নবম শ্রেণি – বাংলা – রাধারাণী – বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

নবম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যপুস্তকের রাধারাণী গল্পটি বিখ্যাত বাঙালি লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত। এই গল্পটিতে একজন সাধারণ গ্রামীণ মেয়ের জীবনের গল্প বলা হয়েছে। রাধারাণী নামের এই মেয়েটি ছিল অত্যন্ত সৎ, সরল ও নিষ্ঠাবান। সে তার পরিবারের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল ছিল। গল্পের শেষে রাধারাণী তার সততা ও নিষ্ঠার জন্য সমাজের কাছে সম্মানিত হয়।

Table of Contents

রাধারাণী – বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর

রাধারাণী নামে এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল। — রাধারাণীর মাহেশে রথ দেখতে যাওয়ার কারণ কী ছিল? সেখানে তার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল?

রথ দেখতে যাওয়ার কারণ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী গল্পাংশের প্রধান চরিত্র রাধারাণী ছিল এগারো বছরেরও কমবয়সি একটি মেয়ে। জ্ঞাতির সঙ্গে মোকদ্দমায় বিপুল সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পরে রাধারাণীর বিধবা মা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রম করে পেটের ভাত জোগাড় করতেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাধারাণীদের দিন চলা দায় হয়। রাধারাণীকে উপোস করতে হয়। কিন্তু রথের দিন তার মায়ের অসুখ বেড়ে গেলে পথ্যের প্রয়োজন হয়। এই পথ্য জোগাড়ের জন্য রাধারাণী বন থেকে ফুল তুলে এনে একটি মালা গাঁথে। মালাটি বিক্রি করে মায়ের পথ্য জোগাড় করার জন্যই রাধারাণী মাহেশে রথের মেলায় যায়।
রাধারাণীর অভিজ্ঞতা – প্রবল বৃষ্টির কারণে মেলা অসময়ে ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর মালা বিক্রি হয় না। রাধারাণী যখন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরছে তখনই অন্ধকার পথে তার ঘাড়ের উপরে একটি লোক এসে পড়ে। রাধারাণী ভয়ে উচ্চঃস্বরে কেঁদে ওঠে। অচেনা পথিক রাধারাণীর পরিচয় জানতে চায়। লোকটির গলার আওয়াজেই তার দয়ালু স্বভাব উপলব্ধি করে রাধারাণী। এরপরে রাধারাণীর হাত ধরে সেই অন্ধকার পিছল পথে লোকটি তাকে বাড়ি পৌঁছোতে সাহায্য করে এবং তার রথের মেলায় যাওয়ার কারণ শুনে মালাটি কিনে নেয়।

মোকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল। — এই বিধবার পরিচয় দিয়ে তার পরিণতি কী হল সংক্ষেপে লেখো।

বিধবার পরিচয় – রাধারাণী গল্পে রাধারাণীর মা ছিলেন এক অবস্থাপন্ন পরিবারের বউ। মোকদ্দমায় পরাজয় এবং তার তাৎক্ষণিক ফল – কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পরে একজন জ্ঞাতির সঙ্গে তার মোকদ্দমা হয়। হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীর মা-কে সর্বস্ব হারাতে হয়। ডিক্রিদার সেই জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাঁকে ভিটে থেকেও উচ্ছেদ করে দেন। প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায় ৷ নগদ যা ছিল তা-ও ব্যয় হয়ে যায় মামলার খরচ জোগাতে। অলংকার ইত্যাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করে। পরিণতি – এইসব মামলা-মোকদ্দমার কারণে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তার খাবার জোগারের ব্যবস্থা থাকে না। বিধবা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে কোনো রকমে শারীরিক পরিশ্রম করে দিন কাটাতে থাকে। দারিদ্র্যের কারণে রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রথের আগে রাধারাণীর মা ঘোরতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে শারীরিক পরিশ্রম করার ক্ষমতাও হারায়। খাবার জোগারের ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আর রাধারাণীকে ভাবতে হয় মা-র পথ্যের জোগাড় হবে কোথা থেকে।

রাধারাণীর বিবাহ দিতে পারিল না। — রাধারাণীর পরিচয় দাও। কে কেন তার বিবাহ দিতে পারেনি?

রাধারাণীর পরিচয় – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী রচনাংশে রাধারাণী ছিল একটি মেয়ে, যার বয়স এগারো বছরও পূর্ণ হয়নি। বড়োলোকের মেয়ে হলেও তাদের অবস্থা ভালো ছিল না। সর্বোপরি রাধারাণীর বাবাও বেঁচে ছিল না।
বিবাহ না দিতে পারার কারণ – রাধারাণীর মা রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারেননি। এককালে অবস্থাপন্ন হলেও রাধারাণীর পরিবার ক্রমশ নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল। একজন জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তির অধিকার নিয়ে রাধারাণীর মা-র মোকদ্দমা হয়, এবং হাইকোর্টে তিনি হেরে যান। তার ফলে তাদের বাস্তুভিটে থেকে উচ্ছেদ করা হয় এবং দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। নগদ যেটুকু ছিল সেটুকুও খরচা ও ওয়াশিলাত অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতে চলে যায়। রাধারাণীর মা অলংকার ইত্যাদি বিক্রি করে প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করেন। কিন্তু সর্বস্ব হারিয়ে তাঁদের খাবার জোগাড়ের অবস্থাও থাকে না। রাধারাণীর বিধবা মা একটি কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রমের দ্বারা দিন কাটাতে থাকেন। কিন্তু এই তীব্র দারিদ্র্যের কারণে রাধারাণীর মা রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারেন না।

অগত্যা রাধারাণী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরিল। — রাধারাণীকোথা থেকে ফিরল? সে কাঁদছিল কেন?

উদ্দিষ্ট স্থান – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী রচনাংশে রাধারাণী নামের মেয়েটি মাহেশের রথের মেলা থেকে ফিরছিল।
রাধারাণীর কাঁদার কারণ – পথ্যসংগ্রহের প্রচেষ্টা – রাধারাণী তার অসুস্থ মা-র জন্য পথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে বনফুলের একটি মালা গেঁথে সেটি বিক্রি করার জন্য রথের মেলায় গিয়েছিল। কিন্তু রথের দড়ি অর্ধেক টানার পরেই বৃষ্টি আরম্ভ হয়। ব্যর্থতা ও পুনঃপ্রচেষ্টা – বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ার ফলে তার মালা কেউ কেনে না। রাধারাণী মনে মনে ভেবেছিল যে বৃষ্টি কিছুটা থামলে হয়তো আবার মেলা জমবে। তাই সে বৃষ্টিতে ভিজেই অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি থামে না। ফলে মেলায় লোকের ভিড়ও হয় না। হতাশাজনক পরিণতি – সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হয়। চারপাশে অন্ধকার নেমে আসে। কাদাময় পিছল পথে কোনো কিছুই দেখা যায় না। মায়ের অসুস্থতা, খাদ্যের অভাব ইত্যাদির কথা ভেবে রাধারাণী দুশ্চিন্তা ও হতাশায় কাতর হয়ে পড়ে। প্রবল অসহায়তা থেকেই সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির পথে ফিরতে থাকে।

কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রোদন বন্ধ হইল। — রাধারাণী কেন কেঁদেছিল এবং তা বন্ধই বা হয়েছিল কেন? গল্পের কাহিনি অবলম্বনে আলোচনা করো।

আলোচ্য অংশটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী রচনাংশ থেকে নেওয়া।
রাধারানীর কাঁদার কারণ; রাধারাণী রথের মেলায় গিয়েছিল ফুলের মালা বিক্রি করে মায়ের জন্য পথ্য জোগাড় করতে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ায় তার আর মালা বিক্রি করা হয় না। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অপেক্ষা করলেও বৃষ্টি থামে না, রথের মেলাও আর জমে না। এইভাবে সন্ধ্যা নামে, রাত্রি হয় — রাধারাণীর হতাশাও বেড়ে যায়। সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির পথ ধরে।
কান্না বন্ধ হওয়ার কারণ – অন্ধকার কাদামাখা পথ ধরে রাধারাণী যখন তীব্র হতাশায় কাঁদতে কাঁদতে পিছল পথে বাড়ির দিকে ফিরছিল, তখন সে প্রায়শই আছাড় খেয়ে পড়ছিল। তবুও বুকে ধরে রেখেছিল তার সেই বিক্রি না হওয়া ফুলের মালা। সেই সময় হঠাৎই তার ঘাড়ের উপরে কেউ একজন এসে পড়ে। ব্যক্তিটি রাধারাণীর পরিচয় জানতে চায়। যদিও সেই পুরুষমানুষটি তার অচেনা, তা সত্ত্বেও তার গলার আওয়াজের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিটির দয়ালু স্বভাবকে রাধারাণী যেন উপলব্ধি করতে পারে। এই কারণে তার কান্না বন্ধ হয়ে যায়।

তুমি ঘরে আসিয়া দাঁড়াও, আমরা আলো জ্বালিয়া দেখি, টাকা কী পয়সা। – বক্তা কখন এই মন্তব্য করেছে? আলো জ্বালার পরের ঘটনা উল্লেখ করো।

প্রসঙ্গ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী গল্পাংশে রাধারাণীর কাছে তার ফুলের মালার যাবতীয় কথা শুনে পথিক ভদ্রলোকটি সদয় হয় এবং বাড়ির বিগ্রহকে পরানোর জন্য মালাটি কিনে নিতে চায়। রাধারাণী দ্বিধা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত মালাটি বিক্রি করে। পথিক ভদ্রলোকটি মালার দাম হিসেবে চার পয়সা দেয়। সেই পয়সা হাতে নিয়ে রাধারাণীর বেশ বড়ো লাগে; টাকা বলে মনে হয়। কিন্তু পথিক ডবল পয়সা বলে রাধারাণীকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু রাধারাণী এতে সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারে না। তাই সে নিজের কুটিরের দরজায় উপস্থিত হয়ে পথিককে অপেক্ষা করতে বলে। উদ্দেশ্য ছিল, প্রদীপের আলো জ্বেলে মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করা।
পরবর্তী ঘটনা – ঘরে তেল না থাকায় রাধারাণী চালের খড় টেনে তাতে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালায় এবং দেখে যে তার অনুমানই ঠিক। মালার মূল্য হিসেবে তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে, পয়সা নয়। রাধারাণী বাইরে এসে পথিকের খোঁজ করে। কিন্তু দেখে যে, সেই ব্যক্তি চলে গিয়েছে। মায়ের কাছে রাধারাণী তার কী করা উচিত জানতে চাইলে রাধারাণীর মা বলেন যে, দাতা ব্যক্তি তাদের দুঃখ শুনে দান করেছে, তাই তারা সেটা গ্রহণ করবে।

আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি। — বক্তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট গল্পাংশ অবলম্বনে আলোচনা করো।

রাধারাণীদের নিঃস্ব হয়ে যাওয়া – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী গল্পাংশে রাধারাণীর মা এই উক্তিটি করেছেন। রাধারাণীর পরিবার একসময় খুবই সম্পন্ন ছিল। কিন্তু রাধারাণীর বাবার মৃত্যুর পরে এক জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি সম্পর্কিত বিবাদে জড়িয়ে গিয়ে, হাইকোর্টে হেরে মামলার খরচ ও ওয়াশিলাত দিতে, প্রিভি কাউন্সিলে আবেদন করতে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে যান। রাধারাণীর মা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দিন কাটাতে থাকেন। বনফুলের মালা বিক্রি করতে যাওয়া – মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। উপোস করে দিন কাটানো শুরু হয়। অসুস্থ মায়ের পথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গেলেও বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ায় তার মালা বিক্রি হয় না। পথিকের মালা কেনা ও পরবর্তী ঘটনা – মেলা থেকে ফেরার পথে এক পথিক সব শুনে চার পয়সায় মালাটি কিনে নেয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে পথিককে বাইরে দাঁড়াতে বলে সে আগুন জ্বালিয়ে যখন দেখে তাকে পয়সার বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে, তখন বাইরে বেরিয়ে সে পথিককে খুঁজে পায় না। বিভ্রান্ত হয়ে রাধারাণী তার মায়ের কাছে পরামর্শ চাইলে মা বলেন যে, দাতা অর্থ দিয়েছেন এবং দরিদ্র বলেই তাদের তা গ্রহণ করে খরচ করা ছাড়া অন্য উপায় নেই।

নোটখানি তাহারা ভাঙাইল না — তুলিয়া রাখিল — তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লোভী নহে। — মন্তব্যটির তাৎপর্য গল্পাংশ অবলম্বনে আলোচনা করো।

পথ্যসংগ্রহের চেষ্টা – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী গল্পাংশে রাধারাণীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এগারো বছরেরও কমবয়সি পিতৃহীন রাধারাণীকে মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য ফুলের মালা গেঁথে তা রথের হাটে বিক্রির জন্য যেতে হয়। সাহায্যকারী পথিক – প্রবল বৃষ্টির কারণে মালা বিক্রি না হলে এক পথিক তার সাহায্যকারীর ভূমিকায় উপস্থিত হন। তিনি যে শুধু মালাটি কিনে নেন তা-ই নয়, চার পয়সা দাম ঠিক হলেও তার বদলে দুটি টাকা দেন। সাহায্যগ্রহণে রাধারাণীর সম্মতি – এই ঘটনাটি রাধারাণী মেনে নিতে না পারলেও মায়ের কথায় তা গ্রহণ করে। এরপরে কাপড় ব্যবসায়ী পদ্মলোচনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পাঠানো দুটি কাপড়ও রাধারাণী বিস্ময়ের সঙ্গে গ্রহণ করে। নোট প্রাপ্তি ও তা ফেরতের চেষ্টা – ঘর ঝাঁট দিতে গিয়ে পাওয়া নোটটি সে বা তার মা গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ তা ছিল তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত। তাই নোটটি পাওয়ার পরদিন সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য তারা সেই পথিক রুক্মিণীকুমার রায়ের অনেক খোঁজ করেছিল। তাঁকে খুঁজে না পেয়ে নোটটি না ভাঙিয়ে তারা তুলে রাখে। ঘটনার তাৎপর্য – এই ঘটনা প্রমাণ করে দারিদ্র্য রাধারাণীর পরিবারের সততা ও নির্লোভ মানসিকতা কেড়ে নিতে পারেনি, বরং লোভকে জয় করার মধ্য দিয়ে তারা মহান হয়ে উঠেছে।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস হলো রাধারাণী। এই উপন্যাসে লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একদিকে মানব মনের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছেন, অন্যদিকে একদিকে তিনি নারীর প্রতি সমাজের ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।

Share via:

মন্তব্য করুন