যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না। – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

ক্ষিতীশ কোনিকে একজন সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাকে কঠোর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে যেতে বলেছিলেন। ক্ষিতীশ জানতেন যে, যতই ক্লান্তি আসুক না কেন, পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। কোনিকে যখন ক্লান্তি ও খিদের তাড়নায় ধৈর্য হারিয়ে ফেলত, তখন ক্ষিতীশ তাকে এই মন্তব্যটি করেছিলেন।

ক্ষিতীশ বুঝতে পারছিলেন যে কোনির উপর অমানুষিক চাপ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু কোনিকে থামলে চলবে না। তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে। ক্ষিতীশ কোনিকে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনো সাফল্য আসে না। তাকে যন্ত্রণার সাথে লড়াই করতে শিখতে হবে এবং দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যন্ত্রণাকে হারাতে হবে। ক্ষিতীশ বিশ্বাস করতেন যে, কঠিন প্রতিজ্ঞার মাধ্যমে মানুষ অসাধ্যকেও সাধন করতে পারে। তাই তিনি কোনিকে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে এবং একজন সফল সাঁতারু হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।

যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না। - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

“যন্ত্রণার সঙ্গে পরিচয় না হলে, তাকে ব্যবহার করতে না শিখলে, লড়াই করে তাকে হারাতে না পারলে কোনোদিনই তুই উঠতে পারবি না।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উৎস – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের সপ্তম পরিচ্ছেদ থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি গৃহীত হয়েছে।

  • প্রসঙ্গ – ক্ষিতীশ কোনিকে সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তাকে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে রেখেছিলেন। ক্ষিতীশ জানেন, যতই ক্লান্তি আসুক, পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই-কোনিকে সেই উপদেশ দিতে গিয়েই ক্ষিতীশ আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন।

তাৎপর্য বিশ্লেষণ –

  • অবিরাম পরিশ্রম – ক্ষিতীশের কড়া নজরদারিতে অবিরাম পরিশ্রমে কোনির দেহমন অবসন্ন হয়ে পড়ে। তার ওপর খিদের তাড়নায় সে বারে বারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। ক্ষিতীশও নাছোড়বান্দা। ডিম, কলা আর টোস্টের লোভ দেখিয়ে ক্ষিতীশ কোনিকে আরও এক ঘণ্টা জলে রাখতে চান।
  • লক্ষ্যপূরণ – ক্ষিতীশ বুঝতে পারেন কোনির ওপর অমানুষিক অত্যাচার করা হচ্ছে। কিন্তু কোনিকে থামলে চলবে না। লক্ষ্যে তাকে পৌঁছোতেই হবে। তাতে জীবন থাক আর যাক। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কখনও সাফল্য আসে না। তাই কোনিকে যন্ত্রণার সঙ্গে লড়াই করা শিখতে হবে। দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেই যন্ত্রণাকে হারাতে হবে। যার জীবনে যন্ত্রণা নেই, বাধা নেই, তার জীবনে সাফল্য বলে কিছু হয় না।
  • কঠিন প্রতিজ্ঞা – কঠিন প্রতিজ্ঞায় মানুষ অসাধ্যকেও সাধন করতে পারে। কোনিকে তা-ই করতে হবে। এই উপদেশের সাহায্যেই ক্ষিতীশ কোনিকে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তাকে লড়াকু হয়ে সফল হয়ে উঠতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।

আরও পড়ুন, সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেকে ঠেলে নিয়ে যেতে হবেই, নয়তো কিছুতেই সাধ্যটাকে বাড়ানো যাবে না। – এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বক্তার যে মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে তা বিশ্লেষণ করো।

ক্ষিতীশ কোনিকে একজন সফল সাঁতারু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি জানতেন যে, সাফল্য অর্জনের জন্য কোন বিকল্প নেই। কোনির যখন ক্লান্তি ও হতাশার কারণে ধৈর্যচ্যুতি ঘটত, তখন ক্ষিতীশ তাকে উৎসাহিত করতে এই মন্তব্যটি করেছিলেন।

ক্ষিতীশ কোনির ওপর চাপ সত্ত্বেও তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তাকে অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি কোনিকে বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, যন্ত্রণা ও বাধা সফলতার পথের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কঠিন প্রতিজ্ঞা ও অদম্য সাহসের মাধ্যমে অসাধ্যকেও সাধন করা সম্ভব।

ক্ষিতীশের এই উপদেশ কোনিকে তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে এবং একজন সফল সাঁতারু হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেছিল। ক্ষিতীশের কঠোর পরিশ্রম ও নির্দেশনার ফলে কোনি একজন বিখ্যাত সাঁতারু হয়ে ওঠে এবং তার স্বপ্ন পূরণ করে।

Share via:

মন্তব্য করুন