উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয় কেন?

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয় কেন? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয় কেন? প্রশ্নটি আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি হয় কেন?

  1. উচ্চগতিতে বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ঢাল বেশি থাকায় নদী প্রবল বেগে প্রবাহিত হয়।
  2. এই অংশে নদীর মধ্যে প্রচুর প্রস্তরখণ্ডও থাকে। তাই এই অংশে নদী প্রবল বেগে অবঘর্ষ পদ্ধতিতে নীচের দিকে ক্ষয় করে। এখানে অবঘর্ষ এবং জলপ্রবাহের ক্ষয়ের ফলে নদী উপত্যকা গভীর হয়।

নদীর ক্ষয় কাজ কাকে বলে?

নদীর ক্ষয় কাজ হলো নদীর জলের প্রবল স্রোত, জলরাশির চাপ, দ্রবণ প্রভৃতির প্রভাবে নদীর তলদেশ ও তীরে ক্ষয়ের প্রক্রিয়া। নদীর এই ক্ষয় কাজের ফলে বিভিন্ন ধরণের ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন – নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ সম্পর্কে লিখো

নদীর কোন গতিতে জলপ্রপাত দেখা যায়?

নদীর জলপ্রপাত দেখা যায় প্রবল স্রোতের ক্ষেত্রে। যখন নদীর জল দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয় এবং হঠাৎ উঁচু কোনো স্থান থেকে নিচে পতিত হয় তখন জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
নদীর জলপ্রপাতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো গতি নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। কারণ, জলপ্রপাতের সৃষ্টি নির্ভর করে নদীর জলের পরিমাণ, নদীর তলদেশের ঢাল, পানি পতনের উচ্চতা, এবং নদীর তলদেশ ও তীরের শিলাস্তরের ধরন ইত্যাদি বিষয়ের উপর।
তবে, সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলে যেখানে নদীর তলদেশের ঢাল বেশি থাকে সেখানে জলপ্রপাত দেখা যায়। পাহাড়ি নদীগুলোতে জল দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয় এবং হঠাৎ কোনো উপত্যকায় পতিত হলে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।
উদাহরণস্বরূপ, নায়াগ্রা জলপ্রপাত, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত, এবং গেরসপা জলপ্রপাত ইত্যাদি।

নদীর ক্ষয় কাজের কোন প্রক্রিয়া যা ভূমির ঢালের দ্বারা প্রভাবিত হয় না?

নদীর ক্ষয় কাজের প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে দ্রবণ ভূমির ঢাল দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
নদীর জলে থাকা কিছু রাসায়নিক পদার্থ, যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, নদীর তলদেশ ও তীরের শিলাস্তর দ্রবীভূত করে ক্ষয় ঘটায়। এই প্রক্রিয়াটি ভূমির ঢালের উপর নির্ভর করে না, বরং নদীর জলের রাসায়নিক গঠন এবং শিলাস্তরের দ্রবণীয়তার উপর নির্ভর করে।

ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়ার অপর নাম কি?

ক্ষয়ীভবন প্রক্রিয়ার অপর নাম ভূমি ক্ষয়। এছাড়াও, এটি আবহবিকার নামেও পরিচিত।
ক্ষয়ীভবন বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ সময় ধরে ধীরে ধীরে সংঘটিত হয়।

আশা করি, এই আর্টিকেলটি আপনাকে উচ্চগতিতে পার্শ্বক্ষয় নিম্নগতির চেয়ে বেশি হওয়ার কারণগুলো বুঝতে সাহায্য করেছে। মনে রাখবেন, পার্শ্বক্ষয় প্রতিরোধের বিভিন্ন কৌশল রয়েছে, যা আমরা ভবিষ্যতে আরেকটি আর্টিকেলে আলোচনা করব।

Share via:

মন্তব্য করুন