ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য যে কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন তার পরিচয় দাও।

গঙ্গার ঘাট থেকে মাদ্রাজের জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতার বিজয় স্তম্ভ পর্যন্ত কোনির অভিযানে ক্ষিতীশ সিংহের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন কোনির প্রথম ও প্রধান নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা।

ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে একজন সাঁতার কৌশলী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কঠোর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। প্রতিদিন ভোর সাড়ে ছ’টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোনির অনুশীলন চলত। ক্ষিতীশ তাকে সাঁতারের বিভিন্ন কৌশল শিখিয়েছিলেন।

শুধু প্রশিক্ষণেই নয়, ক্ষিতীশ কোনির জীবনযাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। কোনির খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বাধ্য করেছিলেন।

ক্ষিতীশ কেবল নির্দেশনা দিতেন না, বরং কোনিকে অনুপ্রাণিত করতে বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করতেন।

ক্ষিতীশই দেয়ালে ‘৭০’ লিখে টাঙিয়ে দিয়ে কোনির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম এবং ক্ষিতীশের তত্ত্বাবধানে কোনি একজন সফল সাঁতারুতে পরিণত হন।

ক্ষিতীশ সিংহের কঠোর প্রশিক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ, অনুপ্রেরণা এবং লক্ষ্য নির্ধারণে কোনির সাফল্যের মূল চাবিকাঠি খুঁজে পাওয়া যায়।

ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য যে কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন তার পরিচয় দাও।

ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে সাঁতারের চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য যে কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন তার পরিচয় দাও।

অথবা, ক্ষিদ্দা কীভাবে কোনির জীবনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল সে সম্পর্কে আলোচনা করো।

  • নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা – গঙ্গার ঘাট থেকে মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতার ভিকট্রি স্ট্যান্ড পর্যন্ত কোনির যে যাত্রা সেখানে ক্ষিদ্দাই কোনির প্রথম ও প্রধান নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা।
  • অনুশীলনের ব্যবস্থা – ক্ষিতীশ সিংহ কোনিকে সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই অনুশীলনে সাঁতারের বিভিন্ন কৌশল ক্ষিতীশ কোনিকে শিখিয়েছিলেন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছ-টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোনির প্র্যাকটিস চলত।
  • ছকে বাঁধা জীবন – ক্ষিতীশ কোনির জীবনযাত্রাকে একটা ছকে বেঁধে দিয়েছিলেন। কোনি কখন কী কী খাবে সেই ব্যাপারেও ক্ষিতীশ নিয়ম জারি করেছিলেন। কোনিকে প্রতিদিন দুটো ডিম, দুটো কলা এবং দুটো টোস্ট খাওয়ার কথা ক্ষিতীশ বলেন। এগুলি কোনিকে খেতে দেওয়ার বদলে আরও এক ঘণ্টা কোনির জলে থাকতে হবে বলে ক্ষিতীশ জানান।
  • অমানুষিক পরিশ্রম – লোভ দেখিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে নেওয়া অন্যায় জেনেও যন্ত্রণা আর সময় দুটোকেই হারানোর জন্য ক্ষিতীশ এমনটা করেছিলেন। কোনি টিফিনের বদলে টাকা চাইলে ক্ষিতীশ আর কোনির মধ্যে বোঝাপড়া হয়। ক্ষিতীশ কোনিকে নানা উদাহরণ দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করেন।
  • সফলতা অর্জন – ক্ষিতীশই দেয়ালে ‘৭০’ লিখে টাঙিয়ে দিয়ে কোনির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে দিনের পর দিন কোনির এই কঠোর অনুশীলনই তাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন, প্রণবেন্দু বিশ্বাসের চরিত্রটি তোমার কেমন লেগেছে লেখো।

ক্ষিতীশ সিংহ ছিলেন কোনির জীবনের প্রথম ও প্রধান নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা। তিনি কেবল সাঁতারে কোনিকে চ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেননি, বরং তার জীবনযাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। ক্ষিতীশের কঠোর পরিশ্রম ও নির্দেশনার ফলেই কোনি ‘৭০’ সেকেণ্ডে ১০০ গজ সাঁতার কাটতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছিলেন।

ক্ষিতীশের ভূমিকা ছাড়া কোনির এই অসাধারণ সাফল্য অসম্ভব ছিল। তিনি কেবল কোনির প্রশিক্ষকই ছিলেন না, বরং একজন অভিভাবকের মতোও তার দেখাশোনা করেছিলেন।

Share via:

মন্তব্য করুন