এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ “বৈদ্যুতিক মোটর” নিয়ে আলোচনা করব। এই অংশটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “বৈদ্যুতিক মোটর” অংশটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ” -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই “বৈদ্যুতিক মোটর” থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

বৈদ্যুতিক মোটর কোন্ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত?
বৈদ্যুতিক মোটরের নীতি – তড়িৎবাহী পরিবাহীর ওপর চুম্বকের ক্রিয়ায় পরিবাহীর মধ্যে যে গতির সৃষ্টি হয় তার ওপর নির্ভর করে বৈদ্যুতিক মোটর তৈরি করা হয়।
বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি কী কী উপায়ে বাড়ানো যায়?
বৈদ্যুতিক মোটরের শক্তি বাড়ানোর উপায় –
- আর্মেচারের মধ্যে তড়িৎপ্রবাহের মাত্রা বাড়িয়ে।
- আর্মেচারের তারের পাকসংখ্যা বাড়িয়ে।
- ক্ষেত্র চুম্বকের চৌম্বকশক্তি বাড়িয়ে।
বৈদ্যুতিক মোটর ও ডায়নামোর মধ্যে মূল পার্থক্য কী?
বৈদ্যুতিক মোটর ও ডায়নামোর মধ্যে পার্থক্য –
- বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু ডায়নামোতে যান্ত্রিক শক্তি তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
- বৈদ্যুতিক মোটরের আবর্তন ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়ম মেনে হয়। ডায়নামোতে আবিষ্ট তড়িৎচালক বলের অভিমুখ ফ্লেমিং -এর দক্ষিণহস্ত নিয়ম মেনে হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
বৈদ্যুতিক মোটরের কার্যকারিতা বা শক্তি কীভাবে বাড়ানো যায়?
মোটরের শক্তি প্রধানত তিনটি উপায়ে বাড়ানো যায় –
1. আর্মেচারে প্রবাহিত তড়িৎপ্রবাহের মাত্রা বাড়িয়ে।
2. আর্মেচার কয়েলের পাকসংখ্যা (কুণ্ডলীর সংখ্যা) বাড়িয়ে।
3. ক্ষেত্র চুম্বকের (Field Magnet) চৌম্বকশক্তি বাড়িয়ে।
বৈদ্যুতিক মোটরের ঘূর্ণনের দিক কোন নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হয়?
বৈদ্যুতিক মোটরের ঘূর্ণনের দিক ফ্লেমিং -এর বামহস্ত নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত হয়।
বৈদ্যুতিক মোটরের প্রধান কাজ কী?
বৈদ্যুতিক মোটরের প্রধান কাজ হলো বিদ্যুৎশক্তিকে ব্যবহার করে কোনো যন্ত্র (যেমন – পাখা, পাম্প, ড্রিল মেশিন ইত্যাদি) চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যান্ত্রিক শক্তি সরবরাহ করা।
বৈদ্যুতিক মোটরে ‘আর্মেচার’ কী?
আর্মেচার হলো মোটরের সেই ঘূর্ণনশীল অংশ, যার উপর তারের কুণ্ডলী পেঁচানো থাকে। এতে তড়িৎ প্রবাহ পাঠানো হলে এটি একটি তড়িৎচুম্বকে (Electromagnet) পরিণত হয় এবং চৌম্বকক্ষেত্রের সাথে ক্রিয়া করে ঘুরতে থাকে।
বৈদ্যুতিক মোটরে ‘ক্ষেত্র চুম্বক’-এর ভূমিকা কী?
ক্ষেত্র চুম্বক একটি শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র সৃষ্টি করে। আর্মেচার যখন এই চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্যে অবস্থান করে, তখন আর্মেচার ও ক্ষেত্র চুম্বকের মধ্যে একটি বলের ক্রিয়া ঘটে, যা আর্মেচারকে ঘুরতে বাধ্য করে।
ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম বলতে কী বোঝায়?
এটি একটি স্মরণিকা নিয়ম। বাম হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অঙ্গুষ্ঠকে পরস্পরের সাথে লম্বভাবে রাখলে –
1. তর্জনী নির্দেশ করে চৌম্বকক্ষেত্রের দিক (উত্তর থেকে দক্ষিণ),
2. মধ্যমা নির্দেশ করে তড়িৎ প্রবাহের দিক,
3. অঙ্গুষ্ঠ নির্দেশ করে পরিবাহীর গতি বা বলের দিক।
বৈদ্যুতিক মোটর এবং জেনারেটর (ডায়নামো) কি একই?
না, তারা একই যন্ত্র নয়, যদিও তাদের গঠন প্রায় একই ধরনের। তাদের কাজ একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত। মোটর বিদ্যুৎ থেকে গতি (যান্ত্রিক শক্তি) উৎপন্ন করে, আর জেনারেটর বা ডায়নামো গতি (যান্ত্রিক শক্তি) থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ “বৈদ্যুতিক মোটর” নিয়ে আলোচনা করেছি। এই অংশটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “বৈদ্যুতিক মোটর” অংশটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই “বৈদ্যুতিক মোটর” অংশটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন