আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাভাবিক উদ্ভিদ বলতে কী বোঝ?
কোনো স্থানের নির্দিষ্ট বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা ও মৃত্তিকার প্রভাবে কোনোরূপ পরিচর্যা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে যে উদ্ভিদ জন্মায় ও বড়ো হয়, তাকেই বলে স্বাভাবিক উদ্ভিদ। এই স্বাভাবিক উদ্ভিদই বনভূমি বা অরণ্য তৈরি করে।
ভারতের কোথায় কোথায় চিরসবুজ বৃক্ষের বনভূমি আছে?
ভারতের যেসব অঞ্চলে বছরে গড়ে 250 সেমি-র বেশি বৃষ্টিপাত হয় সেইসব স্থানে চিরসবুজ অরণ্য দেখা যায়। যেমন – পূর্ব হিমালয়ের তরাই অঞ্চল, অসমের পার্বত্য অঞ্চল, পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমঢাল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি অঞ্চল।
ভারতের কোথায় কোথায় আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য আছে?
অসমের সমভূমি অঞ্চল, ঝাড়খণ্ড মালভূমি ও গঙ্গা সমভূমির পূর্বাংশ, পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি ও মালভূমি অঞ্চল, ওডিশার মালভূমি ও উপকূল অঞ্চল, পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢালের বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বাদে সমগ্র দাক্ষিণাত্য মালভূমি অঞ্চলে আর্দ্র পর্ণমোচী বৃক্ষের অরণ্য আছে। এই অরণ্যের অপর নাম মৌসুমি অরণ্য।
কয়েকটি চিরসবুজ বৃক্ষের নাম ও ব্যবহার লেখো।
চিরসবুজ বৃক্ষ – শিশু, গর্জন, তুন, পুন, রবার প্রভৃতি।
চিরসবুজ বৃক্ষের ব্যবহার – এই বৃক্ষগুলির কাঠ খুব শক্ত ও ভারী। তাই রেলপথের স্লিপার, বাড়ির আসবাবপত্র, গৃহনির্মাণ প্রভৃতি কাজে এই কাঠ ব্যবহার করা হয়।
ভারতের একটি অঞ্চলের নাম করো যেখানে চিরসবুজ উদ্ভিদ বলয় অবস্থান করে। এই অঞ্চলের জলবায়ু কী ধরনের হয়?
চিরসবুজ উদ্ভিদ অঞ্চল – ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পশ্চিমঢালে চিরসবুজ উদ্ভিদ বলয় দেখা যায়।
জলবায়ু – এই অঞ্চলের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র মৌসুমি প্রকৃতির হয়।
নাতিশীতোষ্ণ পর্ণমোচী অরণ্য ভারতের কোথায় কোথায় দেখা যায়?
পূর্ব হিমালয়ের 1000-2500 মিটার উচ্চতায় ও পশ্চিম হিমালয়ের 500-2000 মিটার উচ্চতায় পার্বত্য ঢালে নাতিশীতোষ্ণ পর্ণমোচী অরণ্য দেখা যায়। এই অরণ্যের প্রধান উদ্ভিদগুলি হল ওক, ম্যাপল, সিডার, ওয়ালনাট প্রভৃতি।
কয়েকটি পর্ণমোচী বৃক্ষের নাম ও ব্যবহার লেখো।
পর্ণমোচী বৃক্ষ – শাল, সেগুন, শিমুল, জারুল, মহুয়া, শিরীষ, আম, জাম, বট, নিম প্রভৃতি ভারতের পর্ণমোচী অরণ্যের উল্লেখযোগ্য বৃক্ষ।
পর্ণমোচী বৃক্ষের ব্যবহার –
- এই অরণ্যের কাঠ থেকে আসবাবপত্র, জানালা, দরজা, যানবাহনের সাজসরঞ্জাম প্রভৃতি তৈরি হয়।
- জ্বালানি কাঠ হিসেবেও গ্রামাঞ্চলে এই কাঠ ব্যবহার করা হয়।
- লাক্ষা থেকে গালা তৈরির জন্য পলাশ, মহুয়া প্রভৃতি গাছে লাক্ষাকীট পালন করা হয়।
ভারতে সরলবর্গীয় অরণ্য কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
পূর্ব হিমালয়ে 2500 মিটার থেকে 4000 মিটার এবং পশ্চিম হিমালয়ে 2000 মিটার থেকে 3200 মিটার উচ্চতায় সরলবর্গীয় বৃক্ষের অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়।
ভারতের মরু অঞ্চলে কী ধরনের উদ্ভিদ জন্মায়?
ভারতের মরু অঞ্চলে ক্যাকটাস, ফণীমনসা, কাঁটাগাছ বা বাবলা, প্রভৃতি মরু উদ্ভিদ জন্মায়। এদের জেরোফাইটিক উদ্ভিদ বলা হয়। এ ছাড়া, খেজুর গাছ এবং বালির ওপর দু-একটি ঘাসও জন্মায়।
আল্পীয় উদ্ভিদ বলতে কী বোঝায়?
পূর্ব হিমালয়ের 4000 মিটার এবং পশ্চিম হিমালয়ের 3200 মিটার উচ্চতায় অর্থাৎ সরলবর্গীয় অরণ্যের আরও ওপরে প্রায় 4500 মিটার উচ্চতায় পূর্ব এবং পশ্চিম হিমালয়ে জুনিপার, রডোডেনড্রন, লার্চ, ভুর্জ প্রভৃতি বৃক্ষ ছাড়াও নানারকমের তৃণ এবং গুল্ম জন্মায়। এইসব উদ্ভিদকে একসঙ্গে আল্পীয় উদ্ভিদ বলে। এখানকার উদ্ভিদগুলি খুব ছোটো ছোটো। ইউরোপের আল্পস পার্বত্য অঞ্চলের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে এই ধরনের উদ্ভিদ দেখা যায় বলে এদের আল্পীয় উদ্ভিদ বলা হয়।
ম্যানগ্রোভ অরণ্য বলতে কী বোঝ?
অথবা, বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে কী জাতীয় অরণ্য দেখা যায়? উদাহরণ দাও।
সমুদ্রোপকূল-সংলগ্ন বদ্বীপের লোনা মাটিতে এক বিশেষ ধরনের জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম-সমন্বিত এবং শ্বাসমূল ও ঠেসমূলবিশিষ্ট চিরসবুজ উদ্ভিদের অরণ্য দেখা যায়, যা ম্যানগ্রোভ অরণ্য নামে পরিচিত। যেমন – সুন্দরী, গরান, গেঁওয়া, হেঁতাল প্রভৃতি ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদের উদাহরণ।
গঙ্গা বদ্বীপের দক্ষিণভাগে অবস্থিত সুন্দরবন ও মহানদী বদ্বীপের ভিতরকণিকা ভারতের দুটি ম্যানগ্রোভ অরণ্য অঞ্চল।
উপকূলীয় বনভূমি বা ম্যানগ্রোভ অরণ্য ভারতের কোথায় কোথায় দেখা যায়?
ভারতের পূর্ব উপকূলে গঙ্গা, মহানদী, গোদাবরী ও কাবেরী নদীর বদ্বীপ-সংলগ্ন এলাকায় উপকূলীয় বনভূমি বা ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়। এর মধ্যে গঙ্গা বদ্বীপের দক্ষিণাংশে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন হল ভারতের বৃহত্তম ও ওডিশার মহানদী বদ্বীপের ভিতরকণিকা হল দ্বিতীয় বৃহত্তম উপকূলীয় বনভূমি বা ম্যানগ্রোভ অরণ্য অঞ্চল।
শোলা বনভূমি কী?
মধ্য এবং দক্ষিণ ভারতের পার্বত্য অঞ্চলে 1500 মিটারের বেশি উচ্চতায় আর্দ্র নাতিশীতোষ্ণ উদ্ভিদ জন্মায়। এই বনাঞ্চলকে স্থানীয়ভাবে শোলা বনভূমি, বলে। এই বনভূমিতে সিঙ্কোনা, এলম, বার্চ, লরেন্স প্রভৃতি গাছ জন্মায়।
ভারতের কোথায় কোথায় অরণ্য গবেষণাগার রয়েছে?
ভারতের প্রধান অরণ্য গবেষণাগারটি হল উত্তরাঞ্চলের দেরাদুন। এ ছাড়া রাজস্থানের যোধপুর, মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর, কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু, তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে এমন অরণ্য গবেষণাগার রয়েছে।
সামাজিক বনসৃজনের দুটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করো।
সামাজিক বনসৃজনের দুটি উদ্দেশ্য হল –
- দেশে বিভিন্ন ধরনের কাঠের উৎপাদন বাড়ানোর মধ্য দিয়ে অব্যবহৃত, পতিত ও পরিত্যক্ত জমির পুনরুদ্ধার করে তা লাভজনক কাজে ব্যবহার করা,
- মিশ্র অরণ্য সৃষ্টির মাধ্যমে জ্বালানির জোগান বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষ ও বিভিন্ন জীবজন্তুর খাদ্যের জোগান বৃদ্ধি করা এবং পরোক্ষভাবে পরিবেশের সামগ্রিক ভারসাম্য রক্ষা করা।
কৃষি বনসৃজন কী?
কৃষিজ ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষক যখন কাঠ, জৈব সার, ফলমূল, ওষুধ প্রভৃতি পাওয়ার জন্য কৃষিজমির মাঝে মাঝে জমির সীমানা বরাবর অথবা অনাবাদী বা পতিত জমিতে প্রয়োজনীয় গাছ লাগিয়ে বনভূমি গড়ে তোলেন তখন তাকে কৃষি বনসৃজন বলে।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমঢালে চিরহরিৎ বনভূমি গড়ে উঠেছে কেন?
ওই দুটি স্থানেই বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 250 সেমির বেশি। এখানকার বার্ষিক উষ্ণতা গড়ে 25°C-27°C এবং বছরের বেশিরভাগ সময়ে জলবায়ু উষ্ণ এবং আর্দ্র থাকে। এজন্যই এখানে চিরসবুজ অরণ্য গড়ে উঠেছে।
পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বঢালে কাঁটাঝোপ ও গুল্ম অরণ্য গড়ে উঠেছে কেন?
পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমঢালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও পূর্বঢালটি বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ওই অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 20-50 সেমি। এখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অল্প বলে জলের স্বল্পতার কারণে উদ্ভিদগুলি কাঁটাযুক্ত এবং গুল্ম প্রজাতির হয়।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যে শ্বাসমূল দেখা যায় কেন?
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের বৃক্ষগুলি নদী মোহানার সূক্ষ্ম কাদা সমন্বিত পলিমাটিতে জন্মায়। এই মাটিতে সচ্ছিদ্রতার পরিমাণ খুব কম। তা ছাড়া এই মাটি বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের লবণাক্ত জলে প্লাবিত থাকে। তাই বায়ু থেকে অক্সিজেন শোষণের জন্য উদ্ভিদের মূলগুলি মাটির ওপরে শ্বাসমূল হিসেবে উঠে আসে।
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে উদ্ভিদের বৈচিত্র্য বেশি কেন?
হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমির ক্ষেত্রে উষ্ণতা এবং উচ্চতার উভয়েরই প্রাধান্য লক্ষ করা যায়। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে উষ্ণতা এবং বৃষ্টিপাত কমে যায়। তাই বক্ষশ্রেণির চারিত্রিক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।
আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশে স্বাভাবিক উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তা কী?
আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশে নানা কারণে স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রয়োজনীয়। যথা –
- বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন এবং কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমতা বজায় রাখার জন্য।
- ভূমিক্ষয় নিবারণ,
- জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ,
- মরুভূমির প্রসার রোধ করার জন্য। এ ছাড়া,
- বাস্তুতন্ত্র বজায় রাখতে,
- কাঠ, মোম, মধু ও
- জীবজগতের ভারসাম্য বজায় রাখতে।
বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে কী জাতীয় অরণ্য দেখা যায়?
বদ্বীপের লবণাক্ত মাটিতে ম্যানগ্রোভ জাতীয় অরণ্য দেখা যায়। এই অরণ্যে সুন্দরী, গরান, গেওয়া, হেঁতাল, ক্যাওড়া, পিটুলি প্রভৃতি গাছ জন্মায়।
ঝুমচাষ কীভাবে বনভূমি ধ্বংস করে?
বনভূমি পুড়িয়ে জমি উদ্ধার করে সেই জমিতে চাষ করার পদ্ধতিকে ঝুমচাষ বলে। যত বেশি ঝুমচাষ করা হবে ততই বৃক্ষচ্ছেদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, ফলে বনভূমির পরিমাণ হ্রাস পাবে।
ভারতের শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য –
- ঘাস, গুল্ম এবং ছড়ানো ছিটানো কিছু পাতাঝরা গাছ, যেমন – পলাশ, কুল, শিরীষ প্রভৃতি গাছ নিয়ে শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য অর্থাৎ এই অরণ্য হালকা প্রকৃতির হয়। শীতকালে বৃক্ষজাতীয় গাছগুলির পাতা ঝরে যায় এবং অধিকাংশ তৃণজাতীয় উদ্ভিদ শুকিয়ে যায় বলে অরণ্যের চেহারা একেবারেই ফাঁকা হয়ে যায়।
- অরণ্যের গাছগুলির উচ্চতা কম, সাধারণত 10 মিটারের বেশি ফাঁকা হয় না এবং সেগুলি চারপাশে এলোমেলোভাবে ঝড়ে।
জলবায়ু কীভাবে ভারতের ক্রান্তীয় চিরসবুজ উদ্ভিদকে প্রভাবিত করে?
ভারতের যেসব অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাত 200 সেমির বেশি, গড় উষ্ণতা 27°C সে এবং বছরে 8-9 মাস বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ খুব বেশি থাকে, সেখানে চিরসবুজ উদ্ভিদের গভীর অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে। বেশি বৃষ্টিপাত ও আর্দ্রতার জন্য মাটি সবসময় ভিজে থাকে বলে গাছের কখনও জলের অভাব হয় না। তাই গাছের পাতাগুলিও সব একসঙ্গে ঝরে পড়ে না অর্থাৎ গাছে সবসময় সবুজ পাতা থাকে এবং তাই এই বনভূমিও চিরসবুজ। তা ছাড়া উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ার জন্য এই অরণ্যের গাছগুলি দ্রুত বাড়ে, গাছের পাতাগুলি বড়ো হয় এবং চারপাশে শাখাপ্রশাখা এমনভাবে প্রসারিত হয় যে সেগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে চাঁদোয়ার আকার ধারণ করে, যার মধ্যে দিয়ে ভূমিতে সূর্যের, আলো এসে পৌঁছাতে পারে না। ফলে অরণ্যের অভ্যন্তরে একটা অন্ধকার পরিবেশ বিরাজ করে।
ভারতের কোথায় কোথায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য দেখা যায়?
ম্যানগ্রোভ অরণ্য – গঙ্গা বদ্বীপের দক্ষিণাংশে সুন্দরবন অঞ্চলে ভারতের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনভূমি সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর বদ্বীপ এলাকা এবং আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপকূলভাগেও কিছু পরিমাণ ম্যানগ্রোভ অরণ্য আছে।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দুটি বৈশিষ্ট্য –
- ম্যানগ্রোভ অরণ্যের উদ্ভিদের শ্বাসমূল থাকে। কারণ যে লবণাক্ত মৃত্তিকায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সৃষ্টি হয়, তা শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মৃত্তিকা হওয়ায় শ্বাসকার্যের সুবিধার জন্য উদ্ভিদের শিকড়গুলি মাটি ফুঁড়ে ওপরের দিকে উঠে যায় এবং এইভাবে বায়ু থেকে অক্সিজেন সংগ্রহ করে। এইসব শিকড়কে শ্বাসমূল বলে।
- ভেজা নরম মৃত্তিকায় গাছের কাণ্ডের সোজাভাবে যাতে বজায় থাকে, তাই গাছের গোড়ার চারপাশে অনেক ঠেসমূল সৃষ্টি হয়।
আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোলের পঞ্চম অধ্যায় “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” -এর “ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ” বিভাগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ “সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) ভূগোল পরীক্ষার জন্য ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক (দশম শ্রেণী) পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায় দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে, আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
 





মন্তব্য করুন