সকাল সাড়ে ছটা থেকে এই ব্যাপার চলেছে, এখন সাড়ে আটটা। – ‘এই ব্যাপার’ টা কী বুঝিয়ে দাও।

“সকাল সাড়ে ছটা থেকে এই ব্যাপার চলেছে, এখন সাড়ে আটটা।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “সকাল সাড়ে ছটা থেকে এই ব্যাপার চলেছে, এখন সাড়ে আটটা।” – ‘এই ব্যাপার’ টা কী বুঝিয়ে দাও। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

উপরের উদ্ধৃতিটি মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি” থেকে গৃহীত। এখানে ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে সাঁতার শেখানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। একজন অভিজ্ঞ সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিলেন এবং তাকে একজন দক্ষ সাঁতারুতে পরিণত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন।

কোনির সাঁতার শেখানোর সময় ক্ষিতীশ কিছু ত্রুটি লক্ষ্য করেন। কোনির হাতের কনুই যথাযথভাবে বাঁকানো হচ্ছিল না, হাত তক্তার মতো লাফিয়ে উঠছিল, এবং বাম হাত এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাম দিকের কাঁধও এগিয়ে যাচ্ছিল। এর ফলে স্কোয়ার শোল্ডার পোজিশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। ক্ষিতীশ কোনিকে হাতের আঙুল জল টানবার সময় ফাঁকা করতে মানা করেন এবং বলেন, হাত মসৃণভাবে জলের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে।

সকাল সাড়ে ছ-টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ক্ষিতীশ কোনিকে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি সময়ের হিসেব ভুলে গিয়ে কোনির সাঁতারের ত্রুটিগুলি মেরামত করতে এবং তাকে একজন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারুতে গড়ে তুলতে মনোনিবেশ করেন।

এই উদ্ধৃতিটি ক্ষিতীশের নিষ্ঠা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞতার পরিচয় বহন করে। একজন শিক্ষকের প্রতি তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং তার শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করার আগ্রহ এখানে স্পষ্ট।

সকাল সাড়ে ছটা থেকে এই ব্যাপার চলেছে, এখন সাড়ে আটটা। - 'এই ব্যাপার' টা কী বুঝিয়ে দাও।

“সকাল সাড়ে ছটা থেকে এই ব্যাপার চলেছে, এখন সাড়ে আটটা।” – ‘এই ব্যাপার’ টা কী বুঝিয়ে দাও।

  • কথামুখ – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদ থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।
  • প্রাণপণ প্রচেষ্টা – ‘এই ব্যাপার’ বলতে কোনিকে সাঁতার শেখানোয় ক্ষিতীশ সিংহের প্রাণপণ প্রচেষ্টাকে বোঝানো হয়েছে। একজন অভিজ্ঞ সাঁতার প্রশিক্ষক হিসেবে তিনি কোনির মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমস্ত সম্ভাবনা লক্ষ করেছিলেন।
  • অনুশীলনে ত্রুটি – কমলদিঘির জলে দু-সপ্তাহ হল ক্ষিতীশ কোনির অনুশীলন শুরু করেছেন। তার হাতের কনুই যথাযথ বাঁকানো হচ্ছে না, হাত তক্তার মতো লাফিয়ে উঠছে, বাম হাতটা এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাম দিকের কাঁধটাও এগিয়ে যাচ্ছে এবং ডান দিকের কাঁধটা পিছিয়ে যাচ্ছে, ফলে স্কোয়ার শোল্ডার পোজিশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে-কোনির অনুশীলনের সময় এই ত্রুটিগুলি ডাঙায় দাঁড়িয়ে ক্ষিতীশ দেখেন। তারপর তিনি কোনিকে হাতের আঙুল জল টানবার সময় ফাঁকা করতে মানা করেন এবং বলেন, হাত মসৃণভাবে জলের মধ্যে প্রবেশ করাতে হবে। সকাল সাড়ে ছ-টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত একটানা এই প্রশিক্ষণ চলেছিল।
  • শেষের কথা – কোনির সাঁতারের পদ্ধতির পরিবর্তন ও ত্রুটি মেরামতের মাধ্যমে তাকে চ্যাম্পিয়ন সাঁতারু হিসেবে তৈরি করতে ক্ষিতীশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তাই সময়ের হিসেব তিনি ভুলে যান।

আরও পড়ুন, এটা হল যুদ্ধ ন্যায় অন্যায় বলে যুদ্ধে কিছু নেই। শত্রু মিত্র বাছবিচার করে কোনো লাভ নেই। – কে, কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছে আলোচনা করো।

উপরোক্ত উদ্ধৃতিটি মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি” থেকে গৃহীত। এই উদ্ধৃতিটি ক্ষিতীশ সিংহের নিষ্ঠা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞতার পরিচয় বহন করে। একজন শিক্ষকের প্রতি তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং তার শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে সাহায্য করার আগ্রহ এখানে স্পষ্ট।

ক্ষিতীশ কোনির মধ্যে একজন চ্যাম্পিয়ন সাঁতারুর সম্ভাবনা দেখতে পান এবং তাকে একজন দক্ষ সাঁতারুতে পরিণত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি কোনিকে প্রশিক্ষণ দিতে প্রচুর সময় ও শক্তি ব্যয় করেন এবং তার সাঁতারের ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে নিরলসভাবে কাজ করেন।

ক্ষিতীশের নিষ্ঠা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা তার কাছ থেকে শিখতে পারি যে যদি আমরা কোন কিছুতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি, তাহলে আমরা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারি।

এই উদ্ধৃতিটি আমাদের শেখানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হল একজন শিক্ষকের ভূমিকা। একজন শিক্ষক কেবল জ্ঞান প্রদান করেন না, বরং তার শিক্ষার্থীদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেন। ক্ষিতীশ কোনির জীবনে শুধু একজন সাঁতার প্রশিক্ষকই ছিলেন না, বরং একজন মেন্টর ও বন্ধুও ছিলেন।

উপসংহারে বলা যায়, এই উদ্ধৃতিটি একটি শিক্ষকের নিষ্ঠা ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞতার একটি অনুপ্রেরণামূলক গল্প। এটি আমাদের শেখানোর গুরুত্বপূর্ণ পাঠগুলি আমাদের জীবনে প্রয়োগ করতে অনুপ্রাণিত করে।

Share via:

মন্তব্য করুন