“আমি আপনার বোনকে সাঁতার শেখাতে চাই।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “আমি আপনার বোনকে সাঁতার শেখাতে চাই।” – বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি উত্তরে কী জানিয়েছিলেন? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।
রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কোনি সবার শেষে ফিনিশ লাইনে পৌঁছায়। তার জেদ ও হার না মানার মনোভাব দেখে ক্ষিতীশ কোনির দাদা কমলকে প্রস্তাব দেন যে তিনি কোনিকে সাঁতার শেখাবেন।
কমল তখন নিজের পরিচয় দেয় এবং বলে যে একসময় সে নিজেও অ্যাপোলো ক্লাবে সাঁতার কাটত। সেখানে সে দূর থেকে ক্ষিতীশকেও দেখেছে। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে তাকে সাঁতার কেটে বাদ দিতে হয়েছে। কমল আরও জানায় যে কোনিকে সাঁতার শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করার সামর্থ্য তার নেই।
কমল রাজাবাজারে একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করে এবং ওভারটাইম করেও মাত্র দেড়শো টাকা রোজগার করে, যা দিয়ে তার সংসার চলে। ক্ষিতীশ যখন বিনা পারিশ্রমিকেই কোনিকে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দেয়, তখনও কমল নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে তাকে সাহায্য করতে অস্বীকার করে।
কমল আক্ষেপ করে বলে যে কোনি তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সে প্রথম হবে। তাই টাকা ধার করে সে কোনির জন্য কস্টিউম কিনে এনে দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতায় কোনি শেষ স্থান অর্জন করে।
তবে শেষ পর্যন্ত কমল বলে যে তার ইচ্ছা কোনি সাঁতার শিখুক এবং বড়ো হোক।
“আমি আপনার বোনকে সাঁতার শেখাতে চাই।” – বক্তা কে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তি উত্তরে কী জানিয়েছিলেন?
বক্তা – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া আলোচ্য উদ্ধৃতিটির বক্তা সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ।
উদ্দিষ্ট ব্যক্তির উত্তর –
- কথামুখ – রবীন্দ্র সরোবরে সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনি সবার শেষে নির্দিষ্ট সীমায় পৌঁছায়। তার জেদ ও হার না-মানার মনোভাব দেখে ক্ষিতীশ কোনির দাদা কমলের কাছে প্রস্তাব দেন যে, তিনি কোনিকে সাঁতার শেখাবেন।
- অভাবী সংসারের পরিচয় – কোনির দাদা প্রত্যুত্তরে নিজের পরিচয় দিয়ে জানায় যে, একসময় সে-ও অ্যাপোলোয় সাঁতার কেটেছে। তখন দূর থেকে সে ক্ষিতীশকে দেখেওছে। কিন্তু অভাবের কারণেই তাকে সাঁতার ছাড়তে হয়েছে। কোনিকে সাঁতার শেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করা যে তার পক্ষে সম্ভব নয় কমল সে-কথা ক্ষিতীশকে জানায়।
- অক্ষমতা প্রদর্শন – রাজাবাজারে একটা মোটর গারাজে কমল কাজ করে এবং ওভারটাইম করেও সে মাত্র দেড়শো টাকা পায়, যা দিয়ে তাদের সংসার চলে। এই অবস্থায় ক্ষিতীশ বিনা পারিশ্রমিকেই সাঁতার শেখাতে চাইলেও কমল নিজের অক্ষমতার কথা জানিয়ে যায়।
- আক্ষেপের সুর – কোনি ‘প্রথম হবে’ কথা দেওয়ায় কমল টাকা ধার করে কস্টিউম কিনে এনে দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিযোগিতায় কোনি সর্বশেষ স্থান পেয়েছে-আক্ষেপের সঙ্গে এ কথাটাও সে জানিয়ে দেয়।
- শেষের কথা – তবে শেষপর্যন্ত কমল এটাও বলে যে, তার ইচ্ছা কোনি সাঁতার শিখুক। বড়ো হোক।
এই অংশে আমরা দেখতে পাই যে কোনি রবীন্দ্র সরোবরে আয়োজিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এবং শেষ স্থান অর্জন করে। ক্ষিতীশ তার জেদ ও হার না মানার মনোভাব দেখে তাকে সাঁতার শেখানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কোনির দাদা কমল অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে তাকে সাঁতার শেখানোর জন্য কোনো খরচ বহন করতে অক্ষম।
তারা একটি মোটর গ্যারেজে কাজ করে এবং তাদের আয় খুবই কম। কোনি প্রতিযোগিতায় জিতবে এই আশায় কমল টাকা ধার করে তাকে কস্টিউম কিনে দিয়েছিল। কিন্তু কোনি শেষ স্থান পেয়ে তার আশা ভেঙে যায়।
তবুও, কমল চায় যে কোনি সাঁতার শিখুক এবং বড়ো হোক।
এই অংশে আমরা দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত একটি পরিবারের চিত্র দেখতে পাই। তবুও তাদের সন্তানের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও আশা অটুট থাকে।