দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

মতি নন্দীর বিখ্যাত উপন্যাস “কোনি”-র কেন্দ্রীয় চরিত্র কনকচাঁপা পাল, ওরফে কোনি। দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত একটি পরিবারের মেয়ে কোনিকে জীবনে লড়াই করতে হয় দুই রণক্ষেত্রে: সংসারের অভাবের বিরুদ্ধে এবং জলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

দাদার মৃত্যুর পর কোনির সংসারে নেমে আসে অন্ধকার। ‘এবার আমরা কী খাব?’ এই প্রশ্নই তাড়া করে তাকে। কখনও তা জীবন ধারণের খিদে, কখনও জয়ের আকাঙ্ক্ষা। দারিদ্র্যের কারণে সমাজের অবহেলা, অপমান সহ্য করতে হয় কোনিকে।

কিন্তু কোনি জেদি, একরোখা, পরিশ্রমী। হিয়ার ‘আনস্পোর্টিং’ কথাই তাকে পৌঁছে দেয় বিজয়িনীর মঞ্চে। জীবনের প্রতিটি লড়াইয়ে কোনি জেতে। অজস্র বঞ্চনা, অপমান সত্ত্বেও সাফল্যের পদক ঝোলে তারই গলায়।

ক্লাবের রাজনীতি, চূড়ান্ত অপমান, অবহেলার বিপক্ষে লড়াই করে কোনি শুধুই অনুশীলন চালিয়ে যায়। তার লড়াকু, পরিশ্রমী মানসিকতাই তাকে বিজয়িনী করে তোলে।

কনির চরিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানোর এক অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী।

দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির যে লড়াই তা সংক্ষেপে আলোচনা করো।

  • কথামুখ – মতি নন্দীর কোনি উপন্যাসের প্রধান চরিত্র কনকচাঁপা পাল। কোনির লড়াই ছিল একইসঙ্গে সংসারে দারিদ্র্যের সঙ্গে অন্যদিকে জলে প্রতিপক্ষের সঙ্গে।
  • স্বাভাবিক জড়তা – অভাবের সংসারে দাদার মৃত্যুর পর কোনির বুক ঠেলে একটিই প্রশ্ন ওঠে এবার আমরা কী খাব? আর এই খিদের যন্ত্রণাই কোনিকে সর্বত্র তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। কখনও তা নেহাতই বেঁচে থাকার খিদে কখনও-বা তা জেতার খিদে। গরিব ঘরে জন্ম হওয়ায় স্বাভাবিক একটা জড়তা অনেকের মধ্যেই থাকে। কোনিও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই অমিয়া বা হিয়ার মতো মেয়েদের কথাবার্তা আর কাজকর্মে সে সহজেই অপমানিত বোধ করে।
  • শ্রেষ্ঠত্বের পদকপ্রাপ্তি – হিয়ার ‘আনস্পোর্টিং’ শব্দটা কোনিকে বিজয়িনীর মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। কোনি জেদি, একরোখা, পরিশ্রমী আর কষ্টসহিষ্ণু। জীবনে ও জলে সর্বত্রই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত সে জেতে। শত বঞ্চনা, অজস্র অপমানের পরও সাফল্যের পদক ঝোলে কোনিরই গলায়।
  • লড়াকু ও পরিশ্রমী মানসিকতা – সমস্ত প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে, কঠোর জীবনযাপন করে কোনির জীবনে এসেছে সাফল্য। ক্লাবের রাজনীতি, চূড়ান্ত অপমান, অবহেলার বিপক্ষে সেশুধুই অনুশীলন চালিয়ে গেছে। লড়াকু, পরিশ্রমী মানসিকতা তাকে বিজয়িনী করে তুলেছে।

আরও পড়ুন – কোনির পারিবারিক জীবনের পরিচয় দাও।

মতি নন্দীর “কোনি” উপন্যাসের মূল চরিত্র কনকচাঁপা পাল, যার জীবন দারিদ্র্য, বঞ্চনা এবং লড়াইয়ের এক অবিরাম কাহিনী। অভাবের কষাঘাতে জর্জরিত কোনির একমাত্র প্রশ্ন ছিল, “এবার আমরা কী খাব?” এই খিদের যন্ত্রণাই তাকে জীবনের প্রতিটি মোড়ে তাড়িয়ে বেড়ায়। কখনও তা বেঁচে থাকার খিদে, কখনও জয়ের প্রবল আকাঙ্ক্ষা।

গরিব ঘরে জন্মের কারণে কোনির মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই একটা জড়তা ছিল। অমিয়া বা হিয়ার মতো মেয়েদের কথাবার্তা ও আচরণে সে সহজেই অপমানিত বোধ করত। কিন্তু হিয়ার ‘আনস্পোর্টিং’ শব্দটাই তাকে বিজয়িনীর মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছিল। কোনি জেদি, একরোখা, পরিশ্রমী এবং কষ্টসহিষ্ণু। জীবনে ও জলে সর্বত্রই লড়াইয়ে সে শেষ পর্যন্ত জয়ী। শত বঞ্চনা, অজস্র অপমান সত্ত্বেও সাফল্যের পদক ঝোলে তারই গলায়।

সমস্ত প্রতিবন্ধকতা, কঠোর জীবনযাপন – সবকিছুকে উপেক্ষা করে কোনি লড়াই করে গেছে। ক্লাবের রাজনীতি, চূড়ান্ত অপমান, অবহেলার বিপক্ষে সে শুধুই অনুশীলন চালিয়ে গেছে। লড়াকু ও পরিশ্রমী মানসিকতাই তাকে শেষ পর্যন্ত বিজয়িনী করে তুলেছে।

কোনি কেবল একজন সাঁতারু নয়, সে একজন জীবন্ত প্রতীক। বঞ্চিত, অবহেলিত, দরিদ্র মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়েছে সে। তার লড়াই, তার জয় আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করে, জীবনের প্রতিটি প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।

Share via:

মন্তব্য করুন