আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” -এর “বায়ুর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়াদি কাকে বলে?
মরু অঞ্চলের ক্ষীণকায়, অনিত্যবহ ও ক্ষল্পস্থায়ী প্রকৃতির নদীগুলির নাম ওয়াদি (wadi)। ওই নদীগুলির খাত প্রায় থাকে না বললেই চলে এবং বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময় শুষ্ক থাকে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে ওয়াদিগুলি কিছুদূর প্রবাহিত হওয়ার পর বালির মধ্যে হারিয়ে যায়। সৌদি আরবের আল বাটন (Al-Batin) একটি বিখ্যাত ওয়াদি।
পেডিমেন্ট বলতে কী বোঝ?
মরু অঞ্চলে পর্বতের পাদদেশে মরু সমপ্রায়ভূমির ওপর মূলত ক্ষণস্থায়ী নদী পাতের আকারে প্রবাহিত হয়ে ক্ষয় করে। এই জলধারা ও কিছুটা বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে যে সামান্য ঢালু (ঢাল 1°-7°) প্রস্তরগঠিত ভূপৃষ্ঠের সৃষ্টি হয়, তাকে পেডিমেন্ট (pediment) বা পর্বত পাদদেশের সমভূমি বলে।
বালিয়াড়ি কাকে বলে?
বালিপূর্ণ বায়ুর গতিপথে গাছপালা, প্রস্তরখণ্ড, ঝোপঝাড় বা অন্য কোনো বাধা থাকলে অথবা না থাকলে বায়ুবাহিত বালির কিছু অংশ সেখানে সঞ্চিত হয়ে উঁচু ঢিপি বা স্তূপের মতো অবস্থান করে। এই ধরনের বালির স্তূপকে বালিয়াড়ি (sand dune) বলা হয়।
বারখান কী?
প্রবহমান বায়ুর গতিপথের সঙ্গে আড়াআড়িভাবে একেবারে আধখানা চাঁদের আকারে যেসব বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে, সেগুলিকে বারখান (barchan) বলা হয়। বারখান প্রকৃতপক্ষে তির্যক বালিয়াড়ির একটি রূপ। এগুলি সাধারণত চলমান বা ভ্রাম্যমাণ হয় এবং উচ্চতা 15 থেকে 30 মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
হামাদা কী?
কোনো মরুভূমিতে বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় বালিকণা প্রায় সম্পূর্ণরূপে অপসারিত হলে ভূপৃষ্ঠে কঠিন শিলাগঠিত একটি উন্মুক্ত মালভূমি প্রায় সমতলভূমিতে পরিণত হয়। একে হামাদা বলে। সাহারা মরুভূমির আলজেরিয়ায় হামাদা দেখা যায়।
কোন্ কোন্ অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়?
কোনো স্থানে বালিয়াড়ি গড়ে ওঠার প্রধান দুটি শর্ত হল – বালিপূর্ণ বায়ুপ্রবাহ এবং মাঝে মাঝে কাঁটাগাছ বা ঝোপঝাড়সমৃদ্ধ বিস্তীর্ণ উন্মুক্ত স্থান। সাধারণত এই ধরনের অনুকূল অবস্থা উয় মরু অঞ্চল, শুষ্ক অঞ্চল এবং সমুদ্রোপকূলে পাওয়া যায় বলে এই তিনটি অঞ্চলে বালিয়াড়ি দেখা যায়।
গৌর কী?
মরুভূমিতে বায়ুর ক্ষয়কার্যের জন্য যত ধরনের ভূমিরূপ গঠিত হয়, তার মধ্যে গৌর অন্যতম। সাধারণত মরু অঞ্চলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্যের জন্য বৃহদাকৃতি শিলাখণ্ডের নিম্নাংশের কোমল শিলা যত বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, ঊর্ধ্বাংশের কঠিন শিলা ততটা হয় না। এর ফলে ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতিবিশিষ্ট শিলাখণ্ডের সৃষ্টি হয়। একে গৌর বা গারা বা ব্যাঙের ছাতার মতো শিলা বলা হয়।
লোয়েস কী?
বায়ুবাহিত পীত রঙের চুনময় প্রবেশ্য সূক্ষ্ম কণাসমূহ লোয়েস (loess) নামে পরিচিত। এরূপ সূক্ষ্ম কণাসমূহ মরুভূমি অথবা বহিঃধৌত সমভূমি থেকে বহু দূরে সঞ্চিত হয়ে সমভূমি গঠন করে, যাকে লোয়েস সমভূমি বলে। উদাহরণ – উত্তর চিনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় লোয়েস সমভূমি দেখা যায়।
মরূদ্যান কী?
অনেক সময় মরু অঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যে বিরাট এলাকা জুড়ে বালি অপসারণের ফলে অবনমিত অংশের গভীরতা ভূগর্ভের জলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর ফলে সেখানে তখন সহজেই জলের সন্ধান পাওয়া যায় এবং (আর্দ্র মাটি এবং জলের সুবিধার জন্য) নানাধরনের গাছ জন্মায়। এইভাবে ধু-ধু মরুভূমির মাঝে গাছপালায় ঢাকা যে সবুজ ভূমিটি গড়ে ওঠে, তাকে মরূদ্যান (oasis) বলা হয়।
ভেন্টিফ্যাক্ট ও ড্রেইকান্টার কী?
ভেন্টিফ্যাক্ট – একদিক থেকে বায়ুপ্রবাহের জন্য বায়ুবাহিত বালিকণা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় শিলাখণ্ডকে ক্ষয় করে। এইভাবে বায়ুপ্রবাহের দিকটি মসৃণ ও ধারালো এবং বাকি দিকগুলি অমসৃণ বা এবড়োখেবড়ো হয়ে উঠলে, তাকে ভেন্টিফ্যাক্ট বলে।
ড্রেইকান্টার – বিভিন্ন দিক থেকে বায়ুপ্রবাহের জন্য বায়ুবাহিত বালিকণা অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় শিলাখণ্ডের তিন দিককে মসৃণ করে তোলে। এরূপ শিলাখণ্ডকে ড্রেইকান্টার বলে।
ধ্রিয়ান কাকে বলে?
মরু অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহের গতি পরিবর্তনের কারণে একস্থানে সঞ্চিত বালিরাশি অন্যস্থানে সরে সরে যায়। তাই এর নাম অস্থায়ী বা চলমান বালিয়াড়ি। রাজস্থানের মরু অঞ্চলে এই ধরনের অস্থায়ী বালিয়াড়িকে ধ্রিয়ান বলা হয়।
সিফ বালিয়াড়ি কাকে বলে?
সিফ শব্দটির অর্থ – সিফ শব্দটির আরবি অর্থ তলোয়ার। মরুভূমিতে গঠিত তলোয়ারের মতো সুদীর্ঘ বালিয়াড়ি হল সিফ বালিয়াড়ি। এইপ্রকার বালিয়াড়ি প্রায় 100 মিটার উঁচু, 600 মিটার প্রশস্ত এবং 100 কিলোমিটার দীর্ঘ হয়।
সিফ বালিয়াড়ির গঠন প্রক্রিয়া – মরু অঞ্চলে দুই বা তিনটি বায়ু পরস্পরের সূক্ষ্মকোণে প্রবাহিত হলে এই বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে। এই বালিয়াড়ি প্রকৃতপক্ষে অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি। বিজ্ঞানী ব্যাগনল্ডের মতে, বারখান থেকেই সিফ বালিয়াড়ি গঠিত হয়।
ব্লো আউট কাকে বলে?
মরু অঞ্চলে বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় গঠিত কয়েক মিটার গভীর, কিন্তু বিশাল আয়তনের গর্তকে ব্লো আউট বলে। এগুলি সাধারণত বালিয়াড়ি অথবা বালির সঞ্চয়কার্যের ফলে গঠিত অঞ্চলে দেখা যায়। বায়ুর অপসারণ-সৃষ্ট অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকার গর্তগুলিকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বাফেলো গর্ত এবং বৃহৎ গর্তগুলিকে মঙ্গোলিয়ায় প্যাং কিয়াং গর্ত বলে।
প্লায়া কী?
মরু অঞ্চলের লবণাক্ত জলের হ্রদগুলির নাম প্লায়া (playa)। এই জাতীয় হ্রদগুলি আফ্রিকার অ্যাটলাস পর্বতে শটস এবং ভারতের থর মরুভূমিতে ধান্দস নামে পরিচিত। অনেক সময় মরু অঞ্চলের অনিত্যবহ ও ক্ষণস্থায়ী নদীগুলি এসে প্লায়ায় পতিত হয়। উদাহরণ – মিশরের কাতারা অবনমিত অঞ্চলে এইরকম অনেক নদী দেখা যায়।
বাজাদা কী?
পেডিমেন্টের নীচের মৃদু ঢালযুক্ত সমতল অংশকে বাজাদা বা বাহাদা (bajada or bahada) বলে। পর্বতের পাদদেশের পললশঙ্কগুলি বিস্তৃত ও পরস্পর সংযুক্ত হয়ে বাজাদা তৈরি করে। বাজাদার ঢাল \(\frac12^\circ\) থেকে \(10^\circ\) পর্যন্ত হয়। এগুলি পলি, কাদা ও নুড়ি দিয়ে গঠিত হয়। আফ্রিকার আটলাস পর্বতের পাদদেশে বাজাদা গড়ে উঠেছে।
বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূমির সামান্য ওপরে কার্যকরী হয় কেন?
ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন অংশটি সামান্য উঁচু-নীচু হয় এবং ভূমিতে ঝোপঝাড় থাকায় বায়ুর গতিবেগ কম হয়। এতে বায়ুবাহিত পদার্থগুলি বাধা পায়। আবার ওপরের অংশে বায়ুর গতিবেগ বেশি থাকলেও বায়ুবাহিত পদার্থের পরিমাণ কম হয়। তাই অবঘর্ষ প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠ থেকে সামান্য উঁচু অংশে বেশি কার্যকরী হয়।
পুচ্ছ বালিয়াড়ি কাকে বলে?
মরুভূমি অঞ্চলে প্রধান বালিয়াড়ির পিছনে যে বালিয়াড়ি তৈরি হয়, তাকে পুচ্ছ বালিয়াড়ি বলে। প্রধান বালিয়াড়ি অংশ থেকে বালি উড়ে এসে ওই ধরনের বালিয়াড়ি গঠিত হয়। পুচ্ছ বালিয়াড়ির সামনে থাকে প্রধান বালিয়াড়ি।
নক্ষত্র বালিয়াড়ি কী?
মরুভূমিতে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়। এতে একজায়গায় ছোটো ছোটো অনেকগুলি বালিয়াড়ি গড়ে ওঠে। অনেক সময় এদের মাঝখানের বালিয়াড়িটি উঁচু হয়ে ওঠে ও উঁচু অংশ থেকে তিন-চার দিকে বালিয়াড়ি প্রসারিত হয়ে নক্ষত্রের আকৃতি ধারণ করে। একেই নক্ষত্র বালিয়াড়ি বলে।
গাসি কাকে বলে?
সিফ বালিয়াড়িগুলি একে অপরের সমান্তরালে গড়ে ওঠে। দুটি সিফ বালিয়াড়ির মাঝখানের অংশকে করিডর বলে। এইসব করিডরগুলি বালিবিহীন বা রেগ দ্বারা বিচ্ছিন্ন থাকে। এইসব করিডরকে সাহারায় গাসি বলে। মরুভূমিতে এইসব করিডরগুলি যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার, সাহারা মরুভূমির কোনো কোনো অংশে সিফ বালিয়াড়িকেও গাসি বলে।
আর্গ কাকে বলে?
মরুভূমিতে কেবলমাত্র বালি দ্বারা গঠিত সমতল অঞ্চলকে আর্গ বলে। যেখানে বায়ু অধিক ক্রিয়াশীল সেখানে বালির পরিমাণ বেশি।
মধ্য অক্ষাংশের মরুভূমির নাম লেখো।
এশিয়ার গোবি, তাকলামাকান, তুর্কিস্তানের মরুভূমি, উত্তর আমেরিকার কলোরাডো মরুভূমি, দক্ষিণ আমেরিকার প্যাটাগোনিয়া মরুভূমি প্রভৃতি মধ্য অক্ষাংশের মরুভূমি।
কয়েকটি নিম্ন অক্ষাংশের মরুভূমির নাম করো।
মোটামুটি 20°-30° উভয় অক্ষাংশের মধ্যে এইসব মরুভূমিগুলি রয়েছে। এইসব মরুভূমিগুলি মহাদেশের পশ্চিম দিকে গড়ে উঠেছে। উত্তর আমেরিকার সোনোরান, দক্ষিণ আমেরিকার আটাকামা, আফ্রিকার সাহারা ও কালাহারি, এশিয়ার থর ও আরব এবং অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম অস্ট্রেলীয় মরুভূমি।
ডেজার্ট পেভমেন্ট কী?
মরু অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠে ঘনভাবে অবস্থিত গোলাকার শিলা, নুড়ি এবং কোণাকার শিলাখণ্ড দিয়ে গঠিত ভূমিরূপকে ডেজার্ট পেভমেন্ট বা ডেজার্ট ফ্লোর বলে। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুর অপসারণ প্রক্রিয়ায় বালি অপসারিত হলে ডেজার্ট পেভমেন্ট গঠিত হয়। এই জাতীয় ভূমিরূপকে পশ্চিম সাহারায় রেগ, পূর্ব সাহারায় সেরীর, মধ্য এশিয়ায় সাই এবং অস্ট্রেলিয়ায় গিবার বলে।
অ্যাডোব কী?
উত্তর আমেরিকার মিসিসিপি-মিসৌরি নদীর উপত্যকায় লোয়েস সঞ্চয় দেখা দেয়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, প্লিসটোসিন যুগে হিমবাহ গঠিত গ্রাবরেখা ও বহিঃবিধৌত সমভূমির সূক্ষ্ম পলি উড়ে এসে এমন লোয়েস ভূমি গঠন করেছে। লোয়েস উত্তর আমেরিকায় অ্যাডোব নামে পরিচিত।
মরু অঞ্চলের প্রসারণের যে-কোনো দুটি কারণ লেখো।
মরুভূমি-সংলগ্ন অঞ্চলে –
- নির্বিচারে গাছ কাটলে এবং
- সেখানে অতিরিক্ত পশুচারণ করলে অঞ্চলটি উদ্ভিদশূন্য হয়ে যায় এবং সেখানে মরুভূমির প্রসারণ ঘটে। [এ ছাড়া বিশ্বউন্নায়নের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন, মরু-সংলগ্ন এলাকাসমূহে অবৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ প্রভৃতি কারণেও মরুভূমির প্রসারণ ঘটে।]
ধান্দ বলতে কী বোঝ?
প্রবল বায়ুপ্রবাহ মরু অঞ্চলের আলগা বালুকণা ও শিলাচূর্ণকে এক জায়গা থেকে আর-এক জায়গায় উড়িয়ে নিয়ে যায়। এর নাম অপসারণ। এর ফলে ক্ষয়প্রবণ স্থানে ভূমির উচ্চতা কমে গিয়ে কড়াই -এর মত অবনত স্থান বা খাদ তৈরি হয়, যাকে অপসারণ গর্ত বা ব্লো আউট বলা হয়। রাজস্থানের থর মরু অঞ্চলে এই ধরনের যেসব অপসারণ গর্ত আছে সেগুলির স্থানীয় নাম ধান্দ।
উত্তর গোলার্ধের দুটি উম্ন মরুভূমির নাম বলো।
উত্তর গোলার্ধের দুটি উম্ন মরুভূমির নাম হল –
- আফ্রিকার সাহারা মরুভূমি এবং
- দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আরবীয় মরুভূমি (ভারত-পাকিস্তানের থর মরুভূমিও উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত)।
মরুকরণ কাকে বলে?
ধারাবাহিকভাবে মরুভূমির সম্প্রসারণ তথা আয়তন বৃদ্ধিকে বাংলায় মরুকরণ এবং ইংরেজিতে ডেজাটিফিকেশন বলে। সাধারণত মরুভূমি-সংলগ্ন অঞ্চলে ধুলোবালির ঝড়, তীব্রগতির বায়ুপ্রবাহ, অতিরিক্ত বাষ্পীভবন, কৃষিভূমি ও তৃণভূমিতে বালিয়াড়ি গড়ে-ওঠা, খরা, ভূমিক্ষয় প্রভৃতির মাধ্যমে মরুকরণ ঘটে। বর্তমানে সাহারা ও থর মরুভূমি-সংলগ্ন অঞ্চলে মরুকরণের সমস্যা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায়।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের প্রথম অধ্যায় “বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” -এর “বায়ুর বিভিন্ন কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
 





মন্তব্য করুন