ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে। – ক্ষিতীশ এতক্ষণ ভাবলেশহীন ছিলেন কেন? ‘তিড়িং তিড়িং’ লাফানোর মধ্যে তাঁর কোন্ মানসিকতার প্রকাশ লক্ষ করা যায়?

“ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে।” – ক্ষিতীশ এতক্ষণ ভাবলেশহীন ছিলেন কেন? ‘তিড়িং তিড়িং’ লাফানোর মধ্যে তাঁর কোন্ মানসিকতার প্রকাশ লক্ষ করা যায়? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।


জুপিটার ক্লাবের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। ক্ষিতীশ হতাশ না হয়ে কমলদিঘির অ্যাপোলো ক্লাবের হয়ে কোনিকে নামিয়ে অমিয়ার সাথে প্রতিযোগিতায় নামান। প্রতিযোগিতা শুরু হলে সারা চত্বরে টানটান উত্তেজনা দেখা দেয়। ক্ষিতীশ এই মানসিক চাপ সামলানোর জন্য ভাবলেশহীন হয়ে থাকার চেষ্টা করেন।

প্রবল উত্তেজনার মধ্যে প্রতিযোগিতা চলতে থাকে। কোনির প্রধান প্রতিপক্ষ জুপিটারের অমিয়া। প্রথম তিরিশ মিটার অমিয়া কোনির চেয়ে এগিয়ে থাকলেও, এক সময় কোনি তার সাথে সমানে চলে আসে। হঠাৎ ৬৫ মিটার থেকে কোনি এগিয়ে যেতে শুরু করে এবং ক্রমশ অমিয়া ও অন্যদের পিছনে ফেলে দেয়। মসৃণ, স্বচ্ছন্দ কিন্তু হিংস্র ভঙ্গিতে কোনি নিজেকে টেনে বার করে নিয়ে যায় এবং অবশেষে জয়ী হয়।

ক্ষিতীশ কোনির জয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ আগে পর্যন্ত তিনি চূড়ান্ত উত্তেজনায় পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন, এখন কোনির জয়ে তিনি স্থান-কাল-পাত্র ভুলে তিড়িং তিড়িং লাফাতে শুরু করেন।

ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে। - ক্ষিতীশ এতক্ষণ ভাবলেশহীন ছিলেন কেন? 'তিড়িং তিড়িং' লাফানোর মধ্যে তাঁর কোন্ মানসিকতার প্রকাশ লক্ষ করা যায়?

“ভাবলেসহীন ক্ষিতীশ এখন তিড়িং তিড়িং লাফাচ্ছে।” – ক্ষিতীশ এতক্ষণ ভাবলেশহীন ছিলেন কেন? ‘তিড়িং তিড়িং’ লাফানোর মধ্যে তাঁর কোন্ মানসিকতার প্রকাশ লক্ষ করা যায়?

ক্ষিতীশের ভাবলেশহীন থাকার কারণ – জুপিটার ক্লাবের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনিকে নামার সুযোগ দেওয়া হয় না। ক্ষিতীশ তখন কমলদিঘির অ্যাপোলো ক্লাবের অংশে কোনিকে নামিয়ে অমিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করানোর চ্যালেঞ্জ নেন। যথাসময়ে সাঁতার শুরু হয়। এ যেন কোনির পরীক্ষা, পরীক্ষা ক্ষিতীশেরও। পুরো চত্বর জুড়ে টানটান উত্তেজনা। এই মানসিক উত্তেজনাকে কমানোর জন্যই ক্ষিতীশ ভাবলেশহীন হয়ে থাকতে চান।

মানসিকতা –

  • কথামুখ – প্রবল উত্তেজনার মধ্য দিয়ে সাঁতার প্রতিযোগিতা চলে। কোনির প্রধান বিপক্ষ হল জুপিটারের অমিয়া। প্রথম তিরিশ মিটারের পর থেকে অমিয়া কোনির চেয়ে এগিয়ে থাকলেও একসময় কোনি সমান রেখায় অমিয়ার সঙ্গে সাঁতরাতে থাকে।
  • আত্মহারা – হঠাৎ কমলদিঘি ঘিরে বিরাট একটা চিৎকার শোনা যায়। কারণ ৬৫ মিটার থেকে কোনি এগোতে থাকে এবং ক্রমশ অমিয়া ও অন্যদের পিছনে ফেলে দেয়। মসৃণ, স্বচ্ছন্দ কিন্তু হিংস্রভঙ্গিতে কোনি নিজেকে টেনে বার করে নিয়ে যায়। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জয়ী হয় কোনি। অভিপ্রেত সাফল্যে ক্ষিতীশ আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন।
  • আনন্দের বহিঃপ্রকাশ – এতক্ষণ তিনি চূড়ান্ত উত্তেজনায় পাথরের মূর্তির মতো দাঁড়িয়েছিলেন। কোনির জয়ে আনন্দে তিনি স্থান- কাল-পাত্র ভুলে তিড়িং তিড়িং লাফাতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন, কোনি উপন্যাসে কোনির দাদা কমলের চরিত্রটি কীভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে লেখো।

উপসংহারে বলা যায়, জুপিটার ক্লাবের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় কোনির জয় ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষিতীশের আস্থা ও কোনির অধ্যবসায়ের ফসল এই জয়। এই জয় প্রমাণ করে যে, প্রতিভা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

এই প্রতিযোগিতা শুধু কোনির জয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং এটি ক্ষিতীশের জন্যও একটি পরীক্ষা ছিল। ক্ষিতীশ কোনিকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কোনির জয় ক্ষিতীশের বিশ্বাসের সার্থকতা প্রমাণ করে।

এই প্রতিযোগিতা কমলদিঘির অ্যাপোলো ক্লাবের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। জুপিটার ক্লাবের আধিপত্য ভেঙে অ্যাপোলো ক্লাব প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে। এই জয় অ্যাপোলো ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ বৃদ্ধি করবে।

সামগ্রিকভাবে বলা যায়, জুপিটার ক্লাবের বার্ষিক সাঁতার প্রতিযোগিতা ছিল একটি উত্তেজনাপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই প্রতিযোগিতা প্রমাণ করে যে, প্রতিভা, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

3.5/5 - (2 votes)


Join WhatsApp Channel For Free Study Meterial Join Now
Join Telegram Channel Free Study Meterial Join Now

মন্তব্য করুন