – আর্সেনিকপ্রবণ অঞ্চলে ভৌমজলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ভৌমজলে আর্সেনিকের সংক্রমণ বাড়তে থাকে। জলে অতিরিক্ত নাইট্রেট, ফ্লুরাইডজাতীয় যৌগের পরিমাণ বেড়ে যায়।
- নোনাভাব বৃদ্ধি – ভৌমজল বেশি ব্যবহৃত হলে জলের লবণতা বেড়ে যায়। ওই জল জমির উর্বরতা শক্তি কমিয়ে দেয়।
- ভূমির অবনমন – বেশি ভৌমজল ব্যবহার করলে ভূমির অবনমন ঘটতে পারে।
ভৌম জলের প্রধান উৎস কি?
অধঃক্ষেপনের জল বা বৃষ্টির জল, হিমবাহগলা জল, শিশির বা কুয়াশা থেকে ভূপৃষ্ঠে পতিত জল, সমুদ্রের জল, নদীর জল ভৌম জলের প্রধান উৎস।
ভৌম জলের অপর নাম কি?
ভূগর্ভস্থ জল।
ভূমিগর্ভস্থ জল একটি মূল্যবান সম্পদ যা টেকসইভাবে ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত ভূমিগর্ভস্থ জল ব্যবহারের পরিবেশগত প্রভাবগুলি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এই সম্পদটি সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।