দাম নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা একটি বাংলা গল্প। এটি নবম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত। গল্পটি একটি স্কুলশিক্ষকের জীবনের উপর ভিত্তি করে লেখা। শিক্ষকটির নাম অঙ্কের মাস্টারমশাই। তিনি ছিলেন একজন অসাধারণ অঙ্কবিদ। তাঁর অঙ্কের ক্লাস ছিল খুব কঠিন। তিনি ছাত্রদের অনেক বকাঝকা করতেন। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান শিক্ষক। তাঁর ছাত্ররা তাঁকে ভয় পেলেও শ্রদ্ধা করত।
গল্পের কথক ছিলেন অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের এক ছাত্র। তিনি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হন। একদিন তিনি একটি পত্রিকা থেকে একটি গল্প লেখার অনুরোধ পান। তিনি তাঁর ছেলেবেলার স্মৃতি থেকে এই গল্পটি লেখেন।
মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা। লিখলুম তাঁকে নিয়েই – কার, কেন মাস্টারমশাইয়ের কথা মনে এল? তাঁকে নিয়ে বক্তা কী লিখলেন?
উদ্দিষ্ট ব্যক্তির মনে পড়া – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটোগল্পে একটি অনামি পত্রিকার পক্ষ থেকে বাল্যস্মৃতি লেখার প্রস্তাব এলে বিষয়ের খোঁজ করতে গিয়ে কথক সুকুমারের নিজের স্কুলজীবনের অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের কথা মনে আসে।
বক্তার লেখার বিষয় – বাল্যস্মৃতি লিখতে গিয়ে সুকুমারের মনে পড়ে স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের কথা, যিনি ছাত্রদের কাছে ছিলেন মূর্তিমান বিভীষিকা। তিনি বিশ্বাস করতেন অঙ্ককে ভালোবাসা ও অঙ্ক করতে পারা প্রতিটি ছাত্রের অবশ্য কর্তব্য। তাই অঙ্ক না পারলে তাঁর প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় নেমে আসত ছেলেদের পিঠে। সেই চড় খেয়ে ছেলেরা কাঁদতেও পারত না। কারণ পুরুষমানুষ হয়ে একে তারা অঙ্ক পারছে না, তার উপর আবার কাঁদছে, এ কথা তিনি কল্পনাও করতে পারতেন না। হুংকার দিয়ে মাস্টারমশাই ছাত্রদের স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। ফলে ছাত্ররা তাঁকে যমের মতো ভয় পেত এবং কবে তাঁর ও অঙ্কের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে তার জন্য দিন গুনত। একইসাথে ছিল কিছু উপদেশও, যার মূলকথা হল — অহেতুক তাড়না করে কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায় না, গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করতে গেলে গাধাটাই পঞ্চত্ব পায়।
মাস্টারমশাই সম্পর্কে এইসব অভিজ্ঞতার বিবরণ দিয়ে সুকুমার তাঁর সমালোচনাও করেছিলেন বাল্যস্মৃতিতে। সেখানে বাস্তবের সঙ্গে মিশেছিল লেখকসুলভ কল্পনাও।
ছবিটা যা ফুটল, তা খুব উজ্জ্বল নয় – এখানে কোন্ ছবির কথা বলা হয়েছে? ছবিটা উজ্জ্বল নয় কেন?
উদ্দিষ্ট ছবি – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটোগল্পের কথক সুকুমার স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইকে নিয়ে যে বাল্যস্মৃতিটি লিখেছিলেন তাতে মাস্টারমশাইয়ের যে স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছিল এখানে তার কথা বলা হয়েছে।
ছবিটা উজ্জ্বল না হওয়ার কারণ – স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন সুকুমার ও তাঁর সহপাঠীদের কাছে মূর্তিমান বিভীষিকা। অঙ্কে তাঁর অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল কিন্তু তিনি কল্পনাও করতে পারতেন না যে, ছাত্ররা অঙ্ক না-ও ভালোবাসতে পারে বা অঙ্ক না-ও পারতে পারে। ছাত্ররা অঙ্ক না পারলেই তাঁর প্রকাণ্ড হাতের প্রচণ্ড চড় নেমে আসত ছাত্রদের পিঠে। তাতে ছাত্ররা কাঁদলে মাস্টারমশাই আরও রেগে যেতেন। একজন পুরুষমানুষ অঙ্ক পারে না, তার ওপর আবার মার খেয়ে কাঁদে — এটা ছিল মাস্টারমশাইয়ের কাছে চরম অপছন্দের বিষয়। ফলে ছাত্রদের মনে মাস্টারমশাইয়ের এক আতঙ্কের ছবি তৈরি হয়েছিল।
পরবর্তীকালে সুকুমারের লেখা বাল্যস্মৃতিতে তাঁর কিশোর মনে আঁকা মাস্টারমশাইয়ের বিভীষিকাময় ছবিটিই ফুটে ওঠে। তার উপরে আবার লেখকসুলভ কল্পনার খাদও মিশেছিল লেখাটিতে। ফলে সবমিলিয়ে মাস্টারমশাইয়ের যে ছবিটি বাল্যস্মৃতিতে ফুটে উঠেছিল, তা মোটেই উজ্জ্বল ছিল না।
স্বর্গের দরজাতেও ঠিক ওই কথাই লেখা রয়েছে – স্বর্গের দরজাতে কী লেখা রয়েছে? বক্তা এমন কথা বলেছেন কেন?
দরজায় লিখিত বিষয় – দাম গল্পে কথক অসম্পূর্ণ বাক্যে মাস্টারমশাইয়ের যে উক্তিটি বলতে চেয়েছেন তা হল, যদি স্বর্গে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে অঙ্ক জানতেই হবে।
মন্তব্যের কারণ – কথকের বক্তব্য অনুযায়ী তাঁর স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই ছিলেন বিভীষিকাস্বরূপ। যেসব জটিল অঙ্ক নিয়ে, ছাত্ররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা পণ্ডশ্রম করত, তিনি একবার দেখেই সেগুলো বোর্ডে সমাধান করে দিতেন। দেখে মনে হত, পৃথিবীর সব অঙ্কই যেন তাঁর মুখস্থ। কিংবা অঙ্কগুলো যেন বোর্ডে আগে থেকেই কষা আছে। মাস্টারমশাই শুধু অদৃশ্য অক্ষরগুলোর উপরে খড়ি বুলিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ছাত্রদের মধ্যেও তিনি একইরকম দক্ষতা প্রত্যাশা করতেন। এমনকি যারা অঙ্কে একশোর মধ্যে একশো পেত, তারাও তাঁর ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত। আর যারা দুর্বল তারা মাস্টারমশাইয়ের হাতের চড় খেয়ে ঘুরে পড়ত, কিন্তু কান্নার উপায় ছিল না। কারণ চোখে সামান্য জল দেখলেও তিনি হুংকার ছেড়ে পুরুষমানুষ হয়ে অঙ্ক না পারার জন্য ধিক্কার দিতেন। ভয় দেখাতেন স্কুলের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দেবার। এই প্রসঙ্গেই তিনি শোনাতেন প্লেটোর দরজায় লেখা কথা, যে অঙ্ক জানে না — এখানে তার প্রবেশ নিষেধ। বলতেন স্বর্গের দরজাতেও নাকি এমনই লেখা আছে। আসলে অঙ্ক-অন্তপ্রাণ মাস্টারমশাইয়ের কাছে অঙ্ক জানাটাই ছিল একমাত্র কাজ।
আমি সুযোগটা ছাড়তে পারলুম না। — কোন্ সুযোগের কথা বলা হয়েছে? সুযোগটা তিনি ছাড়তে পারেননি কেন? সেখানে বক্তা কী করেছিলেন?
উদ্দিষ্ট সুযোগ – দাম গল্পে কথক সুকুমারের কাছে বাংলাদেশের এক প্রান্তবর্তী কলেজ থেকে তাদের বার্ষিক উৎসবে বক্তৃতা করার ডাক আসে। এই সুযোগ – এর কথাটি এখানে বলা হয়েছে।
ছাড়তে না পারার কারণ – কথক সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি, কারণ এই উপলক্ষ্যে বিনা পয়সায় বেড়ানো যায়, তা ছাড়া কলকাতা থেকে কেউ বাইরে গেলেই তার রাজোচিত সংবর্ধনা মেলে। কথক কৌতুক করে বলেছেন — এখানকার চড়ুই পাখিও সেখানে রাজহংসের সম্মান পায়। এই প্রসঙ্গে তাঁর আরও মতামত হল — কলকাতা থেকে দূরত্ব যত বাড়বে অতি সাধারণেরও অসাধারণ হয়ে ওঠার সুযোগ তত বেশি।
বক্তার কাজ – কথক সভায় জাঁকিয়ে বক্তৃতা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ থেকে বারোটা উদ্ধৃতি দিয়েছিলেন, কারও একটা ইংরেজি কোটেশন চালিয়ে দিয়েছিলেন বার্নার্ড শ-র নামে। শেষে দেশের তরুণদের জাগ্রত হবার কথা বলে টেবিলে একটা প্রচণ্ড কিল মেরে যখন বক্তৃতা শেষ করলেন তখন অল্পের জন্য ফুলদানিটা রক্ষা পেয়েছিল। হল ফাটানো হাততালি তাঁর বক্তৃতার সাফল্যকে প্রমাণ করেছিল। এমনকি বৃদ্ধ অধ্যক্ষও উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন। এরপরেও কথক যখন বলেন যে শরীর ভালো না থাকার জন্য মনের মতো করে বলতে পারেননি — তখন ছাত্ররা প্রবল বিস্মিত হয়ে যায়।
সভায় জাঁকিয়ে বক্তৃতা করা গেল। — বক্তৃতাটির বর্ণনা দাও এবং এতে শ্রোতাদের মধ্যে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল?
বক্তৃতাটির বর্ণনা – দাম গল্পে বাংলাদেশের এক প্রান্তবর্তী কলেজের বার্ষিক উৎসবে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার অনুরোধ আসে কথকের কাছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেন। যথেষ্ট আতিথেয়তার মধ্যেই তিনি জাঁকিয়ে বক্তৃতা করেন। রবীন্দ্রনাথ থেকে বারোটা উদ্ধৃতি দেন, কারও একটা ইংরেজি উদ্ধৃতি বার্নার্ড শ-র নামে চালিয়ে দেন। বক্তৃতার শেষপর্বে দেশের তরুণদের দারুণভাবে জেগে ওঠার কথা বলে টেবিলে প্রচণ্ড কিল মেরে যখন তিনি বক্তৃতা শেষ করেন তখন অল্পের জন্য টেবিলের উপরে রাখা ফুলদানিটা রক্ষা পায়। যদিও কথক জানতেন যে, এটি তাঁর একটি সর্বার্থসাধক বক্তৃতা যা তিনি রবীন্দ্র জন্মোৎসব থেকে বনমহোৎসব পর্যন্ত এদিক-ওদিক করে চালিয়ে দেন।
শ্রোতাদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া – এই বক্তৃতায় শ্রোতাদের মধ্যে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। হল-ফাটানো হাততালিতে কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। বৃদ্ধ অধ্যক্ষ সারগর্ভ এবং সুমধুর বক্তৃতার জন্য কথকের প্রতি নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। বিনীত হেসে কথক যখন বলেন যে, শরীর ভালো না থাকায় তিনি মনের মতো করে বলতে পারেননি, — তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেরা বিস্ময়ে চোখ কপালে তোলে যে, শরীর ভালো না থাকাতেই যদি লেখক এরকম বক্তৃতা দেন, তাহলে ভালো থাকলে না জানি কী হত। উদার হাসির মাধ্যমে কথক এসব কথাবার্তায় এক প্রশান্তি খুঁজে নিতে চেষ্টা করেন।
আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে – বক্তা কে? উক্তিটির আলোকে বক্তার মানসিকতা আলোচনা করো।
বক্তা – নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম ছোটোগল্পে উদ্ধৃতিটির বক্তা হলেন কথক সুকুমারের স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই।
বক্তার মানসিকতার স্বরূপ – কর্মজীবনে মাস্টারমশাই তাঁর ছাত্রদের কাছে ছিলেন মূর্তিমান বিভীষিকা। ছাত্ররা অঙ্ক না পারলে তিনি ভয়ানক রাগে তাদের প্রচণ্ড মারতেন। এজন্য ছাত্ররা তাঁকে যমের মতো ভয় পেত।
অঙ্কে দুর্বল তাঁরই এক ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালে লেখক হয়ে একটি বাল্যস্মৃতিতে মাস্টারমশাই সম্পর্কে এই কথাগুলি লেখেন। সঙ্গে মাস্টারমশাইয়ের সমালোচনা করে তিনি এও লেখেন যে, এইভাবে জোর করে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ছাত্রদের কোনো বিষয় শেখানো যায় না।
ঘটনাচক্রে মাস্টারমশাই সুকুমারের এই লেখাটি পড়েছিলেন এবং একটুও না রেগে ছাত্রের যাবতীয় সমালোচনাকে উদারমনে সন্তানের অধিকার বলে গ্রহণ করেছিলেন। এত বছর পরে একজন ছাত্র তাঁর কথা মনে করে পত্রিকায় গল্প লিখেছে সরল মনের এই মানুষটির কাছে এটাই প্রবল আনন্দ ও গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছিল। ছাপার অক্ষরে নিজের নামটি দেখেই তাঁর মনে হয়েছিল যে ছাত্র তাঁকে অমর করে দিয়েছে। ছাত্র যে সত্যিই তাঁকে আঘাত করতে পারে এটা তাঁর কল্পনাতেও ছিল না। তাই বলা যায়, মাস্টারমশাইয়ের ছাত্রদরদি এবং স্নেহশীল মনেরই প্রকাশ ঘটেছে এখানে।
এ অপরাধ আমি বইব কী করে, এ লজ্জা আমি কোথায় রাখব! — অপরাধবোধ এবং আত্মগ্লানি দূর হয়ে কীভাবে বক্তার আত্মশুদ্ধি ঘটল তা সংক্ষেপে লেখো।
আত্মশুদ্ধির সূচনা – কথকের ছোটোবেলার বিভীষিকাস্বরূপ ছিলেন তাঁর স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাই। অঙ্ক শেখানোর জন্য তাঁর কঠোর শাসন, তীব্র বকাঝকা কথকদের কাছে আতঙ্ক হয়ে গিয়েছিল। সেই আতঙ্কের রেশ এতটাই তীব্র ছিল যে, এমএ পাস করার পরেও দুঃস্বপ্নে মাস্টারমশাই এসে হাজির হতেন সামনে। মাস্টারমশাইয়ের ওপরে মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ কথক পেয়ে যান যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার অনুরোধ আসে। তাঁর লেখায় উঠে আসে মাস্টারমশাইদের কথা। অহেতুক তাড়না করে যে কাউকে শিক্ষা দেওয়া যায় না — নিজের অঙ্ক শিক্ষার ব্যর্থতার কথা বলে এ কথাই বুঝিয়ে দেন কথক। কিন্তু বাংলাদেশের প্রান্তবর্তী কলেজে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বহুদিন পরে সেই মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে যখন কথকের আবারও দেখা হয় — কথকের সব ধারণা পালটে যায়। মাস্টারমশাই শুধু তাঁর বক্তৃতারই প্রশংসা করেন না, জামার পকেট থেকে বের করেন সেই জীর্ণ পত্রিকা — যাতে ছিল মাস্টারমশাইকে নিয়ে কথকের লেখা বাল্যস্মৃতিটি।
আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে। — মাস্টারমশাইয়ের মুখে এ কথা শুনে লজ্জায় আত্মগ্লানিতে মাটিতে মিশে যান কথক। সন্তান বড়ো হলে অন্যায় শুধরে দেবে — এই মূল্যায়নে মাস্টারমশাই যেন অনন্য মহিমা নিয়ে ধরা পড়ে কথকের সামনে। কথকের মনে হয় তিনি যেন স্নেহ-মমতা ক্ষমার এক মহাসমুদ্রের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই লজ্জাবোধে আর মাস্টারমশাইয়ের উদারতার সামনে নত হওয়ার মাধ্যমেই তাঁর আত্মশুদ্ধি ঘটে।
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের “দাম” গল্পটি একটি শিক্ষামূলক গল্প। গল্পের মাধ্যমে লেখক পীড়ন-তাড়ন করে শেখানোকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়া উচিত।