ভারতে সড়কপথ কয়প্রকার ও কী কী?

Rohit

 এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “ভারতে সড়কপথ কয়প্রকার ও কী কী?” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতে সড়কপথ কয়প্রকার ও কী কী
ভারতে সড়কপথ কয়প্রকার ও কী কী

ভারতে সড়কপথ কয়প্রকার ও কী কী?

ভারতে সড়কপথ –

সড়কপথের দৈর্ঘ্যে ভারত পৃথিবীতে তৃতীয় স্থান অধিকার করে। ভারতে মোট সড়কপথের দৈর্ঘ্য প্রায় 33.20 লক্ষ কিমি। এদেশে পাকা রাস্তা ও কাঁচা রাস্তার দৈর্ঘ্য যথাক্রমে 13.34 লক্ষ বর্গকিমি ও 19.86 লক্ষ কিমি। ভারতের সড়কপথকে নিম্নলিখিত সাতটি ভাগে ভাগ করা হয় –

  1. জাতীয় সড়কপথ – যে সমস্ত সড়কপথগুলি একাধিক রাজ্য বা প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রসারিত তাদের জাতীয় রাজপথ বা জাতীয় সড়কপথ বলে। যেমন — NH-6, NH-5, NH-7, ইত্যাদি।
  2. রাজ্য সড়কপথ – যে সমস্ত সড়কপথ রাজ্যের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত তাদের রাজ্য সড়কপথ বলে। যেমন – অসম লিংক রোড, ব্যারাকপুর ট্রাংক রোড।
  3. জেলা সড়কপথ – যে সড়কপথগুলি এক জেলার সঙ্গে অন্য জেলাকে সংযুক্ত করেছে, তাদের জেলা সড়কপথ বলে। ভারতের প্রায় 6 লক্ষ কিমিরও বেশি জেলা সড়কপথ রয়েছে।
  4. গ্রাম্য সড়কপথ – গ্রামের মধ্যে চলাফেরা করার জন্য ব্যবহৃত সড়কপথকে গ্রাম্য সড়কপথ বলে।
  5. সীমান্ত সড়কপথ – আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর নির্মিত সড়ক পথগুলিকে সীমান্ত সড়কপথ বলে। যেমন – মানালি থেকে লেহ সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত সীমান্ত সড়কপথটি পৃথিবীর উচ্চতম সীমান্ত সড়কপথ।
  6. দ্রুত পরিবহণ পথ – দ্রুত গতিতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্নততর পরিকাঠামো যুক্ত সড়কপথকে দ্রুত পরিবহণ পথ বা Express Highway বলে। যেমন – কলকাতা-দুর্গাপুর দ্রুত পরিবহণ পথ।
  7. আর্ন্তজাতিক সড়কপথ – দুই বা দুইয়ের অধিক দেশের মধ্য দিয়ে যে সড়কপথ বিস্তৃত হয় তাকে আন্তর্জাতিক সড়কপথ বলে। যেমন – দিল্লি থেকে পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত প্রসারিত সড়কপথটি আন্তর্জাতিক সড়ক পথের অন্তর্গত।
গ্রাম্য সড়কপথ
গ্রাম্য সড়কপথ

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

ভারতে সড়কপথ কয় প্রকার ও কী কী?

ভারতে সড়কপথ সাত প্রকার, যথা —
1. জাতীয় সড়কপথ।
2. রাজ্য সড়কপথ।
3. জেলা সড়কপথ।
4. গ্রাম্য সড়কপথ।
5. সীমান্ত সড়কপথ।
6. দ্রুত পরিবহণ পথ (এক্সপ্রেস হাইওয়ে)।
7. আন্তর্জাতিক সড়কপথ।

জাতীয় সড়কপথ কাকে বলে?

যেসব সড়কপথ একাধিক রাজ্য বা প্রদেশের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত, সেগুলোকে জাতীয় সড়কপথ বলে। উদাহরণ — NH-6, NH-5, NH-7 ইত্যাদি।

রাজ্য সড়কপথ কী?

যেসব সড়কপথ কোনো রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত, সেগুলোকে রাজ্য সড়কপথ বলে। যেমন — অসম লিংক রোড, ব্যারাকপুর ট্রাংক রোড।

জেলা সড়কপথ বলতে কী বোঝায়?

যেসব সড়কপথ এক জেলাকে অন্য জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে, সেগুলোকে জেলা সড়কপথ বলে। ভারতে প্রায় 6 লক্ষ কিলোমিটারের বেশি জেলা সড়কপথ রয়েছে।

গ্রাম্য সড়কপথ কী?

গ্রামাঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত সড়কপথকে গ্রাম্য সড়কপথ বলে।

সীমান্ত সড়কপথ কাকে বলে?

আন্তর্জাতিক সীমানা বরাবর নির্মিত সড়কপথকে সীমান্ত সড়কপথ বলে। যেমন — মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কপথ, যা বিশ্বের উচ্চতম সীমান্ত সড়কপথ।

দ্রুত পরিবহণ পথ বা এক্সপ্রেস হাইওয়ে কী?

দ্রুত গতিতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্নত পরিকাঠামোযুক্ত সড়কপথকে দ্রুত পরিবহণ পথ বলে। উদাহরণ — কলকাতা-দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে।

আন্তর্জাতিক সড়কপথ কী?

দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সড়কপথকে আন্তর্জাতিক সড়কপথ বলে। যেমন — দিল্লি থেকে পাকিস্তানের লাহোর পর্যন্ত বিস্তৃত সড়কপথ।

ভারতে মোট সড়কপথের দৈর্ঘ্য কত?

ভারতে মোট সড়কপথের দৈর্ঘ্য প্রায় 33.20 লক্ষ কিলোমিটার।

ভারতে পাকা ও কাঁচা রাস্তার দৈর্ঘ্য কত?

ভারতে পাকা রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় 13.34 লক্ষ কিমি এবং কাঁচা রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় 19.86 লক্ষ কিমি।

সড়কপথের দৈর্ঘ্যের দিক থেকে ভারতের বিশ্বে স্থান কত?

সড়কপথের দৈর্ঘ্যের দিক থেকে ভারত বিশ্বে তৃতীয় স্থান অধিকার করে।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভূগোলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “ভারতে সড়কপথ কয়প্রকার ও কী কী?” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের অর্থনৈতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

কলকাতা বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো

কলকাতা বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।

মুম্বাই বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো

মুম্বাই বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।

কলকাতা বন্দরের পরিপূরক বন্দর হিসেবে হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার কারণ

কলকাতা বন্দরের পরিপূরক বন্দর হিসেবে হলদিয়া বন্দর গড়ে ওঠার কারণ

About The Author

Rohit

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

কলকাতা বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।

মুম্বাই বন্দর সম্পর্কে টীকা লেখো।

প্ল্যাটিনাম তারকে সহজেই কাচের দণ্ডে সিল করা যায় কিন্তু তামার তারকে করা যায় না কেন?

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – তাপীয় রোধ

মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান – পদার্থের তাপ পরিবাহিতা