বর্জ্য জলকে কীভাবে শোধন করা যায়?

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে দেখবো যে বর্জ্য জলকে কীভাবে শোধন করা যায়? এই প্রশ্ন দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, বর্জ্য জলকে কীভাবে শোধন করা যায়? – এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় বজ্র ব্যাবস্থাপনার প্রশ্ন। আপনি পরীক্ষার জন্য তৈরী করে গেলে আপনি লিখে আস্তে পারবেন।

বাড়ি-ঘর, শিল্প-কারখানা, কৃষি ক্ষেত্র ইত্যাদি থেকে যে জল দূষিত হয়ে বের হয় তাকে বর্জ্য জল বলে। এই জলে বিভিন্ন ধরণের দূষিত পদার্থ থাকে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

বর্জ্য জলকে কীভাবে শোধন করা যায়?

বর্জ্য জলকে কীভাবে শোধন করা যায়?

বাড়ির নোংরা জল, কারখানার বর্জ্য জলকে কতকগুলি পদ্ধতির মাধ্যমে শোধন করা যেতে পারে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

  • প্রাথমিক শোধন – প্রথমে বর্জ্য জলের ভাসমান আবর্জনাকে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নেওয়া হয়। এরপর ওই বর্জ্য জলকে বড়ো কক্ষে প্রবেশ করিয়ে সেখানে নুড়ি পাথর, বালি প্রভৃতিকে অধঃক্ষিপ্ত করানো হয়।
  • দ্বিতীয় পর্যায় বা মাধ্যমিক বা জৈব শোধন – প্রথম স্তরের শোধিত জলকে দ্বিতীয় স্তরে পাঠানো হয়। এই পর্যায়ে জলের BOD কমানো হয়। এইস্তরে জলের ওপরের স্তরে প্রচুর গাদ উৎপাদন হয়। বিশেষ প্রক্রিয়ায় জলের ওপর থেকে গাদকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
  • তৃতীয় বা অন্তিম পর্যায় – জৈব শোধনের পর জলকে বৃহৎ কোনো জলাশয়ে প্রবেশ করানো হয়। এই জলাধারে জল বেশ কয়েক সপ্তাহ থাকতে পারে। কারণ এই সময় জলে দ্রবীভূত নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও বিষাক্ত যৌগগুলি দূরীভূত হয়ে যায়।

বর্জ্য জল শোধন কেবল পরীক্ষার জন্য জানা জরুরি না, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এবং ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরিষ্কার বর্জ্য জল আমাদের নদী, খাল, পুকুর সব নষ্ট করে দেয়। এমনকি আমাদের মাটি এবং স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকারক। কিন্তু বর্জ্য জল শোধন করলে আমরা এই নোংরা জলকে আবার নতুন করে ব্যবহার করতে পারি। এতে আমরা জলের অপচয় কমাতে পারি, পরিবেশ ভালো রাখতে পারি, আর চাষের কাজে বা কারখানায়ও জলের সরবরাহ বাড়াতে পারি। তাই, সুস্থ থাকার জন্য এবং পৃথিবীকে সুন্দর রাখার জন্য আমাদের সকলেই বর্জ্য জল শোধন করা উচিত।

এই প্রশ্নটি মাধ্যমিক ভূগোলের দ্বিতীয় অধ্যায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর জানার মাধ্যমে আপনি বর্জ্য জল শোধনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন এবং পরীক্ষার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারবেন।

Please Share This Article

Related Posts

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও-মাধ্যমিক ভূগোল

ভারতকে মৃত্তিকা অঞ্চলে ভাগ করে প্রত্যেকটির পরিচয় দাও।

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য লেখো

দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর পার্থক্য

স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করো।

বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরের অবস্থান এবং এর গুরুত্ব

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

নবম শ্রেণি – বাংলা – ইলিয়াস – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণি – বাংলা – ইলিয়াস – বিষয়সংক্ষেপ

নবম শ্রেণি বাংলা – আমরা – রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আমরা – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

নবম শ্রেণি বাংলা – আমরা – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর