নবম শ্রেণি – বাংলা – চিঠি – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর

কল্যাণীয়া মিস নোব্‌ল্‌ বলে যাঁকে সম্বোধন করা হয়েছে, তাঁর সম্পূর্ণ নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্‌ল্‌।

ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে আলমোড়া অবস্থিত। আলমোড়ার ওপর দিয়ে কোশী নদী প্রবাহিত হয়েছে। এখানকার নৈসর্গিক শোভা অতুলনীয়।

মি. ই টি স্টার্ডি ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের একজন ইংরেজ ভক্ত, যিনি স্বামীজিকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে সহায়তা করেন।

স্বামী বিবেকানন্দ স্টার্ডির চিঠি থেকে জানতে পেরেছিলেন যে, মিস নোব্‌ল্‌ ভারতে আসতে এবং সব কিছু চাক্ষুষ দেখতে দৃঢ় সংকল্প।

স্বামীজি মিস নোব্‌ল্‌কে ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব প্রভৃতির ব্যাপকতা সম্পর্কে ধারণা করতে না পারার কথা বলেছেন।

স্বামীজির দৃঢ়বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবলের এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

ভারতের নারীসমাজের উন্নতির জন্য একজন প্রকৃত সিংহীর মতো তেজস্বিনী নারীর প্রয়োজন।

মিস মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্‌লকে বিবেকানন্দ প্রকৃত সিংহী’ বলেছেন।

মিস নোব্‌লের শিক্ষা, ঐকান্তিকতা, পবিত্রতা, অসীম ভালোবাসা, দৃঢ়তা ইত্যাদি গুণ লক্ষ করে স্বামীজি এ কথা বলেছেন।

ভারতবর্ষের, বিশেষত ভারতের নারীসমাজের সার্বিক উন্নয়নের কাজে প্রচুর বিঘ্ন আছে।

ভারতবর্ষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি দেশের উন্নতির কাজে বিঘ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মিস নোব্‌ল এদেশে এলে নিজেকে অসংখ্য অর্ধ-উলঙ্গ নরনারীতে পরিবেষ্টিত অবস্থায় দেখতে পাবেন।

ভয়ে বা ঘৃণায় ভারতীয়রা শ্বেতাঙ্গদের এড়িয়ে চলে।

শ্বেতাঙ্গরা ভারতীয়দের প্রতি অত্যন্ত ঘৃণার মনোভাব পোষণ করে।

শ্বেতাঙ্গরা মিস নোব্‌ল-কে খামখেয়ালি মনে করবে।

ভারতবর্ষের জলবায়ু অত্যন্ত গ্রীষ্মপ্রধান। এদেশের শীত ইউরোপের গ্রীষ্মের মতো আর দক্ষিণাঞ্চলে সর্বদাই আগুনের হলকা প্রবাহিত হয়।

ভারতবর্ষের মানুষের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব, অস্পৃশ্যতা, এখানকার গ্রীষ্মপ্রধান জলবায়ু এবং ইউরোপীয় সুখস্বাচ্ছন্দ্যের অভাবের কথা বলা হয়েছে।

বক্তার যেটুকু প্রভাব আছে, তা দিয়ে তিনি ভারতীয়দের উন্নতির কাজে মিস নোব্‌ল্‌কে সাহায্য করবেন বলেছেন।

মানবসেবার কর্মে ঝাঁপ দেওয়ার পর সে কাজে বিফল হওয়ার এবং কর্মে বিরক্তি আসার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

প্রবাদটির অর্থ হল, প্রকৃত মানুষ কথা দিলে সবরকমভাবে সেই কথা রাখার চেষ্টা করে, তার নড়চড় হয় না।

হাতির দাঁত যেমন একবার বেরোলে আর ভিতরে যায় না তেমনি যথার্থ পুরুষের প্রতিশ্রুতির কখনও নড়চড় হয় না।

মরদ অর্থাৎ প্রকৃত পুরুষের দেওয়া কথা আর হাতির দাঁত একবার বেরুলে আর ভিতরে যায় না।

কোনো কারণে ভারতীয়দের জন্য কাজ না করলে, এমনকি বেদান্ত ধর্ম ত্যাগ করলেও বক্তা উদ্দিষ্ট ব্যক্তির পাশেই থাকবেন।

ভারতে জনসেবামূলক কাজ করার ক্ষেত্রে মিস মুলার কিংবা অন্যের আশ্রয়ে না থেকে মিস নোব্‌ল্‌কে আত্মনির্ভর হতে হবে।

মিস মুলারের বদ্ধমূল ধারণা যে তিনি আজন্ম নেত্রী এবং টাকা দিয়ে গোটা পৃথিবীকেই ওলট-পালট করা যায়।

মিস মুলার সম্পর্কে স্বামী বিবেকানন্দ এ কথা বলেছেন যে, তিনি নিজেকে আজন্ম নেত্রী বলে মনে করেন।

মিস মুলারের নেত্রীসুলভ মনোভাব এবং দুনিয়াকে বদলাতে কেবল টাকারই দরকার, এই ধারণার কারণে তাঁর সঙ্গে বনিয়ে চলা অসম্ভব।

মিস মুলার ছিলেন সহৃদয় ও অমায়িক মহিলা।

মিস মুলার ছিলেন রুক্ষ মেজাজের এবং অস্থিরচিত্ত।

এখানে মিসেস মুলারের কলকাতা তাঁর নিজের ও নোবল এবং ইউরোপ থেকে আসা বন্ধুদের জন্য বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

মিস মুলার নিজের এবং মিস নোব্‌ল্‌-সহ যেসব বন্ধু ইউরোপ- আমেরিকা থেকে আসবেন, তাঁদের থাকার জন্য বাড়ি ভাড়া নেবেন।

মিস নোব্‌ল্‌ তাঁর নিজের জন্য, আর ইউরোপ-আমেরিকা থেকে আগত বন্ধুদের জন্য যে কলকতায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথা বলেছেন তার কথাই বলা হয়েছে।

মিস মুলারের সংকল্প সফল না হওয়ার কারণ হিসেবে স্বামীজি তাঁর রুক্ষ মেজাজ এবং অস্থিরচিত্ততাকে উল্লেখ করেছেন।

স্বামী বিবেকানন্দ মিসেস সেভিয়ারকে নারীকুলের রত্নবিশেষ বলে উল্লেখ করেছেন।

মিসেস সেভিয়ার অত্যন্ত ভালো ও স্নেহময়ী মহিলা। স্বামীজি তাঁকে নারীকুলের রত্নবিশেষ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

যে ব্যক্তি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন অর্থাৎ স্বনির্ভর হতে পারেন, তাঁর সবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।

সেভিয়ার দম্পতি ভারতবর্ষের মানুষকে ঘৃণা করেন না এবং ভারতীয়দের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে তাঁরা এদেশে আসেননি।

মিস নোব্‌লের সঙ্গে সেভিয়ার দম্পতি এদেশের উন্নয়নের কাজে যোগ দিলে এদেশের মানুষের বিশেষত নারীসমাজের দ্রুত উন্নতি হবে।

বক্তা স্বামীজি জেনেছেন যে তাঁর দুই বন্ধু মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল এই শরৎকালেই ভারতভ্রমণে আসছেন।

পারি – ফ্যাশনের পোশাক বলতে ফ্রান্সের প্যারিস শহরের ফ্যাশন অনুযায়ী তৈরি পোশাককে বোঝানো হয়েছে।

মিসেস বুল আমেরিকার বস্টন শহরে থাকতেন।

মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুল শরৎকালে আমেরিকা থেকে ইউরোপ হয়ে এদেশে আসছেন।

স্বামীজি পরামর্শ দিয়েছেন, মিস নোব্‌ল্‌ যেন মিস ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে এদেশে আসেন।

মিস্ ম্যাকলাউড ও মিসেস বুলের সঙ্গে এদেশে এলে মিস নোব্‌লের দীর্ঘপথের যাত্রার একঘেয়েমি দূর হতে পারে বলে স্বামীজি এই পরামর্শ দিয়েছেন।

মি. স্টার্ডির লেখা চিঠিটি ছিল বড়ো শুষ্ক, প্রাণহীন এবং হতাশাপূর্ণ।

লন্ডনের কাজ পন্ড হওয়ায় মি. স্টার্ডি হতাশ হয়েছেন বলে তাঁর চিঠিতে সেই হতাশা ফুটে উঠেছে।

মি. স্টার্ডি বিবেকানন্দকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারে সাহায্য করেছিলেন।

যাঁকে ভালোবাসা জানানো হয়েছে তিনি এই পত্রের লেখক স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ ও ভাবধারার একনিষ্ঠ অনুরাগিণী।

ভগিনী নিবেদিতার প্রকৃত নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোব্‌ল্‌।

ভগিনী নিবেদিতা ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের ২৮ অক্টোবর উত্তর আয়ার্ল্যান্ডের টাইরন প্রদেশের অন্তর্গত ডাংগানন শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

মিস নোব্‌ল্‌ ইংল্যান্ডে স্বামী বিবেকানন্দের সান্নিধ্যে আসেন ৷

ভারতের সার্বিক উন্নয়ন বিশেষত নারীসমাজের উন্নতির জন্য মিস নোব্‌ল্‌ এদেশে আসতে চেয়েছিলেন।

মিস নোব্‌লের লেখা একটি বই The Master as I saw him.

ভারতীয় আদর্শে স্ত্রীশিক্ষা প্রচলনের উদ্দেশ্যে মিস নোব্‌ল্‌ (ভগিনী নিবেদিতা) নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়’ স্থাপন করেছিলেন।

কিছু চিঠিতে স্বামীজি মিসেস বুলকে মা বা ধীরামাতা বলে সম্বোধন করেছেন।

মিস ম্যাকলাউডের পুরো নাম মিস জোসেফাইন ম্যাকলাউড।

মিসেস সেভিয়ারের শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল স্বামীজির ইচ্ছায় বেদান্ত প্রচারের উদ্দেশ্যে মায়াবতী অদ্বৈত আশ্রম’ প্রতিষ্ঠা করা।

মিস মুলারের সম্পূর্ণ নাম মিস হেনরিয়েটা মুলার।