জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে – কোনির এই অভিমানের কারণ কী? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

“জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে।” – কোনির এই অভিমানের কারণ কী? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলা দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েও কোনিকে ষড়যন্ত্র করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ট্রেন যাত্রা থেকে শুরু করে হোটেল পর্যন্ত সকলেই তাকে অবহেলার চোখে দেখেছিল। বাংলার সম্মান রক্ষার জন্য ৪×১০০ মিটার রিলে প্রতিযোগিতায় কোনিকে নামতে বলা হলে সে অভিমানে এই আলোচ্য উক্তিটি করে।

প্রতিযোগিতার শেষ ইভেন্ট ছিল ৪×১০০ মিটার রিলে। মহারাষ্ট্র তখন তিন পয়েন্টে এগিয়ে। বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে অবশ্যই ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে। অমিয়ার অসুস্থতার কারণে বিকল্প সাঁতারু হিসেবে কোনিকে ডাকা হয়। বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করার শেষ ভরসা হয়ে ওঠে কোনি। কিন্তু বারবার বঞ্চনা ও অবহেলায় অভিমানী কোনি হিয়া কর্তৃক ‘আনস্পোর্টিং’ অভিহিত হলে তার মাথায় জেদ চেপে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে, চোয়াল শক্ত করে কোনি জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। মহারাষ্ট্রের খ্যাতনামা সাঁতারু রমা যোশির ঝাঁপ দেওয়ার তিন সেকেন্ড পরে কোনি জলে ঝাঁপ দেয়। তবুও তীব্র মনোবল ও হৃদয়ে পুষে রাখা অভিমানকে সম্বল করে কোনি রমা যোশিকে পিছনে ফেলে দেয়। ক্ষিতীশের মরিয়া চিৎকার ‘ফাইট, কোনি ফাইট’ শেষ পর্যন্ত সত্যে পরিণত হয়। কোনির গলায় উঠে সোনার মেডেল, যা যেন সমস্ত অপমানের জবাব।

জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে - কোনির এই অভিমানের কারণ কী? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

“জোচ্চুরি করে আমাকে বসিয়ে রেখে এখন ঠেকায় পড়ে এসেছ আমার কাছে।” – কোনির এই অভিমানের কারণ কী? এর পরবর্তী ঘটনা সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

কোনির অভিমানের কারণ –

  • চক্রান্তের শিকার – মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়ন প্রতিযোগিতায় কোনি বাংলা দলে সুযোগ পেলেও আসল সময়ে তাকে চক্রান্ত করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
  • অবহেলার পাত্রী – ট্রেনে যাত্রা থেকে শুরু করে হোটেল পর্যন্ত সবাই কোনিকে অবহেলার চোখে দেখেছে। বাংলার সম্মান বাঁচানোর জন্য দায়ে পড়ে ৪×১০০ মিটার রিলে প্রতিযোগিতায় কোনিকে নামতে বলা হল সে অভিমানে আলোচ্য উক্তিটি করেছে।

পরবর্তী ঘটনা –

  • চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন – মাদ্রাজে প্রতিযোগিতার শেষ বিষয় ছিল ৪×১০০ মিটার রিলে। মহারাষ্ট্র তখন তিন পয়েন্টে এগিয়ে। বাংলাকে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করতেই হবে। নাহলে চ্যাম্পিয়নের স্বপ্ন সফল হবে না। অমিয়া অসুস্থ থাকার জন্য বিকল্প সাঁতারু হিসেবে কোনির ডাক পড়ে।
  • শেষ ভরসা – বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করার শেষ ভরসা হয়ে ওঠে কোনি। কিন্তু বঞ্চনা আর অবহেলায় অভিমানী কোনি জলে নামতে চায় না।
  • অপমানের জবাব – এই সময় হিয়া কোনিকে ‘আনস্পোর্টিং’ বলে অপমান করলে কোনির মাথায় জেদ চেপে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে, চোয়াল শক্ত করে কোনি নেমে পড়ে জলে। মহারাষ্ট্রের প্রখ্যাত সাঁতারু রমা যোশির ঝাঁপ দেওয়ার তিন সেকেন্ড পরে কোনি জলে ঝাঁপ দেয়। তবুও তীব্র মনোবল আর হৃদয়ে পুষে রাখা অভিমানকে সম্বল করে কোনি রমা যোশিকে পিছনে ফেলে দেয়। ক্ষিতীশের মরিয়া চিৎকার ‘ফাইট, কোনি ফাইট’ শেষপর্যন্ত সত্যে পরিণত হয়। কোনির গলায় ওঠে সোনার মেডেল, তা যেন সমস্ত অপমানের জবাব।

আরও পড়ুন, মাদ্রাজ জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ অনুষ্ঠান কীভাবে জমে উঠেছিল লেখো।

মাদ্রাজে অনুষ্ঠিত জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে কোনির অভিমানী উক্তিটি তার তীব্র প্রতিভা, অদম্য সাহস ও দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। বারবার বঞ্চনা ও অবহেলার শিকার হলেও কোনি হাল ছাড়েনি। বরং অভিমানকে শক্তি করে সে রণক্ষেত্রে নেমে পড়ে এবং বাংলার জন্য সোনার মেডেল জিতে আনে। কোনির এই অর্জন কেবল তার ব্যক্তিগত বিজয় নয়, বরং এটি সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ের প্রতীক।

কোনির গল্প আমাদের শেখানো, জীবনে যতই বাধা বিপত্তি আসুক না কেন, যদি আমাদের মনে জেদ থাকে, লড়াই করার সাহস থাকে, তাহলে অবশ্যই আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারব। কোনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তার জীবন থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি।

এই ঘটনার মাধ্যমে আমরা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাই। কোনির প্রতিভা সত্ত্বেও তাকে দলে নেওয়া হয়নি, বরং ষড়যন্ত্র করে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। এটি আমাদের সমাজের একটি বেদনাদায়ক বাস্তবতা। প্রতিভাবানদের যথাযথ সুযোগ না দেওয়া আমাদের সমাজের এক দীর্ঘদিনের দুর্বলতা। এই দুর্বলতা দূর করতে হবে। প্রতিভাবানদের যথাযথ সুযোগ করে দিতে হবে, যাতে তারা তাদের প্রতিভা বিকশিত করতে পারে এবং দেশের জন্য গৌরব অর্জন করতে পারে।

Share via:

মন্তব্য করুন