ওলিম্পিকের গুল মেরে কি আর সুইমার তৈরি করা যায় রে পাঁটা? বুদ্ধি চাই, খাটুনি চাই, নিষ্ঠা চাই-গবেট গবেট সব। – বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এরূপ বলেছেন? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

Sourav Das

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করব – “ওলিম্পিকের গুল মেরে কি আর সুইমার তৈরি করা যায় রে পাঁটা? বুদ্ধি চাই, খাটুনি চাই, নিষ্ঠা চাই-গবেট গবেট সব।” – বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এরূপ বলেছেন? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওলিম্পিকের গুল মেরে কি আর সুইমার তৈরি করা যায় রে পাঁটা? বুদ্ধি চাই, খাটুনি চাই, নিষ্ঠা চাই-গবেট গবেট সব। - বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এরূপ বলেছেন? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

“ওলিম্পিকের গুল মেরে কি আর সুইমার তৈরি করা যায় রে পাঁটা? বুদ্ধি চাই, খাটুনি চাই, নিষ্ঠা চাই-গবেট গবেট সব।” – বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এরূপ বলেছেন? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।

বক্তা – মতি নন্দী রচিত কোনি উপন্যাসের একাদশ পরিচ্ছেদ থেকে গৃহীত আলোচ্য উক্তিটির বক্তা হলেন উপন্যাসের অন্যতম প্রধান চরিত্র ক্ষিতীশ সিংহ।

প্রসঙ্গ – জুপিটার ক্লাবের সাঁতার প্রতিযোগিতার ন-জন প্রতিযোগীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুজন ছিল জুপিটারের অমিয়া এবং অ্যাপোলোর কোনি। এই দুই সাঁতারুকে ঘিরে দর্শকদের উৎসাহ, উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। প্রথমদিকে অমিয়া এগিয়ে থাকলেও কোনি তাকে ধাওয়া করে পিছনে ফেলে ‘ফিনিশিং বোর্ড’ ছোঁয়। এই দৃশ্য দেখে এতক্ষণ পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষিতীশ আনন্দে লাফাতে শুরু করেন। তখনই তিনি হরিচরণের উদ্দেশে চিৎকার করে এই কথাগুলি বলেন।

তাৎপর্য –

  • যোগ্য জবাব – ক্লাবের সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতির চক্রান্তে ক্ষিতীশ জুপিটার ছাড়তে বাধ্য হন। হরিচরণের মতো স্বার্থপর, সুবিধাবাদী মানুষগুলো ক্ষিতীশ সিংহকে যে অপমান করেছিল তার যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম ও অনুশীলনের দ্বারা কোনিকে তৈরি করেছিলেন।
  • দক্ষতার প্রকাশ – অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করলেই দক্ষ সাঁতার প্রশিক্ষক হওয়া যায় না। শিক্ষার্থীর থেকে সেরাটা বের করে আনার জন্য টেকনিক, বুদ্ধি আর ধৈর্য থাকতে হয়, সময়কে হারাতে শিখতে হয়। কোনো মিথ্যার আশ্রয় নয়, কেবল বুদ্ধি, অনুশীলন ও নিষ্ঠা দ্বারা ক্ষিতীশ কোনিকে তৈরি করেছেন এবং নিজের অপমানের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন।

আরও পড়ুন, ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে। – ক্ষিতীশ এতক্ষণ ভাবলেশহীন ছিলেন কেন? ‘তিড়িং তিড়িং’ লাফানোর মধ্যে তাঁর কোন্ মানসিকতার প্রকাশ লক্ষ করা যায়?

এই আর্টিকেলে আমরা মাধ্যমিক বাংলা বইয়ের ‘কোনিসহায়ক পাঠ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, “ওলিম্পিকের গুল মেরে কি আর সুইমার তৈরি করা যায় রে পাঁটা? বুদ্ধি চাই, খাটুনি চাই, নিষ্ঠা চাই-গবেট গবেট সব।” – বক্তা কে? কোন্ প্রসঙ্গে তিনি এরূপ বলেছেন? উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও। এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, এই নিবন্ধটি আপনার জন্য সহায়ক হয়েছে। আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও সহায়তা প্রয়োজন হয়, টেলিগ্রামে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, বন্ধুদের সঙ্গে এই পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, যাতে তারাও এই তথ্য থেকে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ!

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Sourav Das

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।