দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী হলেও নর্মদা ও তাপি বা তাপ্তী নদী পশ্চিমবাহিনী কেন?

আজকের আর্টিকেলে, আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করবো – দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহী হলেও নর্মদা ও তাপি নদী কেন পশ্চিমবাহী? এই প্রশ্নটি দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ভূগোল পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে “ভারতের প্রাকৃতিক পরিবেশ” অধ্যায়ের “ভারতের জলসম্পদ” বিভাগে।

দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী হলেও নর্মদা ও তাপি বা তাপ্তী নদী পশ্চিমবাহিনী কেন?

দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী হলেও নর্মদা ও তাপি বা তাপ্তী নদী পশ্চিমবাহিনী কেন?

ভূমির চাল অনুসারে নদী প্রবাহিত হয়। যেহেতু দাক্ষিণাত্য মালভূমি পশ্চিম থেকে পূর্বে চালু তাই সেখান থেকে উৎপন্ন মহানদী, গোদাবরী, কৃয়া, কাবেরী প্রভৃতি দক্ষিণ ভারতের নদীগুলি পূর্ববাহিনী। কিন্তু পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত সাতপুরা পর্বতের দুই পাশে (উত্তরে ও দক্ষিণে) চ্যুতির ফলে দুটি গ্রস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয়েছে। ওই গ্রন্ত উপত্যকার ঢাল পশ্চিমদিকে। তাই নর্মদা ও তাপ্তী নদী ওই দুই চ্যুতির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার জন্য দাক্ষিণাত্য মালভূমির সাধারণ ঢালের বিপরীতমুখী হয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়েছে।

ভারতের প্রধান নদীর নাম কি?

ভারতের প্রধান নদীর নাম গঙ্গা।

ভারতের কয়েকটি দক্ষিণ বাহিনী নদীর নাম লেখো?

ভারতের কয়েকটি দক্ষিণ বাহিনী নদীর নাম হলো গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী।

ভারতের সবচেয়ে বড় নদীর নাম কি?

গঙ্গা’ ভারতের দীর্ঘতম নদী ।

পশ্চিম ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

দামোদর হলো পশ্চিম ভারতের বৃহত্তম নদী। দামোদর নদীর মোট দৈর্ঘ্য 592 কিলোমিটার। দামোদর নদী ছোটনাগপুর মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে হুগলি নদী, রূপনারায়ণ নদীতে গিয়ে মিশেছে। পশ্চিমবঙ্গে দামোদর নদীর হল দৈর্ঘ্য 200 কিলোমিটার।

দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদী হল গোদাবরী নদী। এটি মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ত্র্যম্বকেশ্বর পাহাড়ে উৎপন্ন হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। গোদাবরীর মোট দৈর্ঘ্য ১,৪৬৪ কিলোমিটার। এটি ভারতের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এবং দক্ষিণ ভারতের কৃষি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কি?

উত্তর ভারতের দীর্ঘতম নদী হল গঙ্গা নদী। এটি ভারতের সবচেয়ে পবিত্র নদী এবং দীর্ঘতম নদীগুলির মধ্যে একটি, যার দৈর্ঘ্য ২,৫২৫ কিলোমিটার। গঙ্গা নদী উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী হিমবাহে উৎপন্ন হয়ে ভারতের পাঁচটি রাজ্য – উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ – ছেড়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। এই নদী ভারতের কৃষি, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহী হলেও নর্মদা ও তাপি নদী পশ্চিমবাহী কারণ এগুলো সাতপুরা পর্বতমালার পশ্চিম ঢাল থেকে উৎপন্ন হয়। পূর্বঘাট পর্বতমালা পূর্ব-পশ্চিম দিকে প্রসারিত হওয়ায় অধিকাংশ নদী পূর্ব দিকে ঢালুতে নেমে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়।

Share via:

মন্তব্য করুন