তবে একবার কখনো যদি জলে পাই – কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?

“তবে একবার কখনো যদি জলে পাই।” এই উক্তিটি দশম বাংলা সহায়ক পাঠ কোনি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়েছে। “তবে একবার কখনো যদি জলে পাই।” – কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে? এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য অত্যান্ত গুরুত্তপূর্ণ। কোনি উপন্যাসের এই রচনাধর্মী প্রশ্নটি তৈরী করে গেলে মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষায় একটি ৫ নম্বরের পাওয়া যেতে পারে।

মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়া কোনি একজন সাহসী ও লড়াকু মেয়ে। সে জানে যে তারা গরিব, তাই অন্য সাঁতারুরা তাকে হীনচোখে দেখবে। কিন্তু সে হতাশ হয় না, বরং প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়।

অন্যের কারণে তাকে চোর বলায় সে অত্যন্ত আহত ও অপমানিত বোধ করে। হিয়াকে চড় মেরে সে তার প্রতিশোধও নেয়। তবে এটাও জানিয়ে দেয় যে, হিয়াকে সে হিংসাও করে না।

কোনি জানে তার আসল প্রতিযোগিতা হবে জলে। সেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো পার্থক্য নেই। যোগ্যতমের জয় হবেই। তাই হিয়াকে জলে পেলে সে দেখিয়ে দেবে কে বড়ো, আর কে ছোটো।

এই উক্তিটির মধ্য দিয়ে কোনির লড়াকু মনোভাবটিই প্রবলভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সে জীবনের যেকোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। সে জানে যে, সাফল্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের বিকল্প নেই।

তবে একবার কখনো যদি জলে পাই - কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?

“তবে একবার কখনো যদি জলে পাই।” – কে, কাকে এ কথা বলেছে? এই উক্তির মধ্যে বক্তার কোন্ মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে?

বক্তা এবং উদ্দিষ্ট জন – সাহিত্যিক মতি নন্দীর লেখা কোনি উপন্যাসে কোনি এ কথা বলেছে হিয়াকে উদ্দেশ্য করে।

মানসিকতার প্রকাশ –

  • শুরুর কথা – মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় বাংলার হয়ে অমিয়া, হিয়া, বেলাদের সঙ্গে কোনিও যায়। কোনি অ্যাপোলোর সাঁতারু। ক্ষিতীশ সিংহ তার ট্রেনার।
  • হীনম্মন্যতায় ভোগা – কোনিরা খুব গরিব। তার পোশাক-পরিচ্ছদেও তেমন চমক নেই। অন্য সাঁতারুরা কোনিকে হীনচোখে দেখতে থাকে। গরিব বলে তাকে পাত্তা দেয় না। কোনিও এতে একটু কুঁকড়ে থাকে, হীনম্মন্যতায় ভোগে।
  • অপমানিত হওয়া – এরই মধ্যে তাকে ক্রিম চুরি করার অপবাদ দেওয়া হয়। অন্যের কারণে তাকে চোর বলায় সে অত্যন্ত আহত ও অপমানিত বোধ করে। হিয়াকে চড় মেরে সে তার প্রতিশোধও নেয়। তবে এটাও জানিয়ে দেয় যে, হিয়াকে সে হিংসাও করে না।
  • লড়াকু মনোভাবের প্রকাশ – কোনি জানে তারা গরিব, তাই কোনোভাবেই সে ওদের সঙ্গে পারবে না। তার আসল প্রতিযোগিতা হবে জলে। সেখানে ধনী-দরিদ্রের কোনো পার্থক্য নেই। যোগ্যতমের জয় হবেই। তাই হিয়াকে জলে পেলে সে দেখিয়ে দেবে কে বড়ো, আর কে ছোটো। আলোচ্য উক্তিটির মধ্য দিয়ে কোনির লড়াকু মনোভাবটিই প্রবলভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

আরও পড়ুন, ঠিক সেই সময়ই কোনি ছুটে এসে ওকে চড় মারল। – কোনি কাকে চড় মেরেছিল? চড় মারার কারণ কী?

মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী কোনি একজন সাহসী, লড়াকু ও আত্মবিশ্বাসী মেয়ে। গরিবি ও সামাজিক অবমূল্যায়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে সে জলে তার প্রতিভা প্রমাণ করে।

কোনির লড়াকু মনোভাব আমাদের জীবনে অনুপ্রেরণা যোগায়। সে আমাদের শেখানো যে, জীবনে কখনোই হতাশ হওয়া উচিত নয়। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

কোনির গল্প আমাদের আরও শেখানো যে, ধনী-দরিদ্রের কোনো পার্থক্য নেই। যোগ্যতমের জয় হবেই।

Share via:

মন্তব্য করুন