এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়া উল্লেখ করো। অথবা, ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়ার শর্তগুলি উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করব। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়া উল্লেখ করো।
অথবা, ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়ার শর্তগুলি উল্লেখ করো।
ইথিলিনের পলিমারিজেশন – ইথিলিনকে উচ্চচাপে (1500-2000 atm) তরল করে পারক্সাইড, অক্সিজেন বা ক্রোমিয়াম অক্সাইড অনুঘটকের উপস্থিতিতে 150°C – 200°C তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করলে বহুসংখ্যক ইথিলিন অণু পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পলিইথিলিন বা পলিথিন নামক সাদা কঠিন পদার্থ উৎপন্ন হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
ইথিলিনের পলিমারাইজেশন বিক্রিয়াটি কী?
এটি একটি যুত বিক্রিয়া (Addition Reaction) যেখানে হাজার হাজার ইথিলিন (C₂H₄) অণু পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে একটি বৃহৎ অণু গঠন করে, যার নাম পলিইথিলিন বা পলিথিন।
ইথিলিনের পলিমারাইজেশন বিক্রিয়ার শর্তগুলো কী কী?
বিক্রিয়ার প্রধান শর্তগুলো হল –
1. উচ্চ চাপ – 1500 – 2000 বায়ুমণ্ডল (atm)।
2. উচ্চ তাপমাত্রা – 150°C – 200°C।
3. অনুঘটক – পারক্সাইড (যেমন – বেনজয়েল পারক্সাইড), অক্সিজেন বা ক্রোমিয়াম অক্সাইডের মতো অনুঘটকের উপস্থিতি।
ইথিলিনের পলিমারাইজেশন বিক্রিয়ায় অনুঘটকের প্রয়োজন কেন?
অনুঘটক বিক্রিয়ার সক্রিয়ণ শক্তি (Activation Energy) কমিয়ে দেয়, যা ইথিলিন অণুগুলিকে স্বাভাবিকের চেয়ে কম শক্তিতে পলিমার হিসেবে যুক্ত হতে সাহায্য করে। এটি বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে এবং কাঙ্ক্ষিত পলিমার উৎপাদন নিশ্চিত করে।
ইথিলিনের পলিমারাইজেশন পদ্ধতিতে উৎপন্ন পলিথিনের সাধারণ নাম কী?
এই উচ্চচাপ পদ্ধতিতে উৎপন্ন পলিথিনকে “লো-ডেনসিটি পলিইথিলিন” (LDPE) বা নিম্ন-ঘনত্বের পলিইথিলিন বলা হয়।
পলিথিনের সাধারণ ব্যবহার কী?
পলিথিন দিয়ে প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, খেলনা ইত্যাদি তৈরি করা হয়। (এই তথ্যটি মূল পাঠ্যে নেই, তবে এটি একটি সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক সংযোজন)
ইথিলিনের পলিমারাইজেশন বিক্রিয়ায় উচ্চচাপের প্রয়োজন কেন?
উচ্চচাপ ইথিলিন গ্যাসকে তরল অবস্থায় নিয়ে আসে এবং অণুগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ ও সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, যা পলিমারাইজেশন বিক্রিয়া সূচনা ও বজায় রাখতে সহায়তা করে।
‘পলিমারাইজেশন’ কথাটির সাধারণ অর্থ কী?
পলিমারাইজেশন হলো একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া যেখানে অনেকগুলো ক্ষুদ্র, সরল অণু (মনোমার) পরস্পর যুক্ত হয়ে একটি বৃহৎ আণবিক ভরবিশিষ্ট জটিল অণু (পলিমার) গঠন করে।
এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন — “ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়া উল্লেখ করো। অথবা, ইথিলিনের পলিমারিজেশন বিক্রিয়ার শর্তগুলি উল্লেখ করো।” — নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভৌতবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় “পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ” -এর “জৈব রসায়ন” অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষা এবং বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি প্রায়ই আসে, তাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা থাকলে, আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব। তাছাড়া, নিচে আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জনের সাথে শেয়ার করুন, যাদের এটি প্রয়োজন হতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন