কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই। – কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী?

“কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে।”কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই।” – কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

রবীন্দ্র সরোবরে সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির সাঁতার দেখে ক্ষিতীশ মুগ্ধ হন এবং তাকে বিনামূল্যে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দেন। কিন্তু কোনির দাদা তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কথা জানান। তিনি বলেন, কোনির বাবা টিবি রোগে মারা গেছেন এবং তিনি নিজে মোটর গারাজে কাজ করে পরিবারের ভার বহন করেন। অভাবের কারণে কমল স্কুলে ঘুমিয়ে পড়ত এবং সাঁতার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। ক্ষিতীশ বুঝতে পারেন যে অপুষ্টির কারণে কমলও টিবি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে, ক্ষিতীশ কোনির সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন।

কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই। - কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী?

“কমল হাঁপিয়ে পড়ল এই কটি কথা বলেই।” – কমল কী কথা বলেছিল? তার হাঁপিয়ে পড়ার কারণ কী?

কমলের বক্তব্য বিষয় – রবীন্দ্র সরোবরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির সাঁতার দেখে ক্ষিতীশ নিজে থেকেই কোনির দাদাকে বলেন যে, কোনিকে তিনি সাঁতার শেখাবেন, এবং তার জন্য কোনো পয়সা দিতে হবে না। উত্তরে কোনির দাদা বলে যে, তারা খুবই গরিব। সাঁতার শিখতে হলে খাওয়াদাওয়ার খরচ আছে। তার বাবা প্যাকিং কারখানায় কাজ করতে গিয়ে টিবি রোগে মারা গেছেন। কমল নিজেও সাঁতার শিখত। সাঁতার কেটে এসে সে খিদেয় ছটফট করত, স্কুলে ঘুমিয়ে পড়ত। তারপর অভাবের কারণে সে সাঁতার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সাত ভাই-বোন আর মাকে নিয়ে তাদের বিরাট সংসার। গত বছর তার মেজো ভাই ট্রেনের ইলেকট্রিক তার গায়ে লেগে মারা গেছে, সেজো ভাই কাঁচরাপাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকে। সে নিজে একটা মোটর গারাজে কাজ করে। ওভারটাইম করেও দেড়শো টাকার বেশি পায় না। তাতেই কোনোরকমে তাদের সংসার চলে।

হাঁপিয়ে পড়ার কারণ –

  • অতিরিক্ত কাজ – কমল মোটর গারাজে অতিরিক্ত সময় কাজ করে। বাড়িতে ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া হয় না। অভাবের সংসার বলে কোনোরকমে বেঁচে থাকার মতো খাবারটুকু জোগাড় করতেও তাকে হিমশিম খেতে হয়।
  • টিবি রোগে আক্রান্ত – ক্ষিতীশের অনুমান, অপুষ্টিজনিত কারণে বাবার মতো কমলও বোধহয় টিবি রোগে আক্রান্ত। সে-কারণে একটু কথা বলেই সে হাঁপিয়ে পড়ছে।

আরও পড়ুন, আমি আপনার বোনকে সাঁতার শেখাতে চাই। – বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি উত্তরে কী জানিয়েছিলেন?

কমলের হাঁপিয়ে পড়ার কারণ দুটি: অতিরিক্ত কাজ এবং অপুষ্টি। কমলকে তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য মোটর গারাজে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হয়। এর ফলে সে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও, অভাবের কারণে সে পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারে না। অপুষ্টির কারণে তার শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং সে টিবি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, ক্ষিতীশ কোনির সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কোনিকে বিনামূল্যে সাঁতার শেখাবেন এবং কমলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। ক্ষিতীশের এই উদারতা কোনির পরিবারের জীবনে আশার আলো দেখায়।

এই গল্পটি আমাদের শেখানোর চেষ্টা করে যে, সমাজের সকলের উচিত একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। যারা অভাবী এবং অসহায়, তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য।

Share via:

মন্তব্য করুন