এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “অ্যামোনিয়ার প্রধান ভৌত ধর্মগুলি লেখো। অ্যামোনিয়ার ব্যবহার উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যামোনিয়ার প্রধান ভৌত ধর্মগুলি লেখো।
অ্যামোনিয়ার ভৌত ধর্ম (Physical properties of ammonia) –
- অবস্থা – গ্যাস।
- বর্ণ – বর্ণহীন।
- গন্ধ – ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত।
- স্বাদ – সামান্য ক্ষারকীয় স্বাদ।
- চাপের প্রভাব – চাপ প্রয়োগে তরলে পরিণত করা যায়।
- ঘনত্ব – বায়ুর চেয়ে অ্যামোনিয়া হালকা।
- দ্রাব্যতা – অ্যামোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রাব্য এবং জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী।
অ্যামোনিয়ার ব্যবহার উল্লেখ করো।
অ্যামোনিয়ার ব্যবহার (Uses of ammonia) –
- অ্যামোনিয়াম সালফেট [(NH₄)₂SO₄], অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH₄NO₃), অ্যামোনিয়াম ফসফেট [(NH₄)₃PO₄] প্রভৃতি অজৈব সার এবং জৈব সার ইউরিয়া [CO(NH₂)₂] প্রস্তুত করতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়।
- সলভে পদ্ধতিতে সোডিয়াম কার্বনেট, অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে নাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়।
- কোনো কোনো ওষুধ প্রস্তুতিতে এবং স্মেলিং সল্ট প্রস্তুতিতে এটি ব্যবহৃত হয়।
- বরফ কারখানায় বরফ প্রস্তুতিতে এবং অন্যান্য শীতলীকরণে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
অ্যামোনিয়া গ্যাসের সবচেয়ে সহজে চেনার উপায় কী?
অ্যামোনিয়া গ্যাসের একটি তীব্র ও ঝাঁজালো গন্ধ রয়েছে, যা এটি শনাক্ত করার সবচেয়ে সহজ উপায়।
অ্যামোনিয়া গ্যাসকে কীভাবে তরল অ্যামোনিয়ায় পরিণত করা যায়?
চাপ প্রয়োগ করলে অ্যামোনিয়া গ্যাস সহজেই তরল অবস্থায় পরিণত হয়।
অ্যামোনিয়া গ্যাস বায়ুর চেয়ে হালকা নাকি ভারী?
অ্যামোনিয়া গ্যাস বায়ুর চেয়ে হালকা।
অ্যামোনিয়া জলে দ্রবণীয় কিনা এবং তার জলীয় দ্রবণের প্রকৃতি কেমন?
হ্যাঁ, অ্যামোনিয়া জলে অত্যন্ত দ্রবণীয়। এর জলীয় দ্রবণ ক্ষারধর্মী হয়।
অ্যামোনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার কোন ক্ষেত্রে?
অ্যামোনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হল সার উৎপাদন, যেমন – অ্যামোনিয়াম সালফেট, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, এবং জৈব সার ইউরিয়া।
শিল্পক্ষেত্রে অ্যামোনিয়া দিয়ে কোন কোন রাসায়নিক দ্রব্য প্রস্তুত করা হয়?
সলভে পদ্ধতিতে সোডিয়াম কার্বনেট (ধোয়ার সোডা) এবং অসওয়াল্ড পদ্ধতিতে নাইট্রিক অ্যাসিড প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হয়।
অ্যামোনিয়ার দৈনন্দিন জীবনে কোনো ব্যবহার আছে কি?
হ্যাঁ, স্মেলিং সল্ট (ঘ্রাণ নেওয়ার লবণ) হিসাবে এবং কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতিতে অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা হয়।
অ্যামোনিয়ার স্বাদ কেমন?
অ্যামোনিয়ার একটি সামান্য ক্ষারকীয় স্বাদ রয়েছে। তবে, এটি একটি বিষাক্ত গ্যাস হওয়ায় কখনোই স্বাদ নেওয়া উচিত নয়।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “অ্যামোনিয়ার প্রধান ভৌত ধর্মগুলি লেখো। অ্যামোনিয়ার ব্যবহার উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “পরীক্ষাগার ও রাসায়নিক শিল্পে অজৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন