মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান – জীবনের প্রবহমানতা – সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

Rahul

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “জীবনের প্রবহমানতা” অধ্যায়ের ‘সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন‘ বিভাগের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করবো। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন, তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হবে।

সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন – সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
Contents Show

ফুল কাকে বলে?

উদ্ভিদের যৌন জননে সাহায্যকারী বিশেষভাবে পরিবর্তিত ও সীমিত বৃদ্ধিসম্পন্ন পরিবর্তিত বিটপকে ফুল বা পুষ্প বলে।

ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লেখো।

ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  1. ফুল বিটপের পরিবর্তিত রূপ।
  2. ফুল সাধারণত কাক্ষিক বা অগ্রমুকুল থেকে উৎপন্ন হয়।
  3. ফুলের প্রধান চারটি স্তবক হল – বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র।

ফুলের কাজ কী?

ফুলের কাজ হল –

  1. সপুষ্পক উদ্ভিদে ফুল যৌন জনন সম্পাদন করে থাকে। ফুল থেকে ফল উৎপাদন হলে ফলের বীজ জীবের বংশবৃদ্ধি ঘটায়।
  2. ফুলের সবুজ অংশ (বৃতি) সালোকসংশ্লেষে সাহায্য করে।

পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস কাকে বলে? এর কাজ কী?

পুষ্পাক্ষ –

বৃন্তের অগ্রভাগে যে স্ফীত অক্ষে পুষ্পস্তবকগুলি পরপর আবর্তাকারে বা সর্পিলাকারে বিন্যস্ত থাকে, তাকে পুষ্পাক্ষ বা থ্যালামাস বলে।

পুষ্পাক্ষের কাজ –

ফুলের বিভিন্ন স্তবককে ধারণ করা।

পুষ্পাক্ষের ওপর পরপর সজ্জিত চারটি স্তবকের নাম কী?

পুষ্পাক্ষের ওপর যে চারটি স্তবক পরপর সাজানো থাকে, তাদের নাম –

  1. বৃতি।
  2. দলমণ্ডল।
  3. পুংস্তবক।
  4. স্ত্রীস্তবক।

আদর্শ ফুল কাকে বলে?

যে ফুলের পুষ্পাক্ষের ওপরে চারটি স্তবক পরপর স্বাভাবিক রীতিতে সজ্জিত থাকে, তাকে আদর্শ ফুল বলে। যেমন – জবা ফুল।

নগ্ন ফুল কাকে বলে?

যেসব ফুলে সাহায্যকারী স্তবক অর্থাৎ বৃতি এবং দলমণ্ডল থাকে না, তাদের নগ্ন ফুল বলে। যেমন – লালপাতা ফুল।

পুষ্পবৃন্ত কাকে বলে? এর কাজ কী?

পুষ্পবৃন্ত –

আদর্শ পুষ্পের পুষ্পাক্ষটি যে সরু অংশ দ্বারা কান্ডের বা শাখাপ্রশাখার সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাকে পুষ্পবৃন্ত বলে।

পুষ্পবৃন্তের কাজ –

ফুলকে কান্ডের শাখাপ্রশাখার সঙ্গে যুক্ত রাখা।

সবৃন্তক ফুল ও অবৃন্তক ফুল কাকে বলে?

সবৃন্তক ফুল –

যেসব ফুলের পুষ্পবৃন্ত বা বোঁটা থাকে, তাদের সবৃন্তক ফুল বলে। যেমন – জবাফুল, গোলাপ ফুল ইত্যাদি।

অবৃন্তক ফুল –

যেসব ফুলের পুষ্পবৃন্ত বা বোঁটা থাকে না, তাদের অবৃন্তক ফুল বলে। যেমন – রজনিগন্ধা।

সম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সম্পূর্ণ ফুল –

যেসব ফুলে বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক -এই চারটি স্তবকই বর্তমান তাদের সম্পূর্ণ ফুল বলে।

সম্পূর্ণ ফুলের উদাহরণ –

জবা, মটর, অপরাজিতা, সরষে ইত্যাদি।

অসম্পূর্ণ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

অসম্পূর্ণ ফুল –

যেসব ফুলে চারটি স্তবকের (বৃতি, দলমণ্ডল, পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র) মধ্যে এক বা একাধিক স্তবক অনুপস্থিত, তাদের অসম্পূর্ণ ফুল বলে।

অসম্পূর্ণ ফুলের উদাহরণ –

কুমড়ো, পেঁপে, বনতুলসী, মুক্তঝুরি ইত্যাদি।

বন্ধ্যা ফুল বা ক্লীব ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বন্ধ্যা বা ক্লীব ফুল –

যেসব ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবকের কোনোটিই থাকে না, তাদের বন্ধ্যা ফুল বা ক্লীব ফুল বলে।

বন্ধ্যা বা ক্লীব ফুলের উদাহরণ –

সূর্যমুখীর প্রান্ত পুষ্পিকা, ওল।

একলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

একলিঙ্গ ফুল –

যেসব ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবকের মধ্যে যে কোনো একটি উপস্থিত থাকে, তাদের একলিঙ্গ ফুল বলে। শুধুমাত্র পুংস্তবক থাকলে তাকে পুরুষ ফুল বলে এবং শুধুমাত্র স্ত্রীস্তবক থাকলে তাকে স্ত্রী ফুল বলে।

একলিঙ্গ ফুলের উদাহরণ –

কুমড়ো ফুল।

দ্বিলিঙ্গ ফুল বা উভলিঙ্গ ফুল বলতে কী বোঝ? উদাহরণ দাও।

উভলিঙ্গ ফুল –

যেসব ফুলে পুংস্তবক এবং স্ত্রীস্তবক উভয়ই থাকে, তাদের দ্বিলিঙ্গ (বাইসেক্সুয়াল) ফুল বা উভলিঙ্গ ফুল বলে।

উভলিঙ্গ ফুলের উদাহরণ –

জবাফুল, ধুতরো ফুল।

অপ্রতিসম ফুল কাকে বলে? একটি উদাহরণ দাও।

অপ্রতিসম ফুল –

যখন কোনো ফুলকে তার অক্ষ বরাবর কখনোই সমান ভাগে ভাগ করা যায় না, তখন তাকে অপ্রতিসম ফুল বলে।

অপ্রতিসম ফুলের উদাহরণ –

অর্কিড ফুল।

অপ্রতিসম ফুল-অর্কিড
অপ্রতিসম ফুল-অর্কিড

সুষম ফুল বা সমাঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

সুষম ফুল –

যেসব ফুলের প্রতিটি স্তবকের অংশগুলি আকৃতিগতভাবে প্রায় সমান এবং একইরকম দেখতে হয়, তাদের সুষম ফুল বা সমাঙ্গ ফুল বলে।

সুষম ফুলের উদাহরণ –

ধুতরো ফুল, নয়নতারা ফুল।

বিষম ফুল বা অসমাঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বিষম ফুল –

যেসব ফুলের প্রতিটি স্তবকের বা যে কোনো একটি স্তবকের পুষ্পপত্রগুলি আকৃতিগতভাবে একে অপরের থেকে অসমান, তাদের বিষম ফুল বা অসমাঙ্গ ফুল বলে।

বিষম ফুলের উদাহরণ –

মটর ফুল, অপরাজিতা ফুল।

সহবাসী উদ্ভিদ (monoecious plant) কাকে বলে?

যে উদ্ভিদে পুরুষ ফুল এবং স্ত্রীফুল পৃথকভাবে কিন্তু শ্রীফলা একই উদ্ভিদে জন্মায়, তাকে সহবাসী উদ্ভিদ বলে। যেমন – লাউ, কুমড়ো ইত্যাদি।

সহবাসী উদ্ভিদ-কুমড়ো
সহবাসী উদ্ভিদ-কুমড়ো

ভিন্নবাসী উদ্ভিদ (dioecious plant) কাকে বলে?

যে উদ্ভিদে পুরুষ অথবা স্ত্রী যে কোনো একপ্রকারের ফুল জন্মায় তাকে ভিন্নবাসী উদ্ভিদ বলে। যেমন – পেঁপে, তাল প্রভৃতি।

ভিন্নবাসী উদ্ভিদ-পেঁপে
ভিন্নবাসী উদ্ভিদ-পেঁপে

বৃতি ও দলমণ্ডলকে ফুলের সাহায্যকারী স্তবক বলে কেন?

বৃতি ও দলমণ্ডলকে ফুলের সাহায্যকারী স্তবক বলে কারণ, এরা সপুষ্পক উদ্ভিদের জননে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ না করলেও পরোক্ষভাবে সাহায্য করে। যেমন – পরাগযোগের জন্য বিভিন্ন বাহকদের আকৃষ্ট করা।

বৃতি কাকে বলে?

ফুলের সর্বাপেক্ষা বাইরের বা নীচের দিকে অবস্থিত স্তবক যা ফুলকে কুঁড়ি অবস্থায় ঢেকে রাখে এবং তাকে রক্ষা করে, তাকে বৃতি বা ক্যালিক্স বলে। বৃতির প্রতিটি একককে বৃত্যংশ বলা হয়। কিছুকিছু ফুলে বৃতির ঠিক নীচে উপবৃতি থাকে।

পুংকেশর চক্র ও গর্ভকেশর চক্র কাকে বলে?

পুংকেশর চক্র –

পুংদণ্ড ও পরাগধানী সমন্বিত পুংকেশর নিয়ে গঠিত, দলমণ্ডল বা করোলার ভিতরের দিকে অবস্থিত, ফুলের তৃতীয় এবং অপরিহার্য স্তবককে পুংকেশর চক্র বা অ্যান্ড্রোসিয়াম বলে।

গর্ভকেশর চক্র –

গর্ভাশয়, গর্ভদণ্ড এবং গর্ভমুণ্ড নিয়ে গঠিত, ফুলের সব থেকে ভিতরে অবস্থিত, ফুলের চতুর্থ এবং অপরিহার্য স্তবককে গর্ভকেশর চক্র বা গাইনোসিয়াম বলে।

পুংকেশর ও গর্ভকেশর-
পুংকেশর ও গর্ভকেশর-

পরাগযোগ কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে ফুলের পরাগধানী থেকে পরাগরেণু একই ফুলের বা একই গাছের অন্য কোনো ফুলের বা একই প্রজাতির অন্য গাছের কোনো ফুলের গর্ভকেশরের গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয় তাকে পরাগযোগ বলে।

পরাগযোগ কয়প্রকার ও কী কী? তা চার্টের সাহায্যে দেখাও।

পরাগযোগ চার্টের সাহায্যে
পরাগযোগ চার্টের সাহায্যে

গেইটোনোগ্যামি কাকে বলে? এটি একলিঙ্গ উদ্ভিদে সম্ভব কি?

যে স্বপরাগযোগ পদ্ধতিতে কোনো উদ্ভিদের দুটি ভিন্ন ফুলের মধ্যে স্বপরাগযোগ ঘটে, তাকে গেইটোনোগ্যামি বলে। যেমন – ভুট্টা জাতীয় উভলিঙ্গ উদ্ভিদে গেইটোনোগ্যামি দেখা যায়।

একলিঙ্গ উদ্ভিদে গেইটোনোগ্যামি সম্ভব হয় না।

পরাগযোগের গুরুত্ব লেখো।

  1. উদ্ভিদের জননের জন্য পরাগযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরাগমিলন হলে ফল তৈরি হয় এবং ফলের বীজ থেকে নতুন উদ্ভিদ তৈরি সম্ভব হয়।
  2. অধিকাংশ খাদ্যশস্য ও ফল উৎপাদন পরাগযোগের ওপর নির্ভর করে।

স্বপরাগযোগের থেকে ইতর পরাগযোগ বেশি সুবিধাজনক – ব্যাখ্যা করো।

অনুরূপ প্রশ্ন, ইতর পরাগযোগ, স্বপরাগযোগ অপেক্ষা উন্নততর কেন?

স্বপরাগযোগের থেকে ইতর পরাগযোগ বেশি সুবিধাজনক, কারণ –

  1. ইতর পরাগযোগে দুটি পৃথক উদ্ভিদের জিনগত উপাদানের সমন্বয় ঘটে বলে অধিক প্রকরণ সৃষ্টি হয়। ফলে অপত্য উদ্ভিদ উন্নত গুণমান সম্পন্ন হয়ে থাকে। এগুলির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, কষ্টসহিষ্নুতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হয়। স্বপরাগযোগে সেই সুবিধা নেই।
  2. জিনগত প্রকরণ ঘটে বলে উদ্ভিদটি প্রজাতিটির অভিব্যক্তিতেও সাহায্য করে।

বায়ুপরাগী বা অ্যানিমোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।

বায়ুপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল –

  1. বায়ুপরাগী ফুল সাধারণত সাদা, অনুজ্জ্বল এবং ক্ষুদ্রাকার হয়। এইজাতীয় ফুল দৃষ্টি আকর্ষী হয় না।
  2. এইজাতীয় ফুলে মকরন্দ সঞ্চিত হয় না এবং ফুল সাধারণত গন্ধহীন হয়।
  3. দীর্ঘ পুংদণ্ডের উপস্থিতির জন্য দোদুল্যমান পরাগধানী দলমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে আসে।
  4. বায়ু দ্বারা বাহিত হওয়ার সময় পরাগরেণু অপচয় হয়, তাই অধিক পরিমাণে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়।
  5. পরাগরেণু যাতে বাতাসে সহজে উড়তে পারে, তার জন্য পরাগ খুবই হালকা হয়। উদাহরণ – ধান।
বায়ুপরাগী ফুল-ধান
বায়ুপরাগী ফুল-ধান

বায়ুপরাগী বা অ্যানিমোফিলাস ফুলের পরাগরেণু ও গর্ভমুণ্ড কেমন হয়?

বায়ুপরাগী ফুলের পরাগরেণু –

বর্ণহীন, গন্ধহীন, অনুজ্জ্বল ও ক্ষুদ্র হয়।

বায়ুপরাগী ফুলের গর্ভমুণ্ড –

শাখান্বিত, রোমশ ও আঠালো প্রকৃতির হয় ও তা দলমণ্ডলের বাইরে বেরিয়ে থাকে।

জলপরাগী বা হাইড্রোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।

জলপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল –

  1. জলপরাগী ফুলের আকৃতি ক্ষুদ্র হয় এবং ফুলগুলি অনুজ্জ্বল প্রকৃতির।
  2. জলের তলায় যে ফুলের পরাগযোগ সম্পন্ন হয়, সেই ফুলের পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত ভারী হয়।
  3. রেণুগুলির বাইরের ত্বকে মোমজাতীয় পদার্থের আস্তরণ থাকে।
  4. কিছুসংখ্যক ফুলের গর্ভকেশর এবং পুংকেশর দলাংশ দিয়ে ঢাকা থাকে না।
  5. পরাগরেণুগুলি ক্ষুদ্র হয় এবং সহজে জলের মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে স্থানান্তরিত হতে পারে। উদাহরণ – পাতাঝাঁঝি।
জলপরাগী ফুল-পাতাঝাঁঝি
জলপরাগী ফুল-পাতাঝাঁঝি

পতঙ্গপরাগী বা এন্টোমোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।

অনুরূপ প্রশ্ন, পতঙ্গপরাগী ফুল চিনবে কী করে?

পতঙ্গপরাগী বা এন্টোমোফিলাস ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  1. পতঙ্গপরাগী ফুলগুলি সাধারণত বড়ো ও উজ্জ্বল বর্ণের হয়।
  2. ফুলগুলি সুগন্ধযুক্ত হয় এবং ফুলে অনেক সময় মকরন্দ সঞ্চিত থাকে।
  3. এইজাতীয় ফুলে পরাগরেণুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হয়।
  4. পরাগরেণু অপেক্ষাকৃত বড়ো, আঠালো এবং খসখসে হয়, যাতে সহজে পতঙ্গের গায়ে আটকে যেতে পারে।
  5. এইপ্রকার ফুলের গর্ভমুণ্ড সাধারণত ক্ষুদ্রাকার, আঠালো এবং খসখসে হয়। উদাহরণ – আম।
পতঙ্গপরাগী ফুল-আম
পতঙ্গপরাগী ফুল-আম

পাখিপরাগী বা অরনিথোফিলাস ফুলের বৈশিষ্ট্য লেখো।

পাখিপরাগী ফুলের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল –

  1. এই ধরনের ফুলগুলি আকারে বেশ বড়ো হয়।
  2. এই ফুলগুলির বর্ণ উজ্জ্বল প্রকৃতির হয়, এতে পাখিরা সহজে আকৃষ্ট হয়।
  3. এইজাতীয় ফুলে যথেষ্ট পরিমাণে মকরন্দ সঞ্চিত থাকে।
  4. অনেকক্ষেত্রে এই ফুলের পরাগধানীগুলি পাখির খাদ্য হিসেবে গৃহীত হয়। উদাহরণ – শিমুল।

সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায়গুলি কী কী?

সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননের পর্যায়গুলি হল –

  1. পরাগযোগ – পুংকেশর থেকে গর্ভমুণ্ডে পরাগরেণুর স্থানান্তর।
  2. নিষেক ও জাইগোট গঠন – পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলনে ভ্রুণাণু বা জাইগোট সৃষ্টি।
  3. ফল ও বীজ গঠন – ভ্রুণাণুর বৃদ্ধির ফলে বীজ তৈরি হয়, একই সঙ্গে তাকে ঘিরে ফলও গঠিত হয়।
  4. বীজের অঙ্কুরোদগম – বীজ বিস্তারলাভ করলে অনুকূল পরিবেশে তার অঙ্কুরোদগম ঘটে। ফলে নতুন অপত্য উদ্ভিদ তৈরি হয়।

নিষেক বা গর্ভাধান কাকে বলে?

উদ্ভিদের পুংজননকোশ বা পরাগরেণু ও স্ত্রীজননকোশ বা ডিম্বাণুর মিলনকে নিষেক বা গর্ভাধান বা ফার্টিলাইজেশন বলে।

নিষেকের গুরুত্ব লেখো।

নিষেকের গুরুত্বগুলি হল –

  1. পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলন বা নিষেক না হলে যৌন জননে জাইগোট সৃষ্টি হতে পারবে না।
  2. দ্বিনিষেকে উৎপন্ন সস্যতে ভ্রুণের জন্য সস্য সঞ্চিত থাকে।
  3. নিষেকের ফলে জাইগোট তৈরি হলে তা থেকে নতুন অপত্য জীব সৃষ্টি হয়। ফল যৌন জননের উদ্দেশ্য সাধিত হয়।

মাইক্রোগ্যামেটোজেনেসিস কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে উদ্ভিদ প্রজননের সময় পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে সঞ্চারণের পর তার হ্যাপ্লয়েড নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয় ও 3টি নিউক্লিয়াস সমন্বিত গঠন তৈরি করে, তাকে মাইক্রোগ্যামেটোজেনেসিস বলে। পরাগধানীর মধ্যে রেণু মাতৃকোশ (2n) থেকে মাইক্রোস্পোর বা পরাগরেণু (n) উৎপন্ন হয়। এটি হল পুংলিঙ্গধর উদ্ভিদের প্রথম কোশ। পরাগরেণুর নিউক্লিয়াসটির মাইক্রোগ্যামেটোজেনেসিস পদ্ধতিতে বিভাজন ও পরিস্ফুরণ ঘটে। দুটি পুংজননকোশ ও একটি নালিকা নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়।

মেগাগ্যামেটোজেনেসিস কাকে বলে?

যে পদ্ধতিতে সপুষ্পক উদ্ভিদের গর্ভাশয়ে হ্যাপ্লয়েড (n) স্ত্রীরেণু মাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়ে বহুনিউক্লিয়াসযুক্ত ভ্রুনস্থলী বা স্ত্রীলিঙ্গধর সৃষ্টি করে, তকে মেগাগ্যামেটোজেনেসিস বলে। এর ফলে ভ্রুণস্থলীতে দুটি সহকারী কোশ (n), একটি ডিম্বাণু (n), দুটি পোলার নিউক্লিয়াস (n), [দুটি মিলে সৃষ্টি করে একটি সস্য নিউক্লিয়াস (2n)] এবং তিনটি প্রতিপাদ নিউক্লিয়াস (n) সৃষ্টি হয়।

গর্ভযন্ত্র কাকে বলে?

সপুষ্পক উদ্ভিদে ভ্রুনস্থলীর ভিতর 8টি হ্যাপ্লয়েড (n) নিউক্লিয়াস -এর ভিতর 3টি ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে অবস্থিত। এই 3 টির মধ্যে একটি ডিম্বাণু ও বাকি দুটি হল সহকারী কোশ। এই তিনটি কোশকে একত্রে গর্ভযন্ত্র (egg apparatus) বলে।

পোরোগ্যামি কাকে বলে?

সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকরন্ধ্রের মধ্যে দিয়ে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক সম্পন্ন করলে, তাকে পোরোগ্যামি বলে। যেমন – লিলি।

চ্যালাজোগ্যামি কাকে বলে?

সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকমূলের মধ্যে দিয়ে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক ঘটালে, তাকে চ্যালাজোগ্যামি বলে। যেমন – ক্যাসুয়ারিনা (Casuarina)।

পরাগনালীর ডিম্বকে প্রবেশ-
পরাগনালীর ডিম্বকে প্রবেশ-

মেসোগ্যামি কাকে বলে?

সপুষ্পক উদ্ভিদে ডিম্বকত্বক ভেদ করে পরাগনালী ডিম্বকে প্রবেশ করে নিষেক ঘটালে, তাকে মেসোগ্যামি বলে। যেমন – কুমড়ো।

সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জননে ডেফিনিটিভ বা নির্ণীত নিউক্লিয়াস কীভাবে গঠিত হয়? এর পরিণতি কী হয়?

অনুরূপ প্রশ্ন, নির্ণীত নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত? এটি কী গঠন করে?

ভ্রুণস্থলীতে দুটি হ্যাপ্লয়েড পোলার নিউক্লিয়াস মিলিত হয়ে একটি ডিপ্লয়েড ডেফিনিটিভ নিউক্লিয়াস বা নির্ণীত নিউক্লিয়াস গঠন করে।

ডেফিনেটিভ বা নির্ণীত নিউক্লিয়াস (2n) ভ্রুণস্থলীতে আগত অপর পুংগ্যামেট দ্বারা নিষিক্ত হয় ও সস্য (3n) গঠন করে।

দ্বিনিষেক কাকে বলে? এর গুরুত্ব কী?

অনুরূপ প্রশ্ন, সপুষ্পক উদ্ভিদের নিষেককে দ্বিনিষেক বলে কেন?

দ্বিনিষেক –

গুপ্তবীজী উদ্ভিদের দুটি পুংগ্যামেট -এর একটি ডিম্বাণুকে এবং অপরটি ডেফিনিটিভ (নির্ণীত) নিউক্লিয়াসকে নিষিক্ত করার পদ্ধতিকে দ্বিনিষেক বলে। পরপর দুবার নিষেক ঘটার জন্যই একে দ্বিনিষেক বলা হয়ে থাকে।

দ্বিনিষেকের গুরুত্ব –

  1. পুংগ্যামেট (n) ও স্ত্রী গ্যামেটের (n) মিলনে ভ্রুণ বা জাইগোট (2n) উৎপন্ন হয়।
  2. দ্বিতীয় পুং গ্যামেটের (n) সাথে ডিপ্লয়েড (2n) নির্ণীত নিউক্লিয়াসের মিলনে ট্রিপ্লয়েড (3n) প্রকৃতির সস্য নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। সস্য নিউক্লিয়াসটি বিভাজিত হয়ে সস্যকলা গঠন করে যা ভ্রুণের ভবিষ্যতের খাদ্যরূপে ব্যবহৃত হয়।

নীচের কোশগুলিতে ক্রোমোজোম সেট সংখ্যা লেখো (একসেট = n) – (1) প্রতিপাদ কোশ, (2) নির্ণীত নিউক্লিয়াস, (3) নালিকা নিউক্লিয়াস, (4) সস্য নিউক্লিয়াস, (5) পুংগ্যামেট, (6) রেণু মাতৃকোশ, (7) ডিম্বাণু মাতৃকোশ।

উল্লিখিত কোশগুলিতে ক্রোমোজোম সেট সংখ্যা হল –

  1. প্রতিপাদ কোশ – এক (n)।
  2. নির্ণীত নিউক্লিয়াস – দুই (2n)।
  3. নালিকা নিউক্লিয়াস – এক (n)।
  4. সস্য নিউক্লিয়াস – তিন (3n)।
  5. পুংগ্যামেট – এক (n)।
  6. রেণু মাতৃকোশ – দুই (2n)।
  7. ডিম্বাণু মাতৃকোশ – দুই (2n)।

কোনো উদ্ভিদের সস্যে 36টি ক্রোমোজোম থাকলে তার পুংগ্যামেট ও ডিম্বাণুতে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত হবে?

গুপ্তবীজী উদ্ভিদের সস্যে 3 সেট ক্রোমোজোম থাকে, অর্থাৎ 3n = 36। সেই অনুসারে, জননকোশে 1 সেট ক্রোমোজোম থাকে, অর্থাৎ পুংগ্যামেট ও ডিম্বাণুতে ক্রোমোজোম সংখ্যা হবে n = 12।

ডিম্বকের ভ্রুনস্থলীর মোট নিউক্লিয়াসের সংখ্যা কত? এর মধ্যে কোনটি নিষেকের পর সস্য গঠন করে?

ডিম্বকের ভ্রুনস্থলীর মোট নিউক্লিয়াসের সংখ্যা হল 7টি।

নির্ণীত নিউক্লিয়াস (2n) টি অপর পুংগ্যামেটের সঙ্গে মিলিত হয়ে সস্য গঠন (3n) করে।

একটি গাছের পাতার কোশের ক্রোমোজোম সংখ্যা 12 হলে – (1) পরাগরেণু, (2) ডিম্বাণু, (3) পুংদণ্ডকোশ ও (4) সস্য -এর ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?

পাতার কোশ, অর্থাৎ দেহকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n = 12 হলে –

  1. পরাগরেণুতে রেণুমাতৃকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n = 12 হবে, এখানে মিয়োসিস দ্বারা উৎপন্ন পুংগ্যামেট বা শুক্রাণুর ক্রোমোজোম সংখ্যা একক সেট, অর্থাৎ n = 6 হবে।
  2. ডিম্বাণুতে ক্রোমোজোম সংখ্যা একক সেট, অর্থাৎ n = 6 হবে।
  3. পুংদণ্ডকোশে (দেহকোশে) ক্রোমোজোম সংখ্যা 2 সেট (2n) হবে, অর্থাৎ 2n = 12 হবে।
  4. সস্যে 3 সেট ক্রোমোজোম, অর্থাৎ 3n = 18 থাকে।

একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n = 18 হলে নালিকা নিউক্লিয়াস ও গর্ভদণ্ডের কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?

সপুষ্পক উদ্ভিদের দেহজ নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n = 18 হলে, নালিকা নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম সংখ্যা হবে n = 9 এবং গর্ভদণ্ডের কোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা 2n = 18 হবে।

নীচের কোশগুলিতে ক্রোমোজোম সেট কয়টি তা লেখো – (1) সহকারী কোশদ্বয়, (2) ডিম্বাণু, (3) নির্ণীত নিউক্লিয়াস এবং (4) প্রতিপাদ কোশত্রয়।

  1. সহকারী কোশদ্বয়ের ক্রোমোজোম সংখ্যা – হ্যাপ্লয়েড (n)।
  2. ডিম্বাণুর ক্রোমোজোম সংখ্যা – হ্যাপ্লয়েড (n)।
  3. নির্ণীত নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোম সংখ্যা – ডিপ্লয়েড (2n)।
  4. প্রতিপাদ কোশত্রয়ের ক্রোমোজোম সংখ্যা – হ্যাপ্লয়েড (n)।

বৃতি ও দলমণ্ডলের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

বৃতি ও দলমণ্ডলের পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়বৃতিদলমণ্ডল
অবস্থানফুলের সবচেয়ে বাইরের স্তবক।বৃতি পরবর্তী ফুলস্তবক।
গঠনগত এককঅনেকগুলি বৃত্যংশ নিয়ে বৃতি গঠিত হয়।অনেকগুলি দলাংশ বা পাপড়ি মিলে দলমণ্ডল গঠিত হয়।
বর্ণসাধারণত সবুজ।নানা বর্ণের হয়।
কাজসালোকসংশ্লেষ করা ও কুঁড়ি অবস্থায় অন্যান্য স্তবককে রক্ষা করা।বাহককে আকৃষ্ট করে পরাগযোগে সাহায্য করা ও জনন স্তবককে রক্ষা করা।

সম্পূর্ণ ফুল ও অসম্পূর্ণ ফুলের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

সম্পূর্ণ ফুল ও অসম্পূর্ণ ফুলের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়সম্পূর্ণ ফুলঅসম্পূর্ণ ফুল
স্তবক সংখ্যাফুলের চারটি স্তবক বর্তমান।ফুলে এক বা একাধিক স্তবক থাকে না।
ফুলের প্রকৃতিউভলিঙ্গ হয়।একলিঙ্গ, ক্লীবলিঙ্গ অথবা উভলিঙ্গ হয়।
উদাহরণজবা, মটর, ধুতুরা।লাউ, কুমড়ো, রজনিগন্ধা।

অটোগ্যামি ও গেইটোনোগ্যামির পার্থক্য কী?

অটোগ্যামি ও গেইটোনোগ্যামির পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়অটোগ্যামিগেইটোনোগ্যামি
পরাগযোগের প্রকৃতিএকই উদ্ভিদের একই ফুলের মধ্যে স্বপরাগযোগ।একই উদ্ভিদের ভিন্ন ফুলের মধ্যে স্বপরাগযোগ।
বাহকের প্রয়োজনীয়তাবাহক অপ্রয়োজনীয়।বায়ু বা পতঙ্গ দ্বারা পরাগযোগ ঘটে থাকে।
জিনগত বৈচিত্র্যজিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টির স্বল্প সম্ভাবনা থাকে।

বায়ুপরাগী ফুল ও পতঙ্গপরাগী ফুলের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

বায়ুপরাগী ও পতঙ্গপরাগী ফুলের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়বায়ুপরাগী ফুলপতঙ্গপরাগী ফুল
ফুলের আকারক্ষুদ্র।বড়ো।
ফুলের প্রকৃতিবর্ণহীন, গন্ধহীন, মধুগ্রন্থিহীন ও অনুজ্জ্বল।বর্ণযুক্ত, গন্ধযুক্ত, মধুগ্রন্থিযুক্ত ও উজ্জ্বল।
পরাগরেণুবহুসংখ্যক ও হালকা।তুলনামূলক কমসংখ্যক ও ভারী।
গর্ভমুণ্ডশাখান্বিত ও রোমযুক্ত।আঠালো ও অমসৃণ।

জলপরাগী ফুল ও পাখিপরাগী ফুলের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

জলপরাগী ও পাখিপরাগী ফুলের মধ্যে পার্থক্যগুলি হল –

বিষয়জলপরাগী ফুলপাখিপরাগী ফুল
ফুলের আকারক্ষুদ্র।বড়ো।
ফুলের প্রকৃতিবর্ণহীন, অনুজ্জ্বল, মধুগ্রন্থিবিহীন।বর্ণযুক্ত, উজ্জ্বল ও মধুগ্রন্থিযুক্ত।
স্তবক বৈশিষ্ট্যপুংস্তবক ও স্ত্রীস্তবক বড়ো হয়, ফুলের বাইরে বেরিয়ে থাকে। ফলে পরাগযোগ সহজ হয়।দলমণ্ডল বড়ো হয় ও চোঙের মতো আকৃতি সৃষ্টি করে যাতে পাখির মধুপানে সুবিধা হয়।

আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় “জীবনের প্রবহমানতা” অধ্যায়ের ‘সপুষ্পক উদ্ভিদের যৌন জনন‘ বিভাগের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করেছি। এই প্রশ্নগুলো মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বা আপনি যদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রশ্নগুলি মাধ্যমিক পরীক্ষা বা চাকরির পরীক্ষায় প্রায়ই দেখা যায়। আশা করি যে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য উপকারী হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা অসুবিধা হলে আপনারা আমাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করতে পারেন, আমরা উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাছাড়া, আমাদের এই পোস্টটি আপনার প্রিয়জন যার এটি প্রয়োজন হবে তার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।

Please Share This Article

Related Posts

রাশিবিজ্ঞান-গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান-কষে দেখি 26.4-মাধ্যমিক গণিত

মাধ্যমিক গণিত – রাশিবিজ্ঞান: গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান – কষে দেখি 26.4

রাশিবিজ্ঞান-গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান-কষে দেখি 26.3-মাধ্যমিক গণিত

মাধ্যমিক গণিত – রাশিবিজ্ঞান: গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান – কষে দেখি 26.3

রাশিবিজ্ঞান-গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান - কষে দেখি 26.2-মাধ্যমিক গণিত

মাধ্যমিক গণিত – রাশিবিজ্ঞান: গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান – কষে দেখি 26.2

About The Author

Rahul

Tags

মন্তব্য করুন

SolutionWbbse

"SolutionWbbse" শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনলাইন অধ্যয়ন প্ল্যাটফর্ম। এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গাইডলাইন, এবং বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সাহায্য প্রদান করা হয়। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল বিষয়ের শিক্ষণীয় উপকরণ সহজেই সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া।

Editor Picks

Madhyamik History Suggestion 2026 Wbbse – স্তম্ভ মেলাও

Madhyamik History Suggestion 2026 Wbbse – ঠিক বা ভুল নির্ণয়

Madhyamik History Suggestion 2026 Wbbse – একটি বাক্যে উত্তর দাও

Madhyamik History MCQ Suggestion 2026 Wbbse

মাধ্যমিক গণিত – রাশিবিজ্ঞান: গড়, মধ্যমা, ওজাইভ, সংখ্যাগুরুমান – কষে দেখি 26.4