ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ভারত বিভাজনের একটা আভাস পাওয়া গেলেও ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের মধ্য দিয়ে তা স্পষ্টরূপ পরিগ্রহ করে। 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 জুলাই লর্ড মাউন্টব্যাটনের পরিকল্পনা অনুসারে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস করা হয় ‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’।

  • দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন – ‘ভারতীয় স্বাধীনতা আইন’ অনুসারে স্থির হয় যে, 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগস্ট ‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ নামে দুটি রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ করবে এবং তারা স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পাবে।
  • পৃথক সংবিধান সৃষ্টি – এতে বলা হয় যে, নিজের নিজের রাষ্ট্রের জন্য তারা গণপরিষদ কর্তৃক স্বাধীনভাবে পৃথক পৃথক সংবিধান রচনা করবে। যতদিন পর্যন্ত এই সংবিধান বলবৎ না হয়, ততদিন 1935 খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইনের সাহায্যে দুটি রাষ্ট্রই শাসনকার্য চালাবে।
  • দেশীয় রাজ্য সম্পর্কে আলোচনা – ভারতের দেশীয় রাজ্যগুলির ওপর 1947 খ্রিস্টাব্দের 15 আগস্ট থেকে ব্রিটিশ সার্বভৌমত্ব আর কার্যকর থাকবে না। এইসব রাজ্য তাদের নিজ নিজ পছন্দ অনুসারে ভারত অথবা পাকিস্তান রাষ্ট্রে যোগদান করতে পারবে।

মন্তব্য –

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভারত বিভাজনের পরিকল্পনা আইনে পরিণত হয়। এই আইনের ভিত্তিতে স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফের নেতৃত্বে ভারত বিভাজন কার্যকর করার জন্য পাঞ্জাব ও বাংলায় দুটি সীমানা-কমিশন নিয়োগ করা হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন কী?

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন (Indian Independence Act, 1947) হল ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি আইন, যা 1947 সালের 15 আগস্ট থেকে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইন কবে পাস হয়?

1947 সালের 15 জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই আইন পাস হয় এবং 18 জুলাই এটি রাজকীয় অনুমোদন পায়।

ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা কবে কার্যকর হয়?

1947 সালের 15 আগস্ট থেকে এই আইন কার্যকর হয় এবং ভারত ও পাকিস্তান দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের প্রধান বিধানগুলি কী ছিল?

ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের প্রধান বিধানগুলি ছিল –
1. ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন ডোমিনিয়ন রাষ্ট্র গঠন।
2. প্রতিটি রাষ্ট্রের জন্য পৃথক গণপরিষদ গঠন ও সংবিধান রচনার অধিকার দেওয়া।
3. দেশীয় রাজ্যগুলিকে স্বাধীনভাবে ভারত বা পাকিস্তানে যোগদানের সুযোগ দেওয়া।
4. ব্রিটিশ সরকারের সার্বভৌমত্বের অবসান ঘটানো।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের কী পরিবর্তন ঘটে?

1. ব্রিটিশ রাজার ভারতের ওপর সার্বভৌমত্ব বিলুপ্ত হয়।
2. গভর্নর-জেনারেলের পদ বজায় রাখা হয়, তবে তিনি ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধি না হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের ফলে কীভাবে ভারত বিভাজন ঘটে?

লর্ড মাউন্টব্যাটেনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়, যার ফলে বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশ বিভক্ত হয়।

ভারতীয় স্বাধীনতা আইনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী?

এটি ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে, তবে বিভাজনের মাধ্যমে এক যুগান্তকারী ও বেদনাদায়ক অধ্যায়ের সূচনা করে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই “ভারতীয় স্বাধীনতা আইন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় “উত্তর-ঔপনিবেশিক ভারত: বিশ শতকের দ্বিতীয় পর্ব (1947-1964)” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

দেশীয় রাজ্য বলতে কী বোঝো? দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

ভারত-বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

ভারত বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব ঠিক কী ছিল, তাই নিয়ে আলোচনা করো।

দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব আলোচনা করো।

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

উত্তর ভারতের নদনদীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কী ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেছিল?

ভারত বিভাজনের অনিবার্যতার কারণ বিশ্লেষণ করো।

ভাঙ্গর ও খাদার বলতে কি বোঝো? ভাঙ্গর ও খাদারের মধ্যে পার্থক্য

দেশীয় রাজ্যগুলি সম্পর্কে জাতীয় কংগ্রেসের মনোভাব আলোচনা করো।