এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জ্বালানিরূপে CNG ব্যবহারের সুবিধাগুলি উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জ্বালানিরূপে CNG ব্যবহারের সুবিধাগুলি উল্লেখ করো।
CNG ব্যবহারের সুবিধা –
- CNG -এর তাপনমূল্য অন্যান্য জ্বালানি যেমন – ডিজেল, LPG বা কেরোসিনের তুলনায় বেশি হওয়ায়, কম পরিমাণ CNG -এর দহনে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। তাই জ্বালানিরূপে এর ব্যবহার সর্বোত্তম।
- CNG -তে কার্বনের পরিমাণ কম হওয়ায় এর দহনে কম পরিমাণ কার্বন কণা ও CO₂ গ্যাস উৎপন্ন হয় এবং ছাই উৎপন্ন না হওয়ায় এটির দহনে পরিবেশ দূষণ তুলনামূলক কম হয়।
- CNG -এর জ্বলনাঙ্ক (1350°F) খুব বেশি হওয়ায় সহজে জ্বলে ওঠে না, ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
CNG -এর তাপনমূল্য বেশি বলতে কী বোঝায়?
CNG -এর তাপনমূল্য বেশি হওয়ার মানে হলো, অন্যান্য জ্বালানির (যেমন ডিজেল, পেট্রোল, কেরোসিন) তুলনায় খুব অল্প পরিমাণ CNG পোড়ালেও প্রচুর পরিমাণে তাপশক্তি উৎপন্ন হয়। এই কার্যকারিতার কারণে এটি একটি উৎকৃষ্ট জ্বালানি।
CNG পরিবেশ বান্ধব কেন?
CNG -তে কার্বনের পরিমাণ কম থাকে। তাই এটি পোড়ানোর সময় খুবই কম পরিমাণে কালো ধোঁয়া (কার্বন কণা), কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂) এবং অন্যান্য ক্ষতিকর গ্যাস নির্গত হয়। এছাড়াও, এটির দহনে কোনও ছাই তৈরি হয় না, ফলে বায়ু দূষণ অনেকাংশে হ্রাস পায়।
CNG কি নিরাপদ জ্বালানি?
হ্যাঁ, CNG একটি তুলনামূলকভাবে নিরাপদ জ্বালানি। কারণ এর জ্বলনাঙ্ক (যে তাপমাত্রায় এটি নিজে থেকে জ্বলে ওঠে) খুবই বেশি, যা প্রায় 1350° ডিগ্রি ফারেনহাইট। এই উচ্চ জ্বলনাঙ্কের কারণে এটি সহজে আগুন ধরে না এবং দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা অন্যগুলোর তুলনায় কম।
CNG এবং LPG গ্যাসের মধ্যে পার্থক্য কী?
CNG এবং LPG দুটিই প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে প্রাপ্ত হলেও এদের সংকোচনের পদ্ধতি ও গঠন এক নয়।
1. CNG (Compressed Natural Gas) – এটি মূলত মিথেন গ্যাস দিয়ে তৈরি এবং খুব উচ্চচাপে সংকুচিত করে সংরক্ষণ করা হয়। এটি মূলত যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়।
2. LPG (Liquefied Petroleum Gas) – এটি মূলত প্রোপেন ও বিউটেন গ্যাসের মিশ্রণ এবং কম চাপে তরল অবস্থায় সংরক্ষণ করা হয়। এটি সাধারণত রান্নার কাজে ও কিছু যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। CNG বায়ুর চেয়ে হালকা হওয়ায় দ্রুত বাতাসে মিশে যায়, কিন্তু এলপিজি বায়ুর চেয়ে ভারী হওয়ায় মাটির কাছে জমে থাকতে পারে।
CNG ব্যবহারের অর্থনৈতিক সুবিধা কী?
পেট্রোল বা ডিজেলের তুলনায় CNG -র দাম সাধারণত অনেক কম। এছাড়া যানবাহনের জ্বালানি খরচ কমে ও দক্ষতাও বাড়ে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে এটি একটি সাশ্রয়ী বিকল্প।
CNG ব্যবহারের কোন অসুবিধা আছে কি?
হ্যাঁ, কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যেমন –
1. CNG সিলিন্ডার ভারী হওয়ায় গাড়িতে অনেক জায়গা নেয়।
2. পেট্রোল/ডিজেলের তুলনায় CNG ফিলিং স্টেশনের সংখ্যা কম।
3. CNG ট্যাঙ্কের কারণে গাড়ির বুটের জায়গা কমে যায়।
4. পেট্রোল ইঞ্জিনের তুলনায় CNG ইঞ্জিনের শক্তি কিছুটা কম হতে পারে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “জ্বালানিরূপে CNG ব্যবহারের সুবিধাগুলি উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন