এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন? নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?“ প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?
Contents Show

উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?

বড়োলাটের শাসন পরিষদের আইন সদস্য ও বাংলার শিক্ষা কাউন্সিলের সভাপতি ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন বা বিটন সাহের নারী শিক্ষার একজন উৎসাহী সমর্থক ছিলেন। তিনি স্পষ্টতই উপলব্ধি করেন যে, একমাত্র শিক্ষাই পারে যুগ-যুগান্তর-সঞ্চিত কুসংস্কারের মূলে আঘাত হেনে নারী সমাজকে আধুনিকতার আলোকে উদ্ভাসিত করতে।

নারীশিক্ষা প্রসারে বেথুনা সাহেবের আবদান

হিন্দু ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠা –

স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বেথুন সাহেবের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ অবদান হল 1849 খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রমুখ শিক্ষাব্রতীর সহযোগিতায় ‘হিন্দু ফিমেল স্কুল’ বা ‘নেটিভ ফিমেল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠা লগ্নে তিনি দৃঢ়প্রত্যয়ে ঘোষণা করেন – ‘আজকের দিনটি একটি বিপ্লবের সূচনা করতে যাচ্ছে।’ বেথুন সাহেবের স্মৃতিতে পরে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হয় ‘বেথুন স্কুল’ এবং 1878 খ্রিস্টাব্দে এটি মহাবিদ্যালয় বা কলেজের মর্যাদা লাভ করে। বাস্তবিকই এটি ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কলেজ। তিনি তার মাসিক আয়ের অধিকাংশ এবং বিষয় আশয় তিনি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যয় ও দান করে যান।

অন্যান্য অবদান –

বেথুন সাহেব মেয়েদের ধর্ম নিরপেক্ষ ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষাদানের পাশাপাশি সূচিশিল্প, এমব্রয়ডারি, অঙ্কনবিদ্যায় পারদর্শী করে তুলতে উদ্যোগী হন। তিনি শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে মাতৃভাষার উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ‘ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি’, ‘কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরি’ ও ‘বঙ্গভাষানুবাদ সমাজ’ প্রভৃতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনেও তাঁর অবদান অগ্রগণ্য।

মন্তব্য –

উনিশ শতকের বাংলায় নারী শিক্ষার বিস্তারের অন্যতম পুরোধারূপে তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কে ছিলেন?

ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন ছিলেন বড়োলাটের শাসন পরিষদের আইন সদস্য এবং বাংলার শিক্ষা কাউন্সিলের সভাপতি। তিনি নারী শিক্ষার একজন উৎসাহী সমর্থক ছিলেন এবং উনিশ শতকে বাংলায় নারী শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বেথুন সাহেব নারী শিক্ষার প্রসারে কেন আগ্রহী ছিলেন?

বেথুন সাহেব বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষাই নারী সমাজকে কুসংস্কার থেকে মুক্ত করে আধুনিক ও স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। তিনি নারীদের সমাজে সমান অধিকার ও মর্যাদা দেওয়ার জন্য শিক্ষাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে দেখতেন।

হিন্দু ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠায় বেথুন সাহেবের ভূমিকা কী ছিল?

1849 সালে বেথুন সাহেব ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, দক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায়, মদনমোহন তর্কালঙ্কার প্রমুখের সহযোগিতায় কলকাতায় ‘হিন্দু ফিমেল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ছিল বাংলায় নারী শিক্ষার প্রসারে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। পরে এই স্কুলটি ‘বেথুন স্কুল’ নামে পরিচিত হয় এবং 1878 সালে এটি মহাবিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।

বেথুন স্কুলের গুরুত্ব কী ছিল?

বেথুন স্কুল ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম মহিলা কলেজ। এটি নারীদের আধুনিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা প্রদানের পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি নারী শিক্ষার প্রসারে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

বেথুন সাহেব নারী শিক্ষার জন্য আর কী কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন?

বেথুন সাহেব নারীদের সূচিশিল্প, এমব্রয়ডারি, অঙ্কনবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। তিনি মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এছাড়াও, তিনি ‘ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি’, ‘কলকাতা পাবলিক লাইব্রেরি’ এবং ‘বঙ্গভাষানুবাদ সমাজ’ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

বেথুন সাহেবের অবদানকে কীভাবে মূল্যায়ন করা হয়?

ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুনকে উনিশ শতকের বাংলায় নারী শিক্ষা বিস্তারের অন্যতম পুরোধা হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁর উদ্যোগ ও অবদান নারী সমাজকে শিক্ষিত ও স্বাবলম্বী করে তোলার পথ প্রশস্ত করেছিল। তাঁর কাজ বাংলার নারী শিক্ষার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয়।

বেথুন সাহেবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে নারী সমাজকে প্রভাবিত করেছিল?

বেথুন সাহেবের প্রতিষ্ঠানগুলি নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও স্বাবলম্বিতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল। এগুলি নারীদেরকে সমাজে সমান অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিল এবং তাদেরকে কুসংস্কার ও অন্ধকার থেকে মুক্ত করে আধুনিক চিন্তাভাবনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল।

বেথুন সাহেবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি কীভাবে বাংলার সমাজকে পরিবর্তন করেছিল?

বেথুন সাহেবের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বাংলার সমাজে নারী শিক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরেছিল। এটি নারীদেরকে শিক্ষিত করে সমাজে তাদের ভূমিকা ও মর্যাদাকে উন্নত করেছিল এবং নারী-পুরুষের সমানাধিকারের ভিত্তি তৈরি করেছিল।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “উনিশ শতকে নারী শিক্ষা বিস্তারে ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন কী ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন?” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায় “সংস্কার – বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Share via:

মন্তব্য করুন