অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।

Souvick

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।
Contents Show

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম – যদি কোনো ব্যক্তি তড়িৎবাহী তার বরাবর প্রবাহের অভিমুখে এমনভাবে হাত ছড়িয়ে সাঁতার কাটে যাতে লোকটির মুখ চুম্বকশলাকার দিকে থাকে তবে এই অবস্থায় লোকটির বাম হাত যেদিকে থাকবে, সেই দিকে চুম্বকশলাকার উত্তরমেরুর বিক্ষেপ হবে।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম কী?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম একটি সহজ নিয়ম যা ব্যবহার করে তড়িৎবাহী তারের চারপাশে উৎপন্ন চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্ণয় করা যায়। নিয়মটি তড়িৎপ্রবাহ ও চৌম্বকক্ষেত্রের দিকের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি তড়িৎ ও চুম্বকত্বের মধ্যকার সম্পর্ক (তড়িচ্চুম্বকীয় বল) বোঝার একটি মৌলিক এবং ব্যবহারিক পদ্ধতি। ইলেকট্রিক মোটর, জেনারেটর, ট্রান্সফরমার ইত্যাদি যন্ত্রের কার্যপ্রণালী বুঝতে এই নিয়ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি প্রয়োগ করার সময় কোন দিকটি মূলত নির্ধারণ করা হয়?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি ব্যবহার করে মূলত তড়িৎবাহী তারের চারপাশে সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্রের রেখাগুলোর দিক বা চৌম্বকশলাকার উত্তরমেরুর সঞ্চালনের দিক নির্ধারণ করা হয়।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মে তড়িৎপ্রবাহের দিক পরিবর্তন করলে কী হবে?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মে তড়িৎপ্রবাহের দিক পরিবর্তন করলে চৌম্বক ক্ষেত্রের দিকও বিপরীত হয়ে যাবে। অর্থাৎ, পূর্বে যেদিকে চৌম্বকশলাকার উত্তরমেরু বিক্ষিপ্ত হয়েছিল, এখন তার বিপরীত দিকে বিক্ষেপ হবে।

‘সন্তরণ কাটা’র উপমাটি কী বোঝায়?

‘সন্তরণ কাটা’র উপমাটি একটি মানবদেহকে একটি তুলনা চিত্র হিসেবে ব্যবহার করে। এটি মনে করিয়ে দেয় যে ব্যক্তিটি অবশ্যই তার বরাবর সাঁতার কাটবে (তড়িৎপ্রবাহের দিক) এবং তার মুখটি চৌম্বকশলাকার (পর্যবেক্ষণ বিন্দু) দিকে রাখবে।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি কার নামে নামকরণ করা হয়েছে?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি ফরাসি পদার্থবিদ ও গণিতবিদ আঁদ্রে-মারি অ্যাম্পিয়ার-এর নামে নামকরণ করা হয়েছে, যিনি তড়িৎচুম্বকত্বের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম এবং ফ্লেমিংয়ের বামহস্ত নিয়মের মধ্যে পার্থক্য কী?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম মূলত তড়িৎবাহী তারের চারপাশে চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্ণয় করে। অন্যদিকে, ফ্লেমিংয়ের বামহস্ত নিয়ম ব্যবহার করা হয় তড়িৎপ্রবাহী পরিবাহীর উপর ক্রিয়াশীল বলের দিক (যেমন, মোটরে) নির্ণয়ের জন্য। দুটি নিয়ম ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।

ডানহস্ত নিয়মের সাথে অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটির কী সম্পর্ক?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়ম আসলে একটি ডানহস্ত নিয়ম। যদি আপনি আপনার ডানহাতটি প্রসারিত করেন যাতে আঙ্গুলগুলি তড়িৎপ্রবাহের দিক নির্দেশ করে এবং হাতটি চৌম্বকশলাকার দিকে থাকে, তবে আপনার ডান হাতের বুড়ো আঙুল চৌম্বকক্ষেত্রের রেখার দিক (উত্তর মেরুর দিক) নির্দেশ করবে। সন্তরণের উপমাটি ডানহস্ত নিয়মেরই একটি ভিন্ন রূপ।

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি কোন কোন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি যে কোনো সোজা তড়িৎবাহী তার, বৃত্তাকার কুণ্ডলী (লুপ) এবং সোলেনয়েডের চারপাশের চৌম্বক ক্ষেত্রের দিক নির্ণয় করার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

চৌম্বকশলাকার উত্তরমেরুর বিক্ষেপ বলতে কী বোঝায়?

চৌম্বকশলাকার উত্তরমেরু সেই দিকে ঘুরে যাওয়াকে বোঝায়, যেদিকে তার চৌম্বক ক্ষেত্রের রেখাগুলো নির্দেশ করে। অর্থাৎ, চৌম্বকক্ষেত্রের দিকই হলো চৌম্বকশলাকার উত্তরমেরুর সঞ্চালনের দিক।


এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন “অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।” নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই “অ্যাম্পিয়ারের সন্তরণ নিয়মটি লেখো।” প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের ষষ্ঠ অধ্যায় “চলতড়িৎ“ -এর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

ব্রোমিনের সঙ্গে অ্যাসিটিলিনের যুত বিক্রিয়াটি উল্লেখ করো।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

কার্যকরী মূলক বা ক্রিয়াশীল গ্রুপ কাকে বলে? কার্যকরী মূলক ও জৈব মূলকের পার্থক্য বুঝিয়ে দাও।

একটি জৈব যৌগের আণবিক সংকেত C₂H₄O₂। যৌগটি জলে দ্রাব্য এবং যৌগটির জলীয় দ্রবণে NaHCO₃ যোগ করলে CO₂ নির্গত হয়। জৈব যৌগটিকে শনাক্ত করো। জৈব যৌগটির সঙ্গে ইথানলের বিক্রিয়া শর্ত ও সমিত রাসায়নিক সমীকরণসহ লেখো।

C₂H₄O₂ সংকেতের একটি জৈব যৌগ NaHCO₃-এর সাথে CO₂ গ্যাস দেয়। যৌগটি শনাক্ত করো ও ইথানলের সাথে এর বিক্রিয়ার শর্তসহ সমীকরণ দাও।

About The Author

Souvick

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণস্থল উল্লেখ করে এর প্রধান কাজগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

ইনসুলিন হরমোনের প্রধান কাজগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে? উদাহরণসহ হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

প্রাণীদেহের বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণে হরমোনের ভূমিকা সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

প্রাণী হরমোনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষেপে বর্ণনা করো।