এখনই আমাদের Telegram Community গ্রুপে যোগ দিন।। এখানে WBBSE বোর্ডের পঞ্চম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো বিষয়ভিত্তিক সমস্যা শেয়ার করতে পারেন এবং একে অপরের সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া, কোনও সমস্যা হলে আমাদের শিক্ষকরা তা সমাধান করে দেবেন।

Telegram Logo Join Our Telegram Community

বাঙালিরা যা ভালবাসে মিটিংয়ে তাই তো বলব। – বাঙালিরা কী কী ভালোবাসে বলে বক্তা মনে করে? কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এই কথা বলেছে?

“বাঙালিরা যা ভালবাসে মিটিংয়ে তাই তো বলব।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “বাঙালিরা যা ভালবাসে মিটিংয়ে তাই তো বলব।” – বাঙালিরা কী কী ভালোবাসে বলে বক্তা মনে করে? কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এই কথা বলেছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

উপন্যাসের চরিত্র বিষ্টু ধরের মতে, বাঙালিরা খেলাধুলার ক্ষেত্রে ফুটবল ও ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। বিষ্টু ধর নিজে একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতা, যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিনোদ ভড়ের সাথে ক্রীড়াজগতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিষ্টু ধরও বিভিন্ন ক্লাবের সাথে যুক্ত হয়ে খেলার জগতে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়। এই কারণে, বিভিন্ন প্রচারণা সভায় খেলার জগৎকে বিষ্টু ধর তার বক্তৃতার মূল বিষয়বস্তু হিসেবে ব্যবহার করে।

এই বিষয়ে তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সীমিত হওয়ায়, সে ক্ষিতীশ সিংহের সাহায্য নেয়। ক্ষিতীশ টাকার প্রয়োজনে কোনিকে একজন নামকরা সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। তাই সে অর্থের বিনিময়ে বিষ্টু ধরের বক্তৃতার লেখক হতে রাজি হয়। কিন্তু সাঁতার-পাগল ক্ষিতীশ জীবনের নানান চড়াই-উতরাই, দেশের মর্যাদা, দেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা বোঝাতে বারবার সাঁতারের প্রসঙ্গ টেনে আনে। অন্যদিকে, বিষ্টু ধর মনে করে সাঁতারের থেকে ফুটবল অথবা ক্রিকেট নিয়ে বাঙালিরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ। তাই তার মতে বক্তৃতায় সাঁতারের পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেটের কথাও থাকা উচিত। এই বিষয়টিই সে ক্ষিতীশ সিংহকে বোঝাতে চায়।

বাঙালিরা যা ভালবাসে মিটিংয়ে তাই তো বলব। - বাঙালিরা কী কী ভালোবাসে বলে বক্তা মনে করে? কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এই কথা বলেছে?

“বাঙালিরা যা ভালবাসে মিটিংয়ে তাই তো বলব।” – বাঙালিরা কী কী ভালোবাসে বলে বক্তা মনে করে? কোন্ পরিপ্রেক্ষিতে বক্তা এই কথা বলেছে?

বক্তার মতে বাঙালিদের ভালোবাসার বিষয়সমূহ – কোনি উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র বিষ্টু ধর বলেছেন যে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাঙালি বেশি ভালোবাসে ফুটবল ও ক্রিকেট।

বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত – বিষ্টু ধর নেতা হতে চান, নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিনোদ ভড় ক্রীড়াজগতের সঙ্গে যুক্ত। তাই বিষ্টু ধরও বিভিন্ন ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে খেলার জগতে নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে চান। একারণে বিষ্টু ধর বিভিন্ন প্রচারসভায় খেলার জগৎকে তাঁর বক্তৃতার মূল বিষয়বস্তু করেন। এই বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা সীমিত হওয়ায় তিনি ক্ষিতীশ সিংহের সাহায্য নেন। ক্ষিতীশেরও টাকার প্রয়োজন, তিনি কোনিকে নামকরা সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলতে চান। সেই কারণে তিনি অর্থের বিনিময়ে বিষ্টু ধরের বক্তৃতার লেখক হতে রাজি হয়ে যান। কিন্তু সাঁতার-পাগল মানুষ ক্ষিতীশ জীবনের নানান চড়াই-উতরাই, দেশের মর্যাদা, দেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার কথা বোঝাতে বারবার সাঁতারের প্রসঙ্গই টেনে আনেন। অপরদিকে, বিষ্টু ধর মনে করেন সাঁতারের থেকে ফুটবল অথবা ক্রিকেট নিয়ে বাঙালি অনেক বেশি আবেগপ্রবণ-তাই তাঁর মতে বক্তৃতায় সাঁতারের পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেটের কথাও থাকা উচিত। ক্ষিতীশ সিংহকে সেটা বোঝাতেই তিনি এ কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন,টেবিলের মুখগুলি উজ্জ্বল হয়ে উঠল। – টেবিলের মুখগুলি বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে? মুখগুলির উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণ কী?

উপসংহারে বলা যায়, বিষ্টু ধর মনে করেন বাঙালিরা খেলাধুলার ক্ষেত্রে ফুটবল ও ক্রিকেটকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। তিনি নিজের নির্বাচনী প্রচারণায় এই দুই খেলার উপর জোর দিতে চান। ক্ষিতীশ সিংহ যদিও একজন সাঁতার প্রশিক্ষক, তবুও তিনি বিষ্টু ধরের বক্তৃতায় ফুটবল ও ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে একমত। কারণ তিনিও জানেন যে, এই দুই খেলা বাঙালিদের আবেগের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

এই উপসংহারে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, লেখক খেলাধুলার মাধ্যমে বাঙালিদের ঐক্য ও আবেগের প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। বিষ্টু ধর ও ক্ষিতীশ সিংহের ভিন্ন ভিন্ন পছন্দ থাকা সত্ত্বেও, তারা দুজনেই খেলাধুলার গুরুত্ব বুঝতে পারেন এবং তাদের নিজ নিজ লক্ষ্য অর্জনে এটিকে ব্যবহার করতে চান।

এই উপসংহারটি আমাদেরকে খেলাধুলার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করে। খেলাধুলা শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে, আমাদের আবেগকে প্রকাশ করার সুযোগ করে দেয় এবং আমাদের জীবনে নিয়মানুবর্তিতা ও স্পর্ধাভাব গড়ে তোলে।

Share via:

মন্তব্য করুন