এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

কান্তি যে বলেছিল, লোকেরা এসে পিন দিয়ে টাকা আটকে দেয় জামায়, কই দিল না তো! – কে কখন এ কথা বলেছে? বক্তার হতাশ হওয়ার কারণ কী?

“কান্তি যে বলেছিল, লোকেরা এসে পিন দিয়ে টাকা আটকে দেয় জামায়, কই দিল না তো!” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”কান্তি যে বলেছিল, লোকেরা এসে পিন দিয়ে টাকা আটকে দেয় জামায়, কই দিল না তো!” – কে কখন এ কথা বলেছে? বক্তার হতাশ হওয়ার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি”র প্রধান চরিত্র কোনি, নেতাজি বালক সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত কুড়ি ঘণ্টা অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বেশিরভাগ প্রতিযোগী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদায় নিলেও কোনি পুরো সময়টা হেঁটে প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ করে।

কিন্তু, প্রতিযোগিতায় দর্শকদের উৎসাহ দানের জন্য টাকা আটকে দেওয়ার রীতি অনুসারে কোনি তার জামায় টাকা না পেয়ে হতাশ হয়। কারণ, গরিব ঘরের মেয়ে কোনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল মূলত পুরস্কার ও অর্থলাভের আশায়। বন্ধু কান্তির কাছে শোনা টাকা দিয়ে উৎসাহদানের রীতি এবং অভাবের সংসারে পরিবারকে সাহায্য করার আকাঙ্ক্ষা কোনিকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল।

অথচ, এত কষ্টের পরেও তার আশা পূরণ না হওয়ায় কোনি হতাশ হয়ে বলে, “টাকা ছাড়া উৎসাহ! এমন উৎসাহে কারো মন জাগে না।” এই উক্তির মাধ্যমে কোনির বাস্তবতাবোধ, আর্থিক দুরবস্থার প্রভাব এবং মানসিক হতাশার প্রকাশ ঘটে।

কান্তি যে বলেছিল, লোকেরা এসে পিন দিয়ে টাকা আটকে দেয় জামায়, কই দিল না তো! - কে কখন এ কথা বলেছে? বক্তার হতাশ হওয়ার কারণ কী?

“কান্তি যে বলেছিল, লোকেরা এসে পিন দিয়ে টাকা আটকে দেয় জামায়, কই দিল না তো!” – কে কখন এ কথা বলেছে? বক্তার হতাশ হওয়ার কারণ কী?

বক্তা – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কোনি এ কথা বলেছে।

  • প্রসঙ্গ – নেতাজি বালক সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত কুড়ি ঘণ্টা অবিরাম হাঁটা প্রতিযোগিতা থেকে বেশিরভাগ প্রতিযোগী নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদায় নিলেও কোনি পুরো সময়টা হেঁটে প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ করে। সে তার বন্ধু কান্তির কাছে শুনেছিল এই ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করার জন্য লোকেরা তাদের জামায় পিন দিয়ে টাকা আটকে দিয়ে যায়। কিন্তু এখানে সেরকম কিছু না হওয়ায় হতাশ কোনি তার বন্ধু ভাদু ও চণ্ডুকে এই কথা বলেছে।

কোনির হতাশ হওয়ার কারণ –

  • পুরস্কার ও অর্থলাভের আশা – গরিব ঘরের মেয়ে কোনি কুড়ি ঘণ্টা হাঁটার মতো এরকম কষ্টকর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল মূলত পুরস্কার ও অর্থলাভের আশায়।
  • টাকা দিয়ে উৎসাহদান – বন্ধু কান্তির কাছে কোনি শুনেছিল এই ধরনের প্রতিযোগিতায় দর্শকরা খুশি হয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে তাদের জামায় টাকার নোট আটকে দেয়। অভাবের সংসারে কোনি যতটুকু পারে সাহায্য করতে চায়। আর তাই বৈশাখ মাসের কড়া রোদ্দুরেও সে দমে যায়নি, প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ করেছে।
  • অপূর্ণ আশা – নিজের সমস্ত শক্তি নিঃশেষ করে দিয়েও কোনি টিকে থেকেছে শেষ পর্যন্ত। কিন্তু এত কষ্টের পরেও তার আশা পূরণ না হওয়ায় সে হতাশ হয়ে এ কথা বলেছে।

আরও পড়ুন, একবার, শুধু একবার যদি তেমন কারুর দেখা পাই। – বক্তা কে? তিনি কেন, কার দেখা পেতে চান?

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের এই অংশে, কোনি “টাকা ছাড়া উৎসাহ! এমন উৎসাহে কারো মন জাগে না” বলে তার হতাশার প্রকাশ ঘটায়।

এই উক্তির মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক অনুধাবন করতে পারি। প্রথমত, কোনির বাস্তবতাবোধ স্পষ্ট। সে জানে, টাকা ছাড়া উৎসাহের কোন দাম নেই। দ্বিতীয়ত, কোনির আর্থিক দুরবস্থার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। টাকার প্রয়োজনে সে এই কঠিন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল।

তৃতীয়ত, কোনির মানসিক হতাশার প্রকাশ ঘটে। টাকা ছাড়া উৎসাহকে সে অর্থহীন মনে করে।

এই অংশটি কোনির চরিত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার বাস্তববোধ, আর্থিক দুরবস্থা এবং মানসিক অবস্থার স্পষ্ট চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে।

Share via:

মন্তব্য করুন