অষ্টম শ্রেণি – বাংলা – বোঝাপড়া – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বোঝাপড়া” কবিতাটি মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে। কবিতায় বলা হয়েছে যে, বোঝাপড়া থাকলেই সমাজে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। ভুল বোঝাবুঝির কারণে মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ দেখা দেয়, যা সমাজের ক্ষতি করে।

Table of Contents

কবিতাটিতে কবি বিভিন্ন উপমা ব্যবহার করে বোঝাপড়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। যেমন, তিনি বলেছেন, “মনের দুই দিক যদি এক হয়, তবেই মিলন হয়”। এর মানে হলো, যদি মানুষ একে অপরের মনের কথা বুঝতে পারে এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে তাদের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি হয়।

কবিতাটি শেষ হয় এই বার্তা দিয়ে যে, আমাদের সকলেরই উচিত একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়া এবং বোঝাপড়ার চেষ্টা করা। তাহলেই সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকবে।

বোঝাপড়া - অষ্টম শ্রেণি – বাংলা - অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন্ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন?

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ‘ভারতী’ ও ‘বালক’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন।

ভারতের কোন্ প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়?

ভারতের অন্যতম প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশে তাঁর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।

সহজে মেনে নিতে হবে – (সত্য/অসত্য/মিথ্যা)-কে।

সত্য-কে।

তোমারি কি এমন ভাগ্য – যাকে উদ্দেশ্য করে কথাটি বলা হয়েছে তার এমন ভাগ্য নয় যে – (সত্যকে সে সহজভাবে গ্রহণ করতে পারবে/জীবনে সবরকম প্রতিকূলতা বাঁচিয়ে চলতে পারবে/মান্ধাতার আমল থেকে চলে আসা নিয়ম সে পালটে ফেলবে/চিরকাল বিধির সঙ্গে বিবাদে জয়ী হবে)।

জীবনে সবরকম প্রতিকূলতা বাঁচিয়ে চলতে পারবে।

ঝঞ্ঝা কেটে জীবনে (দুঃখ/কষ্ট/সুখ) আসে।

সুখ।

পাঁজর কেঁপে ওঠে – (উল্লাসে/আর্তরবে/আতঙ্কে)।

আর্তরবে।

কেউ কেউ নিজের পায়ে আঘাত করে – (হাতুড়ি/কোদাল/কুড়ুল) দিয়ে।

কুড়ুল।

ভালো মন্দ যাহাই আসুক/ _ লও সহজে।

সত্যেরে।

কতকটা যে _ তাদের/কতকটা বা তোমারো ভাই।

স্বভাব।

তোমারি কি এমন ভাগ্য/বাঁচিয়ে যাবে সকল _।

জখম।

তুমি মর কারও _ /কেউ বা মরে তোমার চাপে।

ঠেলায়।

বোঝাপড়া কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

বোঝাপড়া কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি গল্পের নাম লেখো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি গল্প হল – ‘বলাই’, ‘দেনাপাওনা’।

মনেরে আজ কহ যে, – মনকে কী বলতে হবে?

মনকে বলতে হবে – ভালো মন্দ যাহাই আসুক/সত্যেরে লও সহজে।

এলে সুখের বন্দরেতে, – কীভাবে এই বন্দরে আসা যায়?

অনেক ঝঞ্ঝা কাটিয়ে সুখের বন্দরে আসা যায়।

সেইখানে হয় জাহাজ-ডুবি। – কোথায় জাহাজ-ডুবি হয়?

যেখানে কেউ কোনো শঙ্কা করে না, সেখানেই জাহাজ-ডুবি হয়।

বোঝাপড়া কবিতায় কবি প্রকৃতপক্ষে কোন্ বোঝাপড়ার কথা বলেছেন?

জীবনে চলার পথে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থাকবেই, অর্থাৎ মানুষে মানুষে মানসিকতার তফাত ঘটবেই-তাই বলে সকলের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হওয়াও যুক্তিগ্রাহ্য পথ নয়। সব কিছুকে মানিয়ে নিয়ে বোঝাপড়ার ভাব বা মানসিকতা গড়ে তোলা দরকার বলে কবি মনে করেছেন।

মান্ধাতার আমল থেকে/চলে আসছে এমনি রকম – ‘মান্ধাতার আমল’ বলতে কী বোঝো? তখন থেকে কী চলে আসছে?

মান্ধাতার আমল বলতে প্রাচীনকালের কথা বোঝানো হয়েছে।
মান্ধাতার আমল থেকে চলে আসছে যে আমাকে কখনো ফাঁকে পড়তে হবে, আবার আমিও কখনো কাউকে ফাঁকি দেব; কিছুটা লাভ আমার ভাগে পড়বে, কিছুটা আবার পড়বে পরের ভোগে।

জলের তলে কী ছিল? তাতে কী হতে পারে?

জলের তলে ‘পাহাড়’ লুকিয়ে ছিল।
সেই পাহাড় বুকের গভীরে আঘাত করতে পারে।

শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কী? তা শিখতে না পারলে কী হবে?

ভেসে থাকার শিক্ষাই হল শ্রেষ্ঠ শিক্ষা।
এই শিক্ষা অর্জন করতে না পারলে বিনা বাক্যে টুপ করে ডুবে মরতে হবে।

ঘটনা সামান্য খুবই। – কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?

আলোচ্য অংশে কবি অপ্রত্যাশিত আঘাতের ঘটনাকেই সামান্য বলে উল্লেখ করেছেন। কোনোরকম উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ যেখানে থাকে না সেখানেই আচমকা জাহাজডুবির মতো ঘটনা ঘটে যায়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বোঝাপড়া” কবিতাটি মানুষের মধ্যে বোঝাপড়া ও ঐক্যের অপরিহার্যতার উপর জোর দেয়। কবি এখানে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, বোঝাপড়ার মাধ্যমেই সমাজে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। বোঝাপড়ার অভাবে মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, দ্বন্দ্ব ও বিরোধ দেখা দেয়, যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

কবিতাটিতে বিভিন্ন সুন্দর উপমা ব্যবহার করে বোঝাপড়ার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। যেমন, “মনের দুই দিক যদি এক হয়, তবেই মিলন হয়” এই উক্তিটি বোঝায় যে, যখন মানুষ একে অপরের মনের কথা বুঝতে পারে এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তখনই তাদের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি হয়।

কবিতার শেষ বার্তাটি হলো, আমাদের সকলেরই উচিত একে অপরের প্রতি সহনশীল হওয়া এবং বোঝাপড়ার চেষ্টা করা। কারণ, বোঝাপড়ার মাধ্যমেই আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে পারি।

উপসংহারে বলা যায়, বোঝাপড়া মানবজীবনের একটি অপরিহার্য গুণ। বোঝাপড়ার মাধ্যমেই আমরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে পারি এবং একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গড়ে তুলতে পারি।

Share via:

মন্তব্য করুন