কী কী পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ করা হয়?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে কী কী পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ করা হয়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, কী কী পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ করা হয়? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো কঠিন বর্জ্য অপসারণের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে। দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ের জন্য এই প্রশ্নটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কঠিন বর্জ্য অপসারণের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন এবং পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।

কী কী পদ্ধতিতে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ করা হয়?

বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে কঠিন বর্জ্য পদার্থের অপসারণ করা হয়, যেমন —

  • খোলাস্থানে স্তূপীকরণ – শহর, নগরের কঠিন বর্জ্যগুলিকে শহরের বাইরে কোনোস্থানে স্তূপীকরণ করা হয়। এটি প্রাচীন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এতে পরিবেশ খুব দূষিত হয়।
  • স্যানিটারি ল্যান্ডফিল – এই পদ্ধতিতে মাটিতে প্রায় 2 মিটার নীচু গর্ত করে তার মধ্যে আবর্জনা বিছিয়ে দেওয়া হয়। এর ওপর মাটির আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। মাটির মধ্যে উপস্থিত জীবাণু বর্জ্যগুলির পরিবর্তন ঘটায়।
  • সার উৎপাদন – মানুষের মল এবং গবাদিপশুর গোবর, জৈব বর্জ্য প্রভৃতি কম্পোস্ট বা হিউমাসে পরিণত করা যায়।
  • পুড়িয়ে ফেলা – সংগ্রহ করা বর্জ্যকে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। যদিও প্লাস্টিক, পলিথিন প্রভৃতি দ্রব্য পোড়ালে ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণের সম্ভাবনা থাকে।
  • ম্যানিওর পিট – বাড়ির আবর্জনা একটি গর্তের মধ্যে জমা করা হয়। সেটি আবর্জনাপূর্ণ হলে মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। পাঁচ-ছয় মাস পরে ওই আবর্জনা সারে পরিণত হয় যা কৃষি উপযোগী হয়ে ওঠে।

কঠিন বর্জ্য অপসারণ পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সকলের উচিত কঠিন বর্জ্য অপসারণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং এর ব্যবহারে উৎসাহিত করা। মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ে বর্জ্য জল শোধন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি শুধুমাত্র পরীক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্যও এর গুরুত্ব অপরিসীম।

Please Share This Article

Related Posts

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো -

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীকালে ভারতের শ্রমিক আন্দোলনগুলির সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

সিঙ্গাপুরের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জলবায়ু ও গোলার্ধ শনাক্ত করো।

বাংলায় ছাপাখানা ও মুদ্রণ শিল্পের বিকাশে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কীরূপ অবদান ছিল?

তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর অবস্থান ও প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী তা আলোচনা করো।