মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় – উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান – বিষয়সংক্ষেপ

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান‘ বিভাগের বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান - বিষয়সংক্ষেপ
উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান – বিষয়সংক্ষেপ

বিষয়সংক্ষেপ

  • জীবের বসবাসের পরিবেশের সবসময় পরিবর্তন ঘটে। সুবিধাজনক বা অসুবিধাজনক এই পরিবর্তনকে চিনে নিয়ে সেই অনুযায়ী সাড়াপ্রদানকে বলে সংবেদনশীলতা। পরিবেশের এই পরিবর্তনগুলিকে বলে উদ্দীপক। যেমন – সূর্যালোক একটি বাহ্যিক উদ্দীপক, কোশে জলাভাব হল একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক।
  • উদ্ভিদের সাড়াপ্রদানের যে ঘটনা আমরা দেখতে পাই তা হল লজ্জাবতীর Mimosa pudica (মাইমোসা পুডিকা) স্পর্শে নুয়ে পড়া, আর বনচাঁড়াল উদ্ভিদের Desmodium gyrans (ডেসমোডিয়াম গাইর‍্যানস) পার্শ্বীয় পত্রকের অনবরত উল্লম্ব চলন। বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু এই দুটি উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান ক্রেসকোগ্রাফ নামক যন্ত্র দ্বারা পরিমাপ করেন।
  • উদ্ভিদে তিনপ্রকার চলন দেখা যায় – ট্যাকটিক চলন, ট্রপিক চলন এবং ন্যাস্টিক চলন।
  • উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গেলে তাকে বলে ট্যাকটিক চলন। যেমন – আলোর দিকে ভলভক্সের চলন।
  • বাইরের উদ্দীপকের গতিপথ অনুযায়ী উদ্ভিদের দেহাংশের (কাণ্ড, শাখা বা মূলাগ্র) চলনকে বলে ট্রপিক চলন। যেমন – ফোটোট্রপিক (আলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত), হাইড্রোট্রপিক (জলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত) এবং জিওট্রপিক (অভিকর্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত) চলন।
  • উদ্দীপকের তীব্রতা অনুযায়ী উদ্ভিদ দেহাংশের চলনকে ন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন – আলোর তীব্রতা বৃদ্ধিতে সূর্যমুখী ফুল ফোটে (ফোটোন্যাস্টিক), তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে টিউলিপ ফুল ফোটে (থার্মোন্যাস্টিক), লজ্জাবতীর পাতায় হাত দিলে তা মুড়ে যায় (সিসমোন্যাস্টিক) এবং পতঙ্গভুক উদ্ভিদের (সূর্যশিশির, কলসপত্রী) পতঙ্গ শিকার (কেমোন্যাস্টিক)।
  • প্রধান তিনপ্রকার উদ্ভিদ চলনের মধ্যে নানা মিল ও অমিল লক্ষ করা যায়।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় “জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়” অধ্যায়ের ‘উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান‘ বিভাগের বিষয়সংক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কীভাবে?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কীভাবে?

দেখাও যে H₂S গ্যাস অম্লধর্মী। অথবা, দেখাও যে H₂S দ্বি ক্ষারীয় অ্যাসিড?

দেখাও যে H₂S গ্যাস অম্লধর্মী। অথবা, দেখাও যে H₂S দ্বি ক্ষারীয় অ্যাসিড?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শুষ্ক করতে গাঢ় H₂SO₄ বা অনার্দ্র ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহার করা হয় না কেন?

হাইড্রোজেন সালফাইড শুষ্ক করতে কেন গাঢ় H₂SO₄ বা অনার্দ্র CaCl₂ ব্যবহার করা হয় না?

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসকে শনাক্ত করবে কীভাবে?

দেখাও যে H₂S গ্যাস অম্লধর্মী। অথবা, দেখাও যে H₂S দ্বি ক্ষারীয় অ্যাসিড?

হাইড্রোজেন সালফাইড শুষ্ক করতে কেন গাঢ় H₂SO₄ বা অনার্দ্র CaCl₂ ব্যবহার করা হয় না?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুতিতে গাঢ় HNO₃ ব্যবহার করা হয় না কেন?

হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস প্রস্তুতিতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয় না কেন?