পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা করো

দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য “পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা করো” প্রশ্নটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্নটি “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের ভূপ্রকৃতি” বিভাগের অন্তর্গত।

এই ব্লগ পোস্টে, আমরা পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যগুলি সংক্ষিপ্তে আলোচনা করব যা আপনাকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।

পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে আলোচনা করো

পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য –

পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান – 

নেপালের পূর্ব সীমায় সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি থেকে অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত, তাকে পূর্ব হিমালয় অঞ্চল বলা হয়। স্থানীয় বৈশিষ্ট্য অনুসারে পূর্ব হিমালয় অঞ্চলকে তিনটি ক্ষুদ্রতর অঞ্চলে ভাগ করা যায়, এগুলি —

  • সিকিম- দার্জিলিং হিমালয়,
  • ভুটান হিমালয় এবং
  • অরুণাচল হিমালয় ৷
পূর্ব হিমালয়ের ভূপ্রকৃতি

সিকিম-দার্জিলিং হিমালয় –

  • সিকিমের পশ্চিমদিকে দার্জিলিং-নেপাল সীমান্তে সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণি থেকে পূর্বদিকে ডানকিয়া পর্বতশ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত হিমালয়ের অংশকে সিকিম-দার্জিলিং হিমালয় বলা হয়।
  • সিঙ্গালিলা পর্বতশ্রেণির পশ্চিম সীমায় ভারতের দ্বিতীয় তথা পৃথিবীর তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা অবস্থিত।
  • ডানকিয়া পর্বতশ্রেণিতে আছে বিখ্যাত নাথুলা ও জেলেপ লা গিরিপথ যার সাহায্যে তিব্বতের চুম্বি উপত্যকার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। ‘মিরিক’ দার্জিলিং হিমালয়ে ও ‘ছাঙ্গু’ সিকিম হিমালয়ে অবস্থিত দুটি বিখ্যাত পার্বত্য হ্রদ।
  • দার্জিলিং-এর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শৃঙ্গ [পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফু (3636 মি), ফালুট (3596 মি) ও সবরগ্রাম (3,543 মি)] সিঙ্গালিলায় অবস্থিত।

ভুটান হিমালয় –

  • হিমালয়ের যে অংশ ভুটানের অন্তর্গত তাকে বলা হয় ভুটান হিমালয় (স্থানীয় নাম মাসাং কিডু)।
  • এই অংশেও অনেকগুলি সুউচ্চ শৃঙ্গ আছে, যেমন — কুলা কাংড়ি (7554 মি), চোমোলহরি (7314 মি) প্রভৃতি।

অরুণাচল হিমালয় –

  • হিমালয়ের যে অংশটি অরুণাচল প্রদেশে অবস্থিত তাকে অরুণাচল হিমালয় বলা হয়।
  • অরুণাচল প্রদেশে হিমালয়ের তিনটি সমান্তরাল পর্বতশ্রেণি — শিবালিক, হিমাচল এবং হিমাদ্রিকে লক্ষ করা যায়।
  • অরুণাচল প্রদেশের উত্তর-পূর্বে (তিব্বতে) সুউচ্চ নামচাবারওয়া (7756 মি) পর্বতশৃঙ্গ অবস্থিত।
  • এই শৃঙ্গের পূর্বদিকে আছে ‘সাংপো গিরিখাত’ (Tsangpo gorge)।
  • অরুণাচল হিমালয় থেকে তুলংলা, ডোমলা, ঠগলা, কায়লা প্রভৃতি গিরিপথের সাহায্যে তিব্বতে যাওয়া যায় এবং বুমলা, বোমডিলা প্রভৃতির মাধ্যমে ভুটান হিমালয়ে যাওয়া যায়।

পশ্চিম হিমালয়ের তাল কি?

পশ্চিম হিমালয়ের তাল হল বরফের জলে পূর্ণ প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। এই তালগুলি সাধারণত হিমবাহের গলিত জল বা বৃষ্টির জল দ্বারা তৈরি হয় এবং পর্বতমালার উচ্চতায় অবস্থিত।

পূর্ব হিমালয় তার বৈচিত্র্যময় ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য বিখ্যাত। উচ্চ পর্বতমালা, গভীর উপত্যকা, পাহাড়ি মালভূমি, ঘন বন, বরফাচ্ছাদিত চূড়া এবং মনোরম জলপ্রপাত এই অঞ্চলকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তোলে।

Share via:

মন্তব্য করুন