এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়। — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

“শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “”শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়।’ — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?” এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

এই অংশে আমরা ক্ষিতীশ সিংহের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। তিনি ছিলেন একজন সংযমী ও নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেন। তিনি মনে করতেন খিদের মুখে যা পাই তাই অমৃতের মতো লাগে। তিনি বাঙালিয়ানা রান্নায় স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না বলে মনে করতেন, তাই প্রায় সব কিছু কুকারে সিদ্ধ করেই তিনি খেতেন। তিনি শরীরচর্চা ও সংযম পালনকে মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় বলে মনে করতেন।

ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন একজন দক্ষ সাঁতারু এবং সাঁতারের প্রতি তাঁর ছিল দারুণ ভালোবাসা। তিনি সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ দিতেন এবং তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করতেন। তিনি মনে করতেন সাঁতার একটি সুন্দর খেলা এবং এটি শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে।

এই অংশ থেকে আমরা ক্ষিতীশ সিংহের সংযম, নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা, দায়িত্ববোধ এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রতি বিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা পাই।

শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়। — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

“শরীরের নাম মহাশয় যা সহাবে তাই সয়।” — ক্ষিতীশ সিংহের এই উক্তিতে তার কীরূপ মানসিকতা ফুটে উঠেছে?

  • কথামুখ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে ক্ষিতীশ সিংহ এই প্রবাদবাক্যটি উল্লেখ করেছেন
  • সংযমী ও নিয়ন্ত্রক – এই বাক্যের মাধ্যমে মধ্যবয়সি মানুষটির শরীর ও মন সম্পর্কে অপূর্ব সংযম ও নিয়ন্ত্রণের ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মানুষটি প্রতিদিন শরীরচর্চা করতেন। নিজেই স্পষ্ট বলেছেন খিদের মুখে যা পাই তাই অমৃতের মতো লাগে। শরীর সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন মানুষটি বাড়িতেও তাঁর এই আদর্শ মেনে চলতেন। তাঁর সংসারে খাওয়ার আয়োজন ছিল সামান্যই।
  • সিদ্ধ খাবারে আগ্রহী – ক্ষিতীশ মনে করতেন বাঙালিয়ানা রান্নায় স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না, তাই প্রায় সব কিছু কুকারে সিদ্ধ করেই তিনি খেতেন। তাঁর মতে খাদ্যপ্রাণ যথাসম্ভব অটুট থাকে সিদ্ধ খাবার খেলে। ক্ষিতীশ সিংহের স্ত্রী প্রথমদিকে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন এবং রান্নায় মশলা ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গোঁয়ার ক্ষিতীশের তেজের কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। শরীরচর্চা ও সংযম পালনই মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে বলে ক্ষিতীশ মনে করতেন
  • বিশেষ গুণের প্রতি পক্ষপাতিত্ব – এককথায় ক্ষিতীশ সিংহের সাঁতার ও সাঁতারুদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য বোধ এবং কঠোর পরিশ্রম ও কৃচ্ছ্রসাধনে প্রতি তাঁর পক্ষপাত আলোচ্য উক্তিতে ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুন, সোনার মেডেল-ফেডেল কিছু নয় রে, ওগুলো এক একটি চাকতি মাত্র। – কে, কাকে এ কথা বলেছেন? এই উক্তির মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?

এই অংশে আমরা দেখতে পাই ক্ষিতীশ সিংহ একজন সংযমী ও নিয়ন্ত্রিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতেন। তিনি মনে করতেন সিদ্ধ খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তিনি একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন এবং সাঁতারের প্রতি তাঁর ছিল দারুণ ভালোবাসা। তিনি সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ দিতেন এবং তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করতেন।

Share via:

মন্তব্য করুন